আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইংল্যান্ডের কিশোর-কিশোরীরা এ মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তারা জিসিএসই পরীক্ষা দিয়েছে, যা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে দিয়ে থাকে। আগামী ২১ আগস্ট ফলাফল তাদের হাতে আসবে।
এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাদের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক। কারণ, ভালো ফলাফল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেয়। খারাপ ফলাফল তা বন্ধ করে দেয়। তবে বড় শহরের শিক্ষার্থীরা কিছুটা নিশ্চিন্তে রয়েছে। তারা দেশের অন্য এলাকার সমবয়সীদের চেয়ে ভালো করছে, এমনকি আগের প্রজন্মের চেয়েও।
ইংল্যান্ডের দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীদের কী অবস্থা?
২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরের রাষ্ট্রীয় স্কুলগুলোর ২৭ শতাংশ জিসিএসই শিক্ষার্থী ইংরেজি, গণিত ও অন্য তিন বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড বা তার বেশি পেয়েছিল। অথচ সে বছর গোটা ইংল্যান্ডে এ হার ছিল ৪৩ শতাংশ। যেসব শিক্ষার্থী দারিদ্র্যের কারণে বিনা মূল্যে খাবার পেত, তাদের অবস্থা ছিল আরও শোচনীয়।
দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ম্যানচেস্টারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভালো ফল করেছিল, যেখানে সারা দেশে এই হার ছিল ১৮ শতাংশ।
গত দুই দশকে ইংল্যান্ডে পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি বদলেছে। এখন অক্ষরের বদলে সংখ্যা ব্যবহৃত হয় এবং মূল্যায়নের মানদণ্ড শুধু ইংরেজি ও গণিতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
তবুও ম্যানচেস্টারে পরিবর্তনটা স্পষ্ট। সেখানে এখন যারা বিনা মূল্যে খাবার পায়, তারা ইংল্যান্ডের গড় ফলাফলের চেয়েও ভালো করছে। বার্মিংহাম ও লন্ডনের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা তো আরও ভালো করছে। লিডসে ফলাফল ‘ভয়াবহ’ থেকে উঠে এখন গড়ের কাতারে।
লন্ডনের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাফল্য নতুন কিছু নয়। দুই দশক আগে থেকেই তা নজরে আসতে শুরু করে। শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিক্ষা খাতে উন্নয়নের সমন্বয়ে লন্ডন হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী ও বৈশ্বিক নগরী। এখন ইংল্যান্ডের অন্যান্য বড় শহরও লন্ডনের মতো সাফল্য পাচ্ছে।
লন্ডন অনেক আগে থেকেই জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময়। সেখানে বিদেশে জন্ম নেওয়া মানুষের সংখ্যা দেশের অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি।
এই বৈচিত্র্য লন্ডনের শিক্ষা খাতে উন্নতির পেছনে সহায়ক হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের চেয়ে অন্য প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভালো করছে।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সাইমন বার্গেস ২০১৪ সালে দেখান, লন্ডনের শিক্ষার্থীদের সফলতার মূল কারণ তাদের বড় অংশই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর।
বার্গেস মনে করেন, জাতিগত পরিচয় নয়, বরং অভিবাসী পরিবারের সন্তান হওয়াই আসল বিষয়। এই শিক্ষার্থীরা বড় হচ্ছে এমন পরিবারে, যেখানে মা-বাবা নিজের জীবনের উন্নতির জন্য দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা সন্তানদের পড়াশোনার দিকে ঠেলে দেয়।
এক গবেষণায় বার্গেস দেখিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থীর মাতৃভাষা ইংরেজি, তাদের আর্থিক পুরস্কার দিলে গণিতে ভালো ফল করে। কিন্তু যাদের প্রথম ভাষা ইংরেজি নয়, তারা এমনিতেই পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী থাকে।
লন্ডন এখনো ইংল্যান্ডের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ শহর। অবশ্য অন্যান্য শহর ধীরে ধীরে তাদের কাছাকাছি চলে আসছে।
২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারে বিদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা লন্ডনের চেয়েও দ্রুত হারে বাড়ে। লন্ডনের পাশের স্লাউ শহরে এখন ইংল্যান্ডের যেকোনো শহরের চেয়ে বেশি অভিবাসী বাস করেন।
সম্ভবত এই কারণেই ২০২৩ সালে স্লাউয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা জিসিএসইতে লন্ডনের কিছু এলাকা ও ছোট সিলি দ্বীপপুঞ্জ ছাড়া দেশের যেকোনো জায়গার চেয়ে ভালো করে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
ইংল্যান্ডের কিশোর-কিশোরীরা এ মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তারা জিসিএসই পরীক্ষা দিয়েছে, যা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে দিয়ে থাকে। আগামী ২১ আগস্ট ফলাফল তাদের হাতে আসবে।
এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাদের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক। কারণ, ভালো ফলাফল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেয়। খারাপ ফলাফল তা বন্ধ করে দেয়। তবে বড় শহরের শিক্ষার্থীরা কিছুটা নিশ্চিন্তে রয়েছে। তারা দেশের অন্য এলাকার সমবয়সীদের চেয়ে ভালো করছে, এমনকি আগের প্রজন্মের চেয়েও।
ইংল্যান্ডের দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীদের কী অবস্থা?
২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরের রাষ্ট্রীয় স্কুলগুলোর ২৭ শতাংশ জিসিএসই শিক্ষার্থী ইংরেজি, গণিত ও অন্য তিন বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড বা তার বেশি পেয়েছিল। অথচ সে বছর গোটা ইংল্যান্ডে এ হার ছিল ৪৩ শতাংশ। যেসব শিক্ষার্থী দারিদ্র্যের কারণে বিনা মূল্যে খাবার পেত, তাদের অবস্থা ছিল আরও শোচনীয়।
দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ম্যানচেস্টারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভালো ফল করেছিল, যেখানে সারা দেশে এই হার ছিল ১৮ শতাংশ।
গত দুই দশকে ইংল্যান্ডে পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি বদলেছে। এখন অক্ষরের বদলে সংখ্যা ব্যবহৃত হয় এবং মূল্যায়নের মানদণ্ড শুধু ইংরেজি ও গণিতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
তবুও ম্যানচেস্টারে পরিবর্তনটা স্পষ্ট। সেখানে এখন যারা বিনা মূল্যে খাবার পায়, তারা ইংল্যান্ডের গড় ফলাফলের চেয়েও ভালো করছে। বার্মিংহাম ও লন্ডনের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা তো আরও ভালো করছে। লিডসে ফলাফল ‘ভয়াবহ’ থেকে উঠে এখন গড়ের কাতারে।
লন্ডনের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাফল্য নতুন কিছু নয়। দুই দশক আগে থেকেই তা নজরে আসতে শুরু করে। শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিক্ষা খাতে উন্নয়নের সমন্বয়ে লন্ডন হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী ও বৈশ্বিক নগরী। এখন ইংল্যান্ডের অন্যান্য বড় শহরও লন্ডনের মতো সাফল্য পাচ্ছে।
লন্ডন অনেক আগে থেকেই জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময়। সেখানে বিদেশে জন্ম নেওয়া মানুষের সংখ্যা দেশের অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি।
এই বৈচিত্র্য লন্ডনের শিক্ষা খাতে উন্নতির পেছনে সহায়ক হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের চেয়ে অন্য প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভালো করছে।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সাইমন বার্গেস ২০১৪ সালে দেখান, লন্ডনের শিক্ষার্থীদের সফলতার মূল কারণ তাদের বড় অংশই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর।
বার্গেস মনে করেন, জাতিগত পরিচয় নয়, বরং অভিবাসী পরিবারের সন্তান হওয়াই আসল বিষয়। এই শিক্ষার্থীরা বড় হচ্ছে এমন পরিবারে, যেখানে মা-বাবা নিজের জীবনের উন্নতির জন্য দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা সন্তানদের পড়াশোনার দিকে ঠেলে দেয়।
এক গবেষণায় বার্গেস দেখিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থীর মাতৃভাষা ইংরেজি, তাদের আর্থিক পুরস্কার দিলে গণিতে ভালো ফল করে। কিন্তু যাদের প্রথম ভাষা ইংরেজি নয়, তারা এমনিতেই পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী থাকে।
লন্ডন এখনো ইংল্যান্ডের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ শহর। অবশ্য অন্যান্য শহর ধীরে ধীরে তাদের কাছাকাছি চলে আসছে।
২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারে বিদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা লন্ডনের চেয়েও দ্রুত হারে বাড়ে। লন্ডনের পাশের স্লাউ শহরে এখন ইংল্যান্ডের যেকোনো শহরের চেয়ে বেশি অভিবাসী বাস করেন।
সম্ভবত এই কারণেই ২০২৩ সালে স্লাউয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা জিসিএসইতে লন্ডনের কিছু এলাকা ও ছোট সিলি দ্বীপপুঞ্জ ছাড়া দেশের যেকোনো জায়গার চেয়ে ভালো করে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
১০ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা যেকোনো শিক্ষার্থীর জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার দক্ষতার ভিত্তিতে নয়, ধৈর্য, মনোবল এবং সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে