Ajker Patrika

রাবিতে নিয়োগে অনিয়ম তদন্তে নতুন কমিটি

প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২১, ১৮: ৪৭
রাবিতে নিয়োগে অনিয়ম তদন্তে নতুন কমিটি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য অবসরে যাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে দেওয়া নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের আরেকটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য দিল আফরোজ বেগমকে আহ্বায়ক এবং ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মো. জামিনুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব জাকির হোসেন আখন্দ।

গত ২৮ জুন নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনার কারণে তাঁরা কাজই শুরু করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।

এর আগে গত ৬ মে উপাচার্যের দেওয়া নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করে। কমিটি গত ২৩ মে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই নিয়োগে অনিয়মের সঙ্গে সাবেক উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আবদুস সোবহানের দেশ ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত নতুন তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবাহানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতিবেদনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ কার্যক্রমসহ আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১০ ডিসেম্বর পত্রের মাধ্যমে প্রশাসনিক কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু উপাচার্য তাঁর শেষ কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের উক্ত অনুরোধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ প্রদান করেছেন মর্মে মন্ত্রণালয় অবহিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অমান্য করা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বিদায়ী উপাচার্য কর্তৃক জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে “অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের” বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উল্লেখিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।’ 

গঠিত এই কমিটিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ওঠা অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক দিল আফরোজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার কারণে তদন্তকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। আমি চিঠি দিয়ে জানিয়েছি করোনার মধ্যে কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা বিকল্প একটি অপশন দিয়েছি। তবে মন্ত্রণালয় এখনো কিছু বলেননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত