রাহুল শর্মা, ঢাকা

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:
রাহুল শর্মা, ঢাকা

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।
পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতার অবদান। আর বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত কবিতাসহ কিছু ‘অতিরঞ্জিত’ ইতিহাস ও তথ্যগত ভুল। এ ছাড়া অনেক বইয়ের ছবিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই অভ্যত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। যেমন: দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। আর উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতিতে রয়েছে, ‘পিপলস ইজ পাওয়ার’ ও উক্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডু নট টেল এ লাই’। এভাবে প্রতি শ্রেণির বইয়ে নতুন নতুন গ্রাফিতি ও উক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গল্প, লেখা অথবা কার্টুন যুক্ত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দু-একজনের কথাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যান তিনি।

বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
তবে বছরের মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই বিতরণের কাজ শুরু এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানান, এখনো নবম শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। আর যেসব শ্রেণির দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেগুলোরও বই ছাপার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ জন্যই বই ছাপা ও বিতরণে দেরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোয় এ সময়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে যেত।
সব মিলিয়ে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী মার্চের আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিল থেকে কাগজ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁরা জানান, এনসিটিবির গুটিকয়েক কর্মকর্তা তাঁদের পছন্দের ৪-৫টি কাগজের মিল থেকে কাগজ কিনতে বলছেন। না হলে পিডিআইতে নেগেটিভ প্রতিবেদন দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৯ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা
৩০ নভেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১৪ ঘণ্টা আগে