মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। অস্ট্রেলিয়া এর মধ্যে অন্যতম। দেশটির সেন্ট জর্জ টেইফে ইনফরমেশন টেকনোলজির সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পড়াশোনা করে নিউ সাউথ ওয়েলস গভর্নমেন্টের রেভিনিউ নিউ সাউথ ওয়েলসে চাকরি করছেন বাংলাদেশের সাব্বির চৌধুরী। বর্তমানে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় শহর সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
পরামর্শ যাঁদের জন্য
যাঁরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় আসবেন, তাঁদের জন্য আমার পরামর্শ নয়। কারণ তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক দিন ঘাঁটাঘাঁটি করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন। তাঁদের জন্য শুভকামনা। আমার কথাগুলো অস্ট্রেলিয়া আসবেন কি না, এ বিষয়ে যাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাঁদের জন্য। কথাগুলো তাঁদের উৎসাহিত করার জন্য।
যোগ্যতা
একাডেমিক ফলাফল (৬০%), IELTS স্কোর (৬) বা PTE স্কোর (৫০) এবং প্রাথমিক খরচের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ প্রয়োজনীয় টাকার অ্যামাউন্ট দেখাতে পারলে ভিসা পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতার চেয়ে কিছুটা কম যোগ্য হলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও কিছুটা কমে যায়। আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী এবং কতটা খরচ বহন করতে পারবেন, এসব বিষয় চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্স নির্বাচন করবেন।
ইংরেজি, ইংরেজি এবং ইংরেজি
বিশ্বের অন্য উন্নত দেশগুলোর চেয়েও অস্ট্রেলিয়ায় ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা বেশি। ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ ছাড়া শিক্ষার্থী হিসেবে এ দেশে ভিসা পাওয়া অসম্ভব। তাই ইংরেজি ভাষায় বেশ পাকাপোক্ত হওয়াটা খুবই জরুরি। এর প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া উচিত। ইংলিশ মিডিয়াম থাকলে তো ভালোই। কিন্তু বাংলা মিডিয়ামে থাকলেও সঠিক চর্চাটা করতে হবে মাধ্যমিক পেরোনোর আগেই। তাহলে উচ্চমাধ্যমিক শেষে তার লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়
এখানকার মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টির অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এখানে। প্রথম সারির এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসতে হবে। তবে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না হলে স্বপ্ন যে শেষ হয়ে গেল, ব্যাপারটি এমন নয়। দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও আপনি বেশ ভালো কিছু করতে পারেন।
কোন বিষয়
বাংলাদেশে কেউ যদি বিজ্ঞানে পড়েন তাঁর জন্য সবকিছু উন্মুক্ত। তবে ব্যবসায় বা মানবিক বিভাগ থেকে কেউ বিজ্ঞান বিভাগে যেতে পারবেন না। এখানে এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। যে কেউ যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আমি নিজেও এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। তারপর ভালো উপার্জনের বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগও পেয়েছি। তবে করোনাকালের এই সময়ে স্বাস্থ্যসেবা খাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসক, নার্স বা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য পেশাজীবীর চাহিদা এখানে খুবই বেশি। সামনে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তা ছাড়া গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে বাসা থেকেই কাজের সুযোগ! করোনা প্রতিরোধে যাঁদের কাজ অফিসে না গিয়ে বাসায় থেকে করা যায়, তাঁরা সবাই বাসা থেকেই কাজ করছেন। আমি নিজেও ভাগ্যবান কারণ আমিও বাসা থেকে কাজ করতে পারছি।
ডিমান্ড লিস্ট
উন্নত দেশগুলো তাদের দেশের বাজারে কোন পেশার চাহিদা কেমন, তার একটা ‘ডিমান্ড লিস্ট’ করে। সেখানে এসব বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। সেই চাহিদা দেখে পড়াশোনা করলে সহজে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদন করাও সহজ হয়। ডিমান্ড লিস্ট গুগল করলেই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
শিক্ষাব্যবস্থা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা গবেষণাধর্মী। গবেষণার ওপরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি জোর দিয়ে থাকে। আর এ গবেষণাগুলো শুধু জার্নাল বা নিবন্ধ বের করার উদ্দেশ্যেই করা হয় না। এগুলো ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টাও করা হয়। আর গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকেও সাহায্য পেয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
থাকা-খাওয়া
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের নিয়মানুযায়ী বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে যত খুশি কাজ করা যায়। এ কারণে নিজ খরচে উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা অনেক শিক্ষার্থী নিজ আয়ে তাঁদের সব খরচ চালাতে পারেন, পাশাপাশি দেশেও অর্থ পাঠাতে পারেন। এখানে কাজের অনেক সুযোগ আছে। তা ছাড়া আমরা যারা বাঙালি প্রবাসী আছি, আমরা চাই আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে আসুক। তারা পড়াশোনা করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক।
সরকারের উদ্যোগ
আমার মনে হয় বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে। দুই দেশের দুয়ার খোলার জন্য সরকারের আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে শুধু স্টুডেন্ট ভিসা নয়, ওয়ার্ক ভিসাসহ আরও অনেক ভিসায় বাংলাদেশের মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারবে।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। অস্ট্রেলিয়া এর মধ্যে অন্যতম। দেশটির সেন্ট জর্জ টেইফে ইনফরমেশন টেকনোলজির সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পড়াশোনা করে নিউ সাউথ ওয়েলস গভর্নমেন্টের রেভিনিউ নিউ সাউথ ওয়েলসে চাকরি করছেন বাংলাদেশের সাব্বির চৌধুরী। বর্তমানে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় শহর সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
পরামর্শ যাঁদের জন্য
যাঁরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় আসবেন, তাঁদের জন্য আমার পরামর্শ নয়। কারণ তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক দিন ঘাঁটাঘাঁটি করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন। তাঁদের জন্য শুভকামনা। আমার কথাগুলো অস্ট্রেলিয়া আসবেন কি না, এ বিষয়ে যাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাঁদের জন্য। কথাগুলো তাঁদের উৎসাহিত করার জন্য।
যোগ্যতা
একাডেমিক ফলাফল (৬০%), IELTS স্কোর (৬) বা PTE স্কোর (৫০) এবং প্রাথমিক খরচের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ প্রয়োজনীয় টাকার অ্যামাউন্ট দেখাতে পারলে ভিসা পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতার চেয়ে কিছুটা কম যোগ্য হলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও কিছুটা কমে যায়। আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী এবং কতটা খরচ বহন করতে পারবেন, এসব বিষয় চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্স নির্বাচন করবেন।
ইংরেজি, ইংরেজি এবং ইংরেজি
বিশ্বের অন্য উন্নত দেশগুলোর চেয়েও অস্ট্রেলিয়ায় ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা বেশি। ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ ছাড়া শিক্ষার্থী হিসেবে এ দেশে ভিসা পাওয়া অসম্ভব। তাই ইংরেজি ভাষায় বেশ পাকাপোক্ত হওয়াটা খুবই জরুরি। এর প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া উচিত। ইংলিশ মিডিয়াম থাকলে তো ভালোই। কিন্তু বাংলা মিডিয়ামে থাকলেও সঠিক চর্চাটা করতে হবে মাধ্যমিক পেরোনোর আগেই। তাহলে উচ্চমাধ্যমিক শেষে তার লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়
এখানকার মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টির অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এখানে। প্রথম সারির এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসতে হবে। তবে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না হলে স্বপ্ন যে শেষ হয়ে গেল, ব্যাপারটি এমন নয়। দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও আপনি বেশ ভালো কিছু করতে পারেন।
কোন বিষয়
বাংলাদেশে কেউ যদি বিজ্ঞানে পড়েন তাঁর জন্য সবকিছু উন্মুক্ত। তবে ব্যবসায় বা মানবিক বিভাগ থেকে কেউ বিজ্ঞান বিভাগে যেতে পারবেন না। এখানে এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। যে কেউ যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আমি নিজেও এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। তারপর ভালো উপার্জনের বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগও পেয়েছি। তবে করোনাকালের এই সময়ে স্বাস্থ্যসেবা খাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসক, নার্স বা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য পেশাজীবীর চাহিদা এখানে খুবই বেশি। সামনে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তা ছাড়া গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে বাসা থেকেই কাজের সুযোগ! করোনা প্রতিরোধে যাঁদের কাজ অফিসে না গিয়ে বাসায় থেকে করা যায়, তাঁরা সবাই বাসা থেকেই কাজ করছেন। আমি নিজেও ভাগ্যবান কারণ আমিও বাসা থেকে কাজ করতে পারছি।
ডিমান্ড লিস্ট
উন্নত দেশগুলো তাদের দেশের বাজারে কোন পেশার চাহিদা কেমন, তার একটা ‘ডিমান্ড লিস্ট’ করে। সেখানে এসব বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। সেই চাহিদা দেখে পড়াশোনা করলে সহজে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদন করাও সহজ হয়। ডিমান্ড লিস্ট গুগল করলেই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
শিক্ষাব্যবস্থা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা গবেষণাধর্মী। গবেষণার ওপরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি জোর দিয়ে থাকে। আর এ গবেষণাগুলো শুধু জার্নাল বা নিবন্ধ বের করার উদ্দেশ্যেই করা হয় না। এগুলো ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টাও করা হয়। আর গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকেও সাহায্য পেয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
থাকা-খাওয়া
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের নিয়মানুযায়ী বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে যত খুশি কাজ করা যায়। এ কারণে নিজ খরচে উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা অনেক শিক্ষার্থী নিজ আয়ে তাঁদের সব খরচ চালাতে পারেন, পাশাপাশি দেশেও অর্থ পাঠাতে পারেন। এখানে কাজের অনেক সুযোগ আছে। তা ছাড়া আমরা যারা বাঙালি প্রবাসী আছি, আমরা চাই আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে আসুক। তারা পড়াশোনা করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক।
সরকারের উদ্যোগ
আমার মনে হয় বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে। দুই দেশের দুয়ার খোলার জন্য সরকারের আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে শুধু স্টুডেন্ট ভিসা নয়, ওয়ার্ক ভিসাসহ আরও অনেক ভিসায় বাংলাদেশের মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারবে।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন রায়হান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা শেষ করে গকসু নির্বাচন কমিশন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছাপানো ও ফাঁস হওয়া নকল ব্যালটের অভিযোগ নিয়ে এবার অধিকতর তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে...
১২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
২০ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
১ দিন আগে