আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা
গত দুই দশকে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন বা আন্তদেশীয় শিক্ষার চাহিদা। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে থেকেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন। শাখা ক্যাম্পাস, অনলাইন শিক্ষা, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব—এসব মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে যাচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষার দরজা।
সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কয়েক গুণ বেড়েছে। যদিও ভারত ও শ্রীলঙ্কার তুলনায় এটি এখনো পিছিয়ে। গবেষণার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক স্টিফেন ফোর্বসসহ অনেকে। গবেষণাটি পরিচালনা করেন বিয়েট্রিস সেগুরা হারভে ও জ্যাক সুলেভান।
ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার নানা ধরন
আন্তদেশীয় শিক্ষায় আগ্রহ যে কারণে বাড়ছে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ধরনের শিক্ষার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই প্রবণতার পেছনের কয়েকটি প্রধান কারণ তুলে ধরেছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে বৈশ্বিক অংশীদারত্বে যুক্ত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও জ্ঞান স্থানান্তর আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি নিজেদের আন্তর্জাতিক প্রোফাইল ও অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিষয়টি শুধুই ব্যবসায়িক নয়। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা পারিবারিক কারণে বিদেশ যেতে না পারলেও দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এখন তাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে উচ্চশিক্ষা আর শুধু সীমিত কিংবা বিদেশ গমননির্ভর নয়, হয়ে উঠছে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাস্তবসম্মত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের পথ সহজ করছে।’
বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী বনাম ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার্থী
ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন। সবচেয়ে বেশি গেছেন আমেরিকা; এরপর আছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশে এখনো উচ্চশিক্ষায় ভর্তির হার বছরে মাত্র ২৩ শতাংশ, যেখানে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে এই হার ৪২ শতাংশ এবং উন্নত দেশে ৭৯ শতাংশ। ফলে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষাই হয়ে উঠছে একটি সম্ভাবনাময় সমাধান।
ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে আন্তদেশীয় শিক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। এরপরই আছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রসবর্ডার এডুকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার চাহিদা দিন দিন যে হারে বাড়ছে, তা দেশের উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। আর্থিক, সামাজিক ও ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহজলভ্য। বিশেষ করে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি, মোনাশ কলেজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বাংলাদেশে শিক্ষার নতুন দিক উন্মোচন করেছে। একই সঙ্গে এটি দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ গঠন এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে।
গত দুই দশকে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন বা আন্তদেশীয় শিক্ষার চাহিদা। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে থেকেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন। শাখা ক্যাম্পাস, অনলাইন শিক্ষা, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব—এসব মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে যাচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষার দরজা।
সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কয়েক গুণ বেড়েছে। যদিও ভারত ও শ্রীলঙ্কার তুলনায় এটি এখনো পিছিয়ে। গবেষণার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক স্টিফেন ফোর্বসসহ অনেকে। গবেষণাটি পরিচালনা করেন বিয়েট্রিস সেগুরা হারভে ও জ্যাক সুলেভান।
ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার নানা ধরন
আন্তদেশীয় শিক্ষায় আগ্রহ যে কারণে বাড়ছে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ধরনের শিক্ষার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই প্রবণতার পেছনের কয়েকটি প্রধান কারণ তুলে ধরেছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে বৈশ্বিক অংশীদারত্বে যুক্ত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও জ্ঞান স্থানান্তর আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি নিজেদের আন্তর্জাতিক প্রোফাইল ও অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিষয়টি শুধুই ব্যবসায়িক নয়। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা পারিবারিক কারণে বিদেশ যেতে না পারলেও দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এখন তাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে উচ্চশিক্ষা আর শুধু সীমিত কিংবা বিদেশ গমননির্ভর নয়, হয়ে উঠছে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাস্তবসম্মত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের পথ সহজ করছে।’
বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী বনাম ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার্থী
ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন। সবচেয়ে বেশি গেছেন আমেরিকা; এরপর আছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশে এখনো উচ্চশিক্ষায় ভর্তির হার বছরে মাত্র ২৩ শতাংশ, যেখানে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে এই হার ৪২ শতাংশ এবং উন্নত দেশে ৭৯ শতাংশ। ফলে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষাই হয়ে উঠছে একটি সম্ভাবনাময় সমাধান।
ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে আন্তদেশীয় শিক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। এরপরই আছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রসবর্ডার এডুকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার চাহিদা দিন দিন যে হারে বাড়ছে, তা দেশের উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। আর্থিক, সামাজিক ও ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহজলভ্য। বিশেষ করে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি, মোনাশ কলেজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বাংলাদেশে শিক্ষার নতুন দিক উন্মোচন করেছে। একই সঙ্গে এটি দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ গঠন এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২ দিন আগেএই তালিকায় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে না থাকলেও বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২ দিন আগে