Ajker Patrika

রাকসু নির্বাচন: নারী ভোটার ১১ হাজার প্রার্থী মাত্র ২৫ জন

  • রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন।
  • নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন; যা মোট ভোটারের ৩৯.১%।
  • নারী প্রার্থীর হার ১০%। এর মধ্যে ১৪ জনই সংরক্ষিত পদে লড়ছেন।
দীন ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচন। এ নির্বাচনে নারী ভোটারের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশের বেশি হলেও রাকসুতে নারী প্রার্থী মাত্র ২৫ জন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন; যা মোট ভোটারের ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু প্রার্থীর ক্ষেত্রে এ হার একেবারেই কম। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ২৪৮ জন। এর মধ্যে মাত্র ২৫ জন নারী, যা মোট প্রার্থীর ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ১৪ জনই সংরক্ষিত পদের প্রতিদ্বন্দ্বী। সংরক্ষিত পদ বাদ দিলে নারী প্রার্থীর হার নেমে আসে মাত্র ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশে।

শীর্ষ পদগুলোতে নারী প্রার্থীর উপস্থিতিও সামান্য। সহসভাপতি (ভিপি) পদে মাত্র ১, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৪ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে ১, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সহকারী সম্পাদক পদে ২, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক (সংরক্ষিত) পদে ৬, মহিলাবিষয়ক সহকারী সম্পাদক (সংরক্ষিত) পদে ৮ ও নির্বাহী সদস্যপদে ১ জন প্রার্থী রয়েছেন।

অন্যদিকে সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী মাত্র ৮ জন, যা ১৩.৭ শতাংশ।

এবারের নির্বাচনে হল সংসদে ২৫৫টি পদের মধ্যে ছাত্রীদের ৬টি হলে ৯০টি এবং ছাত্রদের ১১টি হলে ১৬৫টি পদ রয়েছে। মেয়েদের ৯০টি পদের জন্য লড়ছেন ১৩৯ জন; এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৩৯ জন। আর ছাত্র হলে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না তিনজনের।

নারীদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নারী শিক্ষার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দিয়েছি। তবে তারা না আসতে চাইলে কিছু করার নেই।’

ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বলেন, নারীরা সাইবার বুলিংয়ের কারণে পিছু হটছেন, এতে যোগ্য নেত্রী হারাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাইবার বুলিং সত্যিই অ্যালার্মিং ইস্যু। প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হতে হবে এবং হেনস্তাকারীদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসিফ নজরুলের পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল করলেন হাসনাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত