Ajker Patrika

৩৩ দিন পর খুলল বাকৃবির হল, ৫ অক্টোবর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

৩৩ দিন পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সবগুলো আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে হল খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বহিরাগতদের হামলাসহ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত ৩১ আগস্ট রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস–পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত এবং শিক্ষার্থীদের ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে শিক্ষা ও গবেষণার স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করায় ৫ অক্টোবর থেকে যথারীতি ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর সোনিয়া সোহেলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজকে (শুক্রবার) হল খুলেছে। আগামী রোববার থেকে ক্লাস শুরু। আবারও পুরোদমে শুরু হবে কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি ফ্যাকাল্টি রয়েছে। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে একজন করে ডিন আছেন। তাঁরাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন—কীভাবে ক্ষতি পোষানো যায়।

তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে গত ৩১ আগস্ট বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে শিক্ষক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির পরিবর্তে তিনটি ডিক্রি চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর প্রায় ৮ ঘণ্টা ২৫১ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা হামলা করে শিক্ষকদের ছাড়িয়ে নেয়। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আসে।

এরপর সংকট নিরসনে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। সবশেষ প্রক্টর ও শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় আন্দোলন থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। যেখানে সমন্বিত ডিগ্রি চালু করার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াসহ বাকৃবির তদন্ত কমিটিতে যেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন—দুপক্ষের একমতের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

জানতে চাইলে কৃষি অনুষদের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাজিয়া তাবাসসুম বলেন, ‘এক মাসেরও অধিক সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখন পড়ার টেবিলে ফিরব শুনতে ভালো লাগছে। তাই বাড়ি থেকে চলে আসছি। এমন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি আর না হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির সংকটকালে ভারতীয়-আমেরিকানদের বিস্ময়কর নীরবতা

শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে মিল থাকায় শাপলা না দেওয়া বৈষম্যমূলক: এনসিপি

মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

জনসংখ্যার সংকট, তারপরও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা এখন তীব্র জাপানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত