Ajker Patrika

সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

প্রতিনিধি, রাবি
সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্যের পদে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক সুলতানুল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে তাঁর পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। বিদায়ী উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে এডহকে ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগপ্রাপ্তরা এই দাবি করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে দাবিটি জানানো হয়।

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতানুল ইসলামকে চার বছরের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের একাংশ তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক এর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন থেকে তাঁরা সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপ-উপাচার্য ড. সুলতানুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক সুলতানুল ইসলামের অনেক আত্মীয় বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর আপন বড় ভাই প্রয়াত অধ্যাপক ড. সোলাইমান আলী সরকার ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের নিরীহ মানুষদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলে পাক হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করত।

মানববন্ধনে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিয়োগপ্রাপ্ত রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদীন, নির্মূল কমিটির রাবি শাখার সাবেক সভাপতি মতিউর মর্তুজা, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এসকে আরকার বাপ্পী প্রমুখ।

এদিকে অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী উল্লেখ তাঁকে সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী মহানগর শাখা।

গতকাল রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ওহিদুর রহমান ওহি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে বিএনপি-জামাতের আমল ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম টিপু বলেন, আজকে যারা আন্দোলন করছে তাঁরা অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ দিনে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। আমি অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। সুতরাং এটি স্পষ্ট তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। যারা বলছেন আমার ভাই রাজাকার ছিল তাদের প্রমাণ করতে বলুন। তারাই প্রমাণ করুক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত