Ajker Patrika

বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসিফ নজরুলের পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল করলেন হাসনাত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীনদের বিদেশে চিকিৎসা নেওয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের একটি পুরোনো ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন—‘আচ্ছা’, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০২০ সালে লেখা আসিফ নজরুলের সেই পোস্ট আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৫৪ মিনিটে হাসনাত আবদুল্লাহনিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন।

ড. আসিফ নজরুল তাঁর পুরোনো পোস্টে ক্ষমতাসীনদের বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘যদি ক্ষমতা থাকতো আইন করতাম—বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকরি বা ব্যবসা কোনোভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না। সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গণপরিবহনে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতিজরুরি ছাড়া কোনও সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এ বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।’

আসিফ নজরুল আরও লিখেছেন, ‘জনগণের টাকায় কোনও কিছু উদ্বোধন বা জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে। তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে সব সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে। দুদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরও বহু কিছু করতাম। যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী—তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।’

হাসনাত আবদুল্লাহর শেয়ার পোস্ট। ছবি: স্ক্রিনশট
হাসনাত আবদুল্লাহর শেয়ার পোস্ট। ছবি: স্ক্রিনশট

এদিকে চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার রাতে সিঙ্গাপুরে গেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। আগামীকাল বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এ নিয়ে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ক্যানসারে আক্রান্ত’ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার বিষয়টি ‘মানবিক জায়গা’ থেকে দেখা উচিত।

এর মধ্যে আজ হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টটি শেয়ার করার পর সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশে বৈষম্যমূলক ধারা সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক ধারা ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী দুর্বল বিধান অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।

আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।

এই অধ্যাদেশের ফলে মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করে টিআইবি।

লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকরতার অন্যতম কারণ।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের সব সদস্যের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও দায়িত্ব-কর্তব্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই বিধান সংশোধন করে কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও কার্যকরতা আনা জরুরি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চেয়ারপারসন ও কমিশনার বাছাইয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রস্তাব টিআইবি দিয়েছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তা ছাড়া কোনো সংস্থার আটকস্থল যদি কমিশনের নিকট আইনবহির্ভূত মনে হয়, তবে তা বন্ধের ক্ষমতা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশও উপেক্ষিত হয়েছে, যা হতাশাজনক।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী কোনো আইন সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত।

টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে ধারা ১৪-তে ‘মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্য কোনো আইন এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই আইন প্রাধান্য পাবে’–এই অংশ যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার বিষয়ে আইনগত সংঘাত এড়ানো সহজ হতো।

এ ছাড়া সব অভিযোগে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিধান বাতিল করে আমলযোগ্য অভিযোগে সরাসরি তদন্তের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি।

টিআইবির আশঙ্কা, এতে অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে এবং ভুক্তভোগীর হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা নির্ধারণ এবং প্রেষণপ্রক্রিয়াকে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনার প্রস্তাবও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমনকি কমিশনের দ্বিমতের ভিত্তিতে কোনো প্রেষণ প্রত্যাখ্যানের সুযোগের বিধান রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি।

টিআইবি মনে করে, কমিশনের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান যুক্ত করা উচিত। এসব সংস্কারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার, গায়েবি মামলার ঝড়ে আক্রান্ত—ট্রাইব্যুনালকে জাসদ নেতা ইনু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

আজ রোববার পৃথক আদেশে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই নির্দেশ দেন।

অভিযোগ গঠনের আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল ইনুর কাছে জানতে চান, তিনি অভিযোগগুলো শুনতে পেয়েছেন কি না।

জবাবে ইনু জানান, তিনি কিছু শুনতে পেয়েছেন, কিছু শুনতে পাননি।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি দোষ স্বীকার করবেন কি না বলুন?’

ইনু বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দুবার বলেছেন, দেশে গায়েবি মামলা হচ্ছে। আইন উপদেষ্টাও গায়েবি মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার, গায়েবি মামলার ঝড়ে আক্রান্ত। আমি মনে করি, আল্লাহর পর বিচার নিষ্পত্তির প্রতিনিধি আপনি। আপনি ন্যায়বিচার করবেন। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।’

পরে অভিযোগ গঠন করে ৩০ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁরা সবাই পলাতক।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, যেহেতু আসামিরা উপস্থিত নেই, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পঠিত বলে গণ্য হবে। পরে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষে দুই মামলায় আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করা হয়েছিল।

সে অনুযায়ী আজ অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর পলাতক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

চানখাঁরপুলের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রোকনুজ্জামান। তিনি পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।

এ ছাড়া সাক্ষ্য দিয়েছেন একই সংস্থার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। তাঁরা এ মামলায় উদ্ধার করা আলামত যাচাই-বাছাইয়ের বর্ণনা দেন।

পরে তাঁদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিনিয়োগ সেবায় গতি আনতে বিডার নতুন কাঠামো

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিনিয়োগ সেবায় গতি আনতে বিডার নতুন কাঠামো

বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিডা জানায়, নতুন কাঠামোর ফলে দায়িত্ব ও কর্তব্যে আসবে স্পষ্টতা, কাজের গতি বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। পাশাপাশি সেবার মান মূল্যায়নের জন্য সূচকভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ‘কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস’ (কেপিআই)—চালু করা হয়েছে।

নতুন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাহী সদস্যপদে সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ইউনিটকে পৃথকভাবে গঠন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু এবং খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ।

বিডার এই পুনর্গঠন সরকারের ঘোষিত ৩২ দফা বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার অংশ। এর লক্ষ্য, বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

নতুন কাঠামো অনুযায়ী বিডার কার্যক্রম পরিচালিত হবে পাঁচটি মূল অনুবিভাগ বা উইংয়ের মাধ্যমে—ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি, অপারেশনস, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতিটি ইউনিট বিনিয়োগের জীবনচক্রের নির্দিষ্ট পর্যায়ে কাজ করবে।

গত শনিবার রাজধানীর বিডা মাল্টিপারপাস হলে নতুন কাঠামো নিয়ে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিডা কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়; এটি বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এই কাঠামোগত সংস্কার দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল। এখন আমরা সেটিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।

এদিকে সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি ইতিমধ্যে দেশের সব বিনিয়োগ সংস্থা (আইপিএ) একীভূত করার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা বিচ্ছিন্ন সেবার পরিবর্তে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন।

বিডা জানিয়েছে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই এর বিস্তারিত তথ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নৌকা উপহার পেয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল বললেন, আ.লীগের প্রতীকের সঙ্গে মিল নেই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি একটি নৌকা উপহার দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ উপহার দেন। তবে এই উপহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির লিখেছেন, ‘গত সন্ধ্যায় আলজেরিয়ার জাতীয় দিবসে, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে, প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেই। অনুষ্ঠানে আমাকে পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকার প্রতিকৃতি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সৌজন্যবশত আমি তা গ্রহণ করি। উপহারটিতে দূতাবাসের নাম লিখিত আছে। লক্ষ করুন, এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের কোনো মিল নেই।’

পরামর্শ চেয়ে তিনি লেখেন, ‘এখন আমি এটি আলজেরীয় দূতাবাসে ফেরত পাঠাতে পারি। এটা অসৌজন্যমূলক ও হীনমন্যতার শামিল হবে; সরকারি তোশাখানায় জমা দিতে পারি। যদিও এটা খুব মূল্যবান কিছু নয়; শৈলান প্রবীণ নিবাসে রাখতে পারি; অথবা নিজে রেখে দিতে পারি।’

শেষে তিনি লেখেন, ‘পাঠকের পরামর্শ পেলে উপকৃত হব।’

উপদেষ্টার ওই পোস্টে প্রায় ৬৩২টি মন্তব্য দেখা গেছে। এখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। লোকমান হাকিম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘সবদিক বিবেচনায় সরাসরি তোশাখানায় জমা দিতে পারেন স্যার।’ ওয়াহিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আপনার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী তাই অন্যের পরামর্শ প্রয়োজন নাই।’

মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘তোষাখানায় জমা দেয়াই উত্তম। আর সঙ্গে অবশ্যই আলজেরিয়ার দুতাবাস কে ভবিষ্যত এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি দেয়ার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।’

মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, শৈলান প্রবীণ নিবাসে রেখে দেন, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র সিটিজেন রা তাদের শৈশবের নৌকা আর খাল-বিল এর স্মৃতি চারন করতে পারবে।’

সর্বশেষ এক ঘণ্টা আগে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে মতামতের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তর থেকে এ জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেয়া হয়েছে। আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকার আলজেরিয়া দূতাবাস ১৯৫৪ সালের গৌরবময় বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে নৌকা উপহার দেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত