নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর জন্য ফের অর্থ মন্ত্রণালয়ে একাধিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ এ তথ্য জানান।
খালিদ মাহমুদ জানান, প্রস্তাবে মূলত তিনটি ভাতা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের বোনাস। এই প্রস্তাবগুলো এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য।
এমপিও হলো মান্থলি পে অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পান। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক ও ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পান। তবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ করে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, একটি প্রস্তাবে বাড়িভাড়া ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।
অপর এক প্রস্তাবে নির্দিষ্ট টাকার পরিবর্তে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া প্রদানের কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য আর্থিক ব্যয়ের হিসাবও যুক্ত করেছে।
প্রস্তাবের তথ্য বলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় বর্তমানে মাসে এক হাজার টাকা হারে বাড়িভাড়া দিতে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এটি বছরে দাঁড়ায় ৪৬৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করলে মাসিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৯৬ কোটি টাকা এবং বার্ষিক ব্যয় ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
একইভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করলে সরকারের বার্ষিক ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা আর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ব্যয় বাড়বে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা থেকে প্রায় ১৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এর বাইরে বাড়িভাড়ার চারটি বিকল্প হারও নির্ধারণ করে এতে কত টাকা ব্যয় হবে, তা-ও প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০ শতাংশ বা ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা হারে ব্যয় হবে বছরে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ১৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকায় ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা, ১০ শতাংশে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং ৫ শতাংশে ১ হাজার ৩৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ৫০০ টাকার চিকিৎসা ভাতা বাস্তবতার তুলনায় অপ্রতুল। তাই চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মচারীদের বোনাস ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও শিক্ষকদের বোনাস ৫০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদনের পর প্রস্তাবটি গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে শিক্ষক-কর্মচারীরা নতুন হারে ভাতা পাবেন।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর জন্য ফের অর্থ মন্ত্রণালয়ে একাধিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ এ তথ্য জানান।
খালিদ মাহমুদ জানান, প্রস্তাবে মূলত তিনটি ভাতা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের বোনাস। এই প্রস্তাবগুলো এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য।
এমপিও হলো মান্থলি পে অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পান। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক ও ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পান। তবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ করে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, একটি প্রস্তাবে বাড়িভাড়া ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।
অপর এক প্রস্তাবে নির্দিষ্ট টাকার পরিবর্তে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া প্রদানের কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য আর্থিক ব্যয়ের হিসাবও যুক্ত করেছে।
প্রস্তাবের তথ্য বলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় বর্তমানে মাসে এক হাজার টাকা হারে বাড়িভাড়া দিতে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এটি বছরে দাঁড়ায় ৪৬৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করলে মাসিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৯৬ কোটি টাকা এবং বার্ষিক ব্যয় ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
একইভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করলে সরকারের বার্ষিক ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা আর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ব্যয় বাড়বে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা থেকে প্রায় ১৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এর বাইরে বাড়িভাড়ার চারটি বিকল্প হারও নির্ধারণ করে এতে কত টাকা ব্যয় হবে, তা-ও প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০ শতাংশ বা ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা হারে ব্যয় হবে বছরে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ১৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকায় ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা, ১০ শতাংশে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং ৫ শতাংশে ১ হাজার ৩৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ৫০০ টাকার চিকিৎসা ভাতা বাস্তবতার তুলনায় অপ্রতুল। তাই চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মচারীদের বোনাস ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও শিক্ষকদের বোনাস ৫০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদনের পর প্রস্তাবটি গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে শিক্ষক-কর্মচারীরা নতুন হারে ভাতা পাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (সরকারি কলেজ-১) উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেসরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ের সরকার নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউই তা পূরণ করেনি। এখনো একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেবেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার) পদে নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১৪ ঘণ্টা আগে