সুমন বাইজিদ, চবি

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি—এই ৪ বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, হাজারের অধিক শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫টি মেয়েদের।
এশিয়ার একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস এটি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এই শাটল যেন কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের ধারক। দিনের পর দিন বগি চাপড়ে গানে গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময় গানে গানে মুখর থাকে শাটলের সব কটি বগি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়।
৫৯ বছর পূর্ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। ২০২৫ সালের ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তনে রূপ নেয়। পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। ৫৬ হাজার ৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক গ্রন্থাগার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩০০ বই নিয়ে যে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। লাইব্রেরির ‘দুষ্প্রাপ্য ও পাণ্ডুলিপি’ শাখায় রয়েছে পরাগল খাঁর ‘মহাভারত’ থেকে শুরু করে আবুল ফজলের আকবরনামা পর্যন্ত। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য রয়েছে ২৪টি গবেষণাকক্ষ। এখানে ১৯৬৮ সাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা আছে। ১৮৭২ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার পুরোনো সাময়িকী রয়েছে শাখাটিতে। এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই। তবে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধ কর্তৃপক্ষের।
চাকসু:
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে। আর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে অনেক গুণীজনের। বরেণ্য মনীষীদের পদচারণে মুখর হয়েছে এই ক্যাম্পাস। উপমহাদেশের খ্যাতিমান ভৌতবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুন, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নানসহ বহু কীর্তিমান মনীষী জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চবি শিক্ষক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের নতুন মাছের প্রজাতি শনাক্ত এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য শিক্ষক মনজুরুল কিবরীয়া পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা। ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের কম খরচে সমুদ্রের পানি সুপেয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার, ড. আল আমিনের লেখা বই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বুক হিসেবে নির্বাচন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরীর বঙ্গোপসাগর নিয়ে মানচিত্র তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাজিদ আলী হাওলাদার, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাখাওয়াত হাসান ও তাঁর দলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিটি করপোরেশন মেয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চবি শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক। দেশের ক্রান্তিকালেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চবির ১৫ জন। ঠিক একইভাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন। দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। বর্তমানে ২০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও রাখা হয়েছে দিনব্যাপী আয়োজন।

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি—এই ৪ বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, হাজারের অধিক শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫টি মেয়েদের।
এশিয়ার একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস এটি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এই শাটল যেন কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের ধারক। দিনের পর দিন বগি চাপড়ে গানে গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময় গানে গানে মুখর থাকে শাটলের সব কটি বগি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়।
৫৯ বছর পূর্ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। ২০২৫ সালের ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তনে রূপ নেয়। পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। ৫৬ হাজার ৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক গ্রন্থাগার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩০০ বই নিয়ে যে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। লাইব্রেরির ‘দুষ্প্রাপ্য ও পাণ্ডুলিপি’ শাখায় রয়েছে পরাগল খাঁর ‘মহাভারত’ থেকে শুরু করে আবুল ফজলের আকবরনামা পর্যন্ত। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য রয়েছে ২৪টি গবেষণাকক্ষ। এখানে ১৯৬৮ সাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা আছে। ১৮৭২ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার পুরোনো সাময়িকী রয়েছে শাখাটিতে। এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই। তবে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধ কর্তৃপক্ষের।
চাকসু:
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে। আর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে অনেক গুণীজনের। বরেণ্য মনীষীদের পদচারণে মুখর হয়েছে এই ক্যাম্পাস। উপমহাদেশের খ্যাতিমান ভৌতবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুন, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নানসহ বহু কীর্তিমান মনীষী জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চবি শিক্ষক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের নতুন মাছের প্রজাতি শনাক্ত এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য শিক্ষক মনজুরুল কিবরীয়া পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা। ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের কম খরচে সমুদ্রের পানি সুপেয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার, ড. আল আমিনের লেখা বই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বুক হিসেবে নির্বাচন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরীর বঙ্গোপসাগর নিয়ে মানচিত্র তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাজিদ আলী হাওলাদার, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাখাওয়াত হাসান ও তাঁর দলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিটি করপোরেশন মেয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চবি শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক। দেশের ক্রান্তিকালেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চবির ১৫ জন। ঠিক একইভাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন। দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। বর্তমানে ২০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও রাখা হয়েছে দিনব্যাপী আয়োজন।
সুমন বাইজিদ, চবি

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি—এই ৪ বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, হাজারের অধিক শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫টি মেয়েদের।
এশিয়ার একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস এটি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এই শাটল যেন কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের ধারক। দিনের পর দিন বগি চাপড়ে গানে গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময় গানে গানে মুখর থাকে শাটলের সব কটি বগি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়।
৫৯ বছর পূর্ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। ২০২৫ সালের ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তনে রূপ নেয়। পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। ৫৬ হাজার ৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক গ্রন্থাগার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩০০ বই নিয়ে যে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। লাইব্রেরির ‘দুষ্প্রাপ্য ও পাণ্ডুলিপি’ শাখায় রয়েছে পরাগল খাঁর ‘মহাভারত’ থেকে শুরু করে আবুল ফজলের আকবরনামা পর্যন্ত। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য রয়েছে ২৪টি গবেষণাকক্ষ। এখানে ১৯৬৮ সাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা আছে। ১৮৭২ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার পুরোনো সাময়িকী রয়েছে শাখাটিতে। এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই। তবে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধ কর্তৃপক্ষের।
চাকসু:
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে। আর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে অনেক গুণীজনের। বরেণ্য মনীষীদের পদচারণে মুখর হয়েছে এই ক্যাম্পাস। উপমহাদেশের খ্যাতিমান ভৌতবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুন, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নানসহ বহু কীর্তিমান মনীষী জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চবি শিক্ষক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের নতুন মাছের প্রজাতি শনাক্ত এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য শিক্ষক মনজুরুল কিবরীয়া পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা। ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের কম খরচে সমুদ্রের পানি সুপেয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার, ড. আল আমিনের লেখা বই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বুক হিসেবে নির্বাচন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরীর বঙ্গোপসাগর নিয়ে মানচিত্র তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাজিদ আলী হাওলাদার, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাখাওয়াত হাসান ও তাঁর দলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিটি করপোরেশন মেয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চবি শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক। দেশের ক্রান্তিকালেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চবির ১৫ জন। ঠিক একইভাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন। দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। বর্তমানে ২০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও রাখা হয়েছে দিনব্যাপী আয়োজন।

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি—এই ৪ বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, হাজারের অধিক শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫টি মেয়েদের।
এশিয়ার একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস এটি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এই শাটল যেন কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের ধারক। দিনের পর দিন বগি চাপড়ে গানে গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময় গানে গানে মুখর থাকে শাটলের সব কটি বগি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়।
৫৯ বছর পূর্ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। ২০২৫ সালের ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তনে রূপ নেয়। পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। ৫৬ হাজার ৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক গ্রন্থাগার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩০০ বই নিয়ে যে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। লাইব্রেরির ‘দুষ্প্রাপ্য ও পাণ্ডুলিপি’ শাখায় রয়েছে পরাগল খাঁর ‘মহাভারত’ থেকে শুরু করে আবুল ফজলের আকবরনামা পর্যন্ত। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য রয়েছে ২৪টি গবেষণাকক্ষ। এখানে ১৯৬৮ সাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা আছে। ১৮৭২ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার পুরোনো সাময়িকী রয়েছে শাখাটিতে। এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই। তবে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধ কর্তৃপক্ষের।
চাকসু:
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে। আর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে অনেক গুণীজনের। বরেণ্য মনীষীদের পদচারণে মুখর হয়েছে এই ক্যাম্পাস। উপমহাদেশের খ্যাতিমান ভৌতবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুন, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নানসহ বহু কীর্তিমান মনীষী জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চবি শিক্ষক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের নতুন মাছের প্রজাতি শনাক্ত এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য শিক্ষক মনজুরুল কিবরীয়া পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা। ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের কম খরচে সমুদ্রের পানি সুপেয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার, ড. আল আমিনের লেখা বই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বুক হিসেবে নির্বাচন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরীর বঙ্গোপসাগর নিয়ে মানচিত্র তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাজিদ আলী হাওলাদার, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাখাওয়াত হাসান ও তাঁর দলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিটি করপোরেশন মেয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চবি শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক। দেশের ক্রান্তিকালেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চবির ১৫ জন। ঠিক একইভাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন। দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। বর্তমানে ২০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও রাখা হয়েছে দিনব্যাপী আয়োজন।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
২ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৮ নভেম্বর ২০২৫
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
২ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৮ নভেম্বর ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৮ নভেম্বর ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসটিআই-২০২৫ সম্মেলন আমাদের দেখিয়েছে, প্রযুক্তি ও পরিবেশ একসঙ্গে এগোলে টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব। এখানে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো আগামী দিনের শিল্প খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল আলোচনা এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সেরা গবেষণা প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসটিআই-২০২৫ সম্মেলন আমাদের দেখিয়েছে, প্রযুক্তি ও পরিবেশ একসঙ্গে এগোলে টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব। এখানে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো আগামী দিনের শিল্প খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল আলোচনা এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সেরা গবেষণা প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৮ নভেম্বর ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
২ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৩ ঘণ্টা আগে