Ajker Patrika

জাকসু নির্বাচন: ভোট গণনায় অব্যবস্থাপনা, ফল হয়নি দ্বিতীয় দিনেও

  • হল সংসদের ভোট গুনতে লেগেছে ২১ ঘণ্টা
  • কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরু গতকাল রাত ৮টায়
  • ফল না পেয়ে প্রার্থী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ
  • ভোট প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক নির্বাচন কমিশন সদস্যের পদত্যাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭: ২০
জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে। এরপর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ভোট গণনা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে। এরপর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ভোট গণনা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণের দিনেই নির্বাচন বর্জন করেছিল পাঁচটি প্যানেলসহ বেশ কয়েক স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা-বিক্ষোভের মধ্যেই ভোট গ্রহণের পাঁচ ঘণ্টা পর শুরু হয় গণনার কাজ। এ কাজেও দেখা যায় দীর্ঘসূত্রতা। এতে ফল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় দিয়েও বারবার তা পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে প্রার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে। একটি কেন্দ্রে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। ভোট গ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে সিনেট ভবনে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোট গণনা শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার রাত ১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও জাকসুর ভোট গণনা চলছিল।

ভোট গণনায় দেরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম গতকাল সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেসব কারণে ভোট গণনায় দেরি হয়েছিল, সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আশা করছি, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ করতে পারব।’

এদিকে ভোট গণনা শুরুর প্রায় ২১ ঘণ্টা পর গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নির্বাচনের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। সর্বশেষ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল সংসদের ভোট গণনা করা হয়েছে। এখন হলের পোলিং এজেন্টদের ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনায় উপস্থিত থাকার জন্য।

এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে জাকসুর ভোট গণনা শুরু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনার স্নিগ্ধা রিজওয়ানা চৌধুরী। রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আশা করছি আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে ভোট গণনা সম্পন্ন হবে এবং যথারীতি ফল ঘোষণা করা হবে।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামানও বলেন, ‘আশা করি, আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে আমরা ভোট গণনা সম্পন্ন করে ফল ঘোষণার ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা সুনির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মধ্যে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ভোট গণনা স্থগিত করা হয়। পরে জরুরি সভায় বসেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। এ কারণে বিকেলে এক ঘণ্টা ভোট গণনা স্থগিত ছিল। এর আগে দুপুরে জুমার নামাজ ও খাবারের জন্য কিছু সময় ভোট গণনা স্থগিত ছিল।

কমিশন সদস্যের পদত্যাগ

জাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গতকালে রাতে পদত্যাগ করেছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য মফরুহী সত্তার। একই কারণে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিন শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান। তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক নজরুল নির্বাচনের সার্বিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন আর বাকি দুজন বিভিন্ন আবাসিক হলে ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।

দেরির যত কারণ

অনিয়মের অভিযোগে তাজউদ্দীন আহমদ হলে পৌনে এক ঘণ্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। এ ছাড়া যে দুটি হলে ১ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে, সেখানে দুপুর পর্যন্ত কাস্টিং খুব কম হয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার দিকে অনেকে এসে ভোট দিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ান। নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের সবাইকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কাজী নজরুল ইসলাম হলে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। এরপর ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচন কমিশনে আসতে রাত সাড়ে ৯টা বেজে যায়। রাত ১০টার দিকে শুরু হয় ভোট গণনা।

নির্বাচন কমিশন ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা না থাকায় শুরুর দিকে অনেকটা ধীরগতিতে কাজ এগিয়েছে। প্রথমে সিনেট ভবনে পাঁচটি টেবিল বসানো হয়। প্রতি টেবিলে একটি করে হলের ভোট গণনা শুরু হয়। এই টেবিলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে ছিল। শুক্রবার সকালে টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয় এবং সেসব টেবিলও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়। কিছু হলের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত না থাকায় ভোট গণনা দেরিতে শুরু হয়। মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত থাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে বলে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ধারণা ছিল। তাঁরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপর ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় অনেকে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর হলে হলে ভোট গণনা করা হলে আরও আগেই গণনা শেষ হতো বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও নবাব ফয়জুন্নেসা হলের রিটার্নিং অফিসার সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে নির্বাচন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল ভোটগুলো ওএমআর মেশিনে গোনা হবে, কিন্তু পরে প্রক্রিয়াটি বদলে হাতে গোনা শুরু হয়। হাতেই যদি গণনা করতে হবে, তবে হল পর্যায়ে কেন করা হলো না?

ভোট গণনায় এত সময় লাগার কারণ হিসেবে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করা মুন্না মিয়া বলেন, জাকসুতে যে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হচ্ছে, এটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এই পদ্ধতিতে একটা বড় হলের ভোট গণনা করতে ৪-৫ ঘণ্টা লেগে যায়। একটানা এরকম ভোট গণনা করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ

ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফল ঘোষণা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ সিকদার শাওন বলেন, ‘৩৩ বছর পর আমরা আনন্দিত ও আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু এই বিলম্ব সেই আনন্দ নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কারচুপি হচ্ছে কি না। প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু হলে মাত্র ১১ হাজার ভোট গণনায় এত সময় লাগছে কেন? অনিশ্চয়তা গভীর হতাশা তৈরি করছে, যদিও আমরা এখনো ধৈর্য ধরে আছি।’

শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী চিশ্তিও একই হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসুতে যেখানে প্রায় ৪০ হাজার ভোটার ছিল, সেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এখানে মাত্র ১১ হাজার ভোট, তবু গড়িমসি চলছে। আমাদের বলা হয়েছিল, হাতে গণনায় পরিবর্তন করা হলে রাত ১২টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা হবে। তাই আমরা রাতভর আমাদের পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে জেগে ছিলাম। এখন সবাই ক্লান্ত ও হতাশ, কিন্তু এখনো কোনো ফল নেই। প্রয়োজনে আরও জনবল নিয়োগ করে দ্রুত ফল ঘোষণা করা উচিত।’

ম্যানুয়াল ভোট গণনা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা হলের রিটার্নিং অফিসার ড. সুলতানা আক্তার বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে তিন দিনেও ভোট গণনা সম্ভব নয়। আমরা শিক্ষক, আমাদের পরিবার আছে, শারীরিক ও মানসিক চাপ আছে। এমন স্ট্রেস আমরা নিতে পারছি না। তাই এই পদ্ধতির পরিবর্তন চাই।’

ফল ঘোষণায় দেরিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন জাকসু নির্বাচনে জিএস পদে শিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘ভোট গ্রহণ শেষ হলেও এখনো ফল ঘোষণা করা হয়নি। এতে আমরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আজকের (শুক্রবার) মধ্যে যদি ভোট গণনা শেষ না হয় এবং ফল ঘোষণা করা না হয়, হলে আমরা দৃঢ় অবস্থান নেব। নির্বাচন বানচাল করার অপপ্রয়াস করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে প্রতিহত করা হবে। প্রশাসনের মধ্যে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা নানা অজুহাতে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরাই এ অনিয়মে উৎসাহ দিচ্ছেন।’

এদিকে জাকসুর ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে ছাত্রশিবির। সেখানে ফল ঘোষণায় দেরির পেছনে ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ প্রার্থী। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। জাকসুতে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে রয়েছেন, ৬ হাজার ১১৫ ছাত্র আর ৫ হাজার ৭২৮ ছাত্রী। একজন ভোটার ভোট দেবেন ৪০টি করে; কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি, হল সংসদে ১৫টি পদে। জাকসুর প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৭২ সালে। সর্বশেষ নবম জাকসু নির্বাচন হয় ১৯৯২ সালের ৬ জুলাই।

নির্বাচনে জিততে করে মিথ্যাচার: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন সদস্যের ছত্রচ্ছায়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার ও নির্বাচনী অনিয়মের নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। গতকাল এক সংবাদ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই যে ওই সময় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে শুধু ব্যালট বাক্সসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন, অর্থাৎ পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। এ ধরনের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়। এই বিশেষ রাজনৈতিক দল যদিও মুখে মুখে সব সময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়, কিন্তু একটি নির্বাচনে জয়ের জন্য তারা মিথ্যাচারের মতো পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসিফ নজরুলের পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল করলেন হাসনাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত