মিনহাজ তুহিন, চবি
স্বপ্নপূরণের আশা নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে ক্যাম্পাসে ছুটে বেড়াচ্ছেন ৫৫ বছর বয়সী বেলায়েত শেখ। ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। আগামীকাল সোমবার ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছেন। তাঁর পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে।
আজ রোববার সকালে কথা হয় বেলায়েত শেখের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামীকাল ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিব। আমার পরীক্ষা দ্বিতীয় শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। সকালে ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেছি। বর্তমানে এলাকার এক ছোট ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছি।’
পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে বেলায়েত শেখ বলেন, ‘পরীক্ষার প্রস্তুতি মোটামুটি। আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হই। আমাকে এখন শুয়ে থাকতে হয়। ডায়াবেটিসও ধরা পড়েছে ৷ এর পরও যতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।’
দরিদ্র পরিবারে জন্ম বেলায়েত শেখের। লেখাপড়া করার প্রবল মনোবল আর ইচ্ছে থাকলেও ছোটবেলা থেকে অসুস্থ বাবার সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল তাঁকে। কখনো দিনমজুর, কখনো হোটেল বয়, আবার কখনো গ্যারেজের টুকিটাকি কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বৃদ্ধ বাবা ও অসুস্থ মায়ের সেবা করেছেন তিনি। এর জন্য লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি বেলায়েত শেখ। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। একে একে পরীক্ষা দিয়েছেন ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত কোথাও সাফল্য মেলেনি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বেলায়েত শেখের বাড়ি। দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। বড় ছেলে বিয়ে করে ব্যবসা করছেন। ছোট ছেলে শ্রীপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। একমাত্র মেয়েকে গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ার সময় বিয়ে দেন বেলায়েত।
বেলায়েত শেখ জানান, ১৯৮৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সে সময় বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। পরে আর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেননি।
বেলায়েত শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবের কারণে আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরে সংসারের হাল ধরেছি। সেই সঙ্গে ভাইদের পড়াশোনা করানোর চেষ্টা করেছি, সেটাও পারিনি। এরপর নিজের ছেলে ও মেয়েদের পড়াতে চেয়েছিলাম, সেখানেও ব্যর্থ হই। পরে ৫০ বছর বয়সে ২০১৭ সালে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নিজেই লেখাপড়া শুরু করি।’
২০১৯ সালে ঢাকার বাসাবোর দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করেন বলে জানান তিনি। এরপর ২০২১ সালে রাজধানীর রামপুরার মহানগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। একই বছর তাঁর ছেলে এসএসসি পাস করে। এসএসসিতে জিপিএ ৪.৪৩ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৫৮ পান বলে জানান বেলায়েত। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য শ্রীপুরের মাওনার একটি কোচিং সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং করছেন তিনি।
বেলায়েত বলেন, ‘২০১৭ সালে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করি। প্রথম দিকে একটু কঠিনই ছিল। কারণ সে সময় আমার কাছের মানুষজনও আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত। তবে একটা সময় গিয়ে সেটা ঠিক হয়ে যায়। নিজেকে বয়স্ক ভাবি না, যুবক ভাবি। কিছু চুল পেকে গেছে। চুলে কলপ দিয়ে রাখি। কারণ কলপ দিয়ে না রাখলে এগুলোর জন্য নিজেকে বয়স্ক মনে হয়। আর তখন মনটা দুর্বল হয়ে যায়।’
স্বপ্নপূরণের আশা নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে ক্যাম্পাসে ছুটে বেড়াচ্ছেন ৫৫ বছর বয়সী বেলায়েত শেখ। ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। আগামীকাল সোমবার ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছেন। তাঁর পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে।
আজ রোববার সকালে কথা হয় বেলায়েত শেখের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামীকাল ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিব। আমার পরীক্ষা দ্বিতীয় শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। সকালে ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেছি। বর্তমানে এলাকার এক ছোট ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছি।’
পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে বেলায়েত শেখ বলেন, ‘পরীক্ষার প্রস্তুতি মোটামুটি। আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হই। আমাকে এখন শুয়ে থাকতে হয়। ডায়াবেটিসও ধরা পড়েছে ৷ এর পরও যতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।’
দরিদ্র পরিবারে জন্ম বেলায়েত শেখের। লেখাপড়া করার প্রবল মনোবল আর ইচ্ছে থাকলেও ছোটবেলা থেকে অসুস্থ বাবার সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল তাঁকে। কখনো দিনমজুর, কখনো হোটেল বয়, আবার কখনো গ্যারেজের টুকিটাকি কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বৃদ্ধ বাবা ও অসুস্থ মায়ের সেবা করেছেন তিনি। এর জন্য লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি বেলায়েত শেখ। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। একে একে পরীক্ষা দিয়েছেন ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত কোথাও সাফল্য মেলেনি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বেলায়েত শেখের বাড়ি। দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। বড় ছেলে বিয়ে করে ব্যবসা করছেন। ছোট ছেলে শ্রীপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। একমাত্র মেয়েকে গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ার সময় বিয়ে দেন বেলায়েত।
বেলায়েত শেখ জানান, ১৯৮৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সে সময় বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। পরে আর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেননি।
বেলায়েত শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবের কারণে আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরে সংসারের হাল ধরেছি। সেই সঙ্গে ভাইদের পড়াশোনা করানোর চেষ্টা করেছি, সেটাও পারিনি। এরপর নিজের ছেলে ও মেয়েদের পড়াতে চেয়েছিলাম, সেখানেও ব্যর্থ হই। পরে ৫০ বছর বয়সে ২০১৭ সালে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নিজেই লেখাপড়া শুরু করি।’
২০১৯ সালে ঢাকার বাসাবোর দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করেন বলে জানান তিনি। এরপর ২০২১ সালে রাজধানীর রামপুরার মহানগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। একই বছর তাঁর ছেলে এসএসসি পাস করে। এসএসসিতে জিপিএ ৪.৪৩ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৫৮ পান বলে জানান বেলায়েত। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য শ্রীপুরের মাওনার একটি কোচিং সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং করছেন তিনি।
বেলায়েত বলেন, ‘২০১৭ সালে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করি। প্রথম দিকে একটু কঠিনই ছিল। কারণ সে সময় আমার কাছের মানুষজনও আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত। তবে একটা সময় গিয়ে সেটা ঠিক হয়ে যায়। নিজেকে বয়স্ক ভাবি না, যুবক ভাবি। কিছু চুল পেকে গেছে। চুলে কলপ দিয়ে রাখি। কারণ কলপ দিয়ে না রাখলে এগুলোর জন্য নিজেকে বয়স্ক মনে হয়। আর তখন মনটা দুর্বল হয়ে যায়।’
প্রশ্নফাঁসের হুমকি ‘সব সময়ই থাকে’ কিন্তু প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার তৎপর আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি আরও বলেন, ‘দুষ্টু চক্রতো সবসময় চেষ্টা করবে এগুলো করতে। যেভাবে আমরা এসএসসিটা সামলেছি আশা করি এগুলোও পারব।’
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রকাশিত হবে। গতকাল বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেএবার দেশের ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসবে। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন, ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯৭টি।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। ইংরেজি প্রথম পত্রে ভালো করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যাবে না।
৮ ঘণ্টা আগে