শিক্ষা ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সিজিপিএ শুধু একটি সংখ্যার হিসাব নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীর পরিশ্রম, একাগ্রতা ও পরিকল্পনার প্রতিফলন। প্রথম বর্ষ থেকে শেষ সেমিস্টার পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সিজিপিএ ধরে রাখার লড়াই যেন এক নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম। কারও কাছে এটি হয় মেঘলা আকাশে একফালি রোদ, কারও কাছে আবার আত্মবিশ্বাসী যাত্রার মানচিত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী তাঁদের অভিজ্ঞতা, কৌশল ও ব্যক্তিগত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে সিজিপিএ ধরে রাখা সম্ভব।
ভালো ফলের অন্যতম হাতিয়ার গ্রুপ স্টাডি
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৭৪)
দীর্ঘ স্কুল, কলেজজীবন পার হয়ে অ্যাডমিশন নামক তুমুল ভর্তিযুদ্ধ শেষ করে ঢাবিতে পা রাখার পরম সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম আমি। আমার কাছে নতুন পরিবেশ, নতুন
অভিজ্ঞতা, নতুন বন্ধুদের আনাগোনায় মুখরিত ক্যাম্পাসজীবনে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা একজন শিক্ষার্থীর জন্য মানবিক বিভাগের যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল।
তবু নিজের সঙ্গে শুরু হওয়া নতুন যুদ্ধে শামিল হয়ে প্রতিজ্ঞা করি ভালো ফলাফলের। সেই থেকে শুরু হয় আমার নতুন পথচলা। নিয়মিত সঠিক সময়ে ক্লাসে পৌঁছানো, পূর্বের ক্লাস লেকচার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, নতুন নতুন আলোচনায় যুক্ত হওয়া, সমসাময়িক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কিত আগ্রহ বাড়াতে পেপার, জার্নাল, সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখা–এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
প্রতিদিনের ক্লাস লেকচার নোট আকারে সাজিয়ে পড়া, মার্জিত ও সাবলীল পরীক্ষার খাতায় লেখা উপস্থাপন, হস্তশৈলী একজন শিক্ষার্থীর ফলাফল ভালো করার অন্যতম সহায়ক উপায়। একই সঙ্গে, তথ্যবহুল সমসাময়িক রাজনৈতিক জ্ঞান এবং নান্দনিক উপস্থাপন দক্ষতা আমার ফলাফলে ব্যাপক প্রাধান্য পেয়েছে বরাবরই।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ভালো ফলাফলের অন্যতম হাতিয়ার হলো গ্রুপ স্টাডি। এ ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ সেমিনার ওয়ার্ক, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, সহশিক্ষাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাড়তি মাত্রা যুক্ত করে।
সিজিপিএ ধরে রাখা কঠিন, অসম্ভব নয়
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৭০)
শুরুতে প্রয়োজন সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা। ক্লাস, পড়াশোনা, বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য সময় রাখা। পরীক্ষার আগের রাত জেগে পড়ার চেয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প পড়লে চাপ কম হয়। হুটহাট পড়াশোনা করে ভালো ফল করা যায় না।
পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ক্লাসে মনোযোগী হওয়া খুবই জরুরি। কারণ শিক্ষক যা বলেন তা বইয়ের চেয়ে সহজভাবে আমাদের মনে থাকে। সেই সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক খাতায় তারিখসহ ক্লাসনোট আমার পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও সহজ করেছে। নিয়মিত ক্লাসনোট ও খাতায় খুঁটিনাটি লিখে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
নিজের পড়ার পাশাপাশি গ্রুপ স্টাডি সিজিপিএ ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলে কঠিন বিষয়গুলো সহজ হয়ে যায়। আর নিজের দুর্বলতাগুলোও ধরা পড়ে। পরীক্ষায় ভালো করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, খাতায় উপস্থাপন। পরীক্ষার খাতায় লেখা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ, যুক্তিযুক্ত এবং তথ্যবহুল হয়।
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা হতাশা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বড় বাধা। মানসিক চাপ কমাতে নিজের পছন্দের কাজগুলো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। যেমন হাঁটতে বের হওয়া, খেলাধুলা করা বা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম।
স্নাতকে সিজিপিএ ধরে রাখা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। দৃঢ়সংকল্প, নিয়মিত পড়াশোনা ও সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা আর ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে সিজিপিএ ধরে রাখাটা সহজ হয়ে যায়।
সময়, দায়িত্ব আর পড়াশোনার ভারসাম্য
শিক্ষার্থী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৬৪)
অনার্স-জীবন অনেকটা মেঘলা দিনের আকাশের মতো। যেখানে স্বপ্নগুলো মেঘাচ্ছন্ন আকাশের একফালি রোদ। এ সময় সিজিপিএ শুধু সাংখ্যিক হিসাব নয়, এটা একজন শিক্ষার্থীর অধ্যবসায়, মেধা ও মননের সমন্বিত রূপ। উচ্চশিক্ষার এই স্তরের প্রতিটি ধাপে একটা গুণগত মানসম্পন্ন সিজিপিএ ধরে রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন।
শুধু পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে কখনোই ভালো একটা রেজাল্ট করা সম্ভব নয়। পাঠ্যপুস্তককে শুধু পরীক্ষার উপকরণ মনে না করে, বরং এখানে ভালো লাগার জায়গা তৈরি করতে হবে। এ জন্য দরকার প্রতিদিনের ক্লাসে নোট করা, কোনো বিষয়ে সংশয় থাকলে স্যারদের সঙ্গে আলোচনা আর বিভিন্ন রেফারেন্স বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার। যেমন একটি একাডেমিক রোডম্যাপ তৈরি করে রাখা। যেখানে থাকবে আমি কোন সময়ে কোন বিষয়টাকে গুরুত্ব দেব। কোন বিষয়ে আমার দুর্বলতা আছে আর কোনটায় নেই। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া।
নিজের জ্ঞানকে আরও বেশি সমৃদ্ধ বা তথ্যবহুল করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম, রেফারেন্স বইয়ের অনুসন্ধান করতে হবে।
যেটা না হলেই নয়, সেটা হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। একটা ফসলি জমি থেকে সর্বোচ্চ ফলন পাওয়ার জন্য যেমন প্রয়োজনীয় যত্নের এবং বিশ্রামের দরকার হয়, একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমনই।
তাই স্বপ্ন পূরণে চাই গৎ বাঁধা না পড়ে স্মার্টভাবে পড়াশোনার অভ্যাস তৈরি করা।
অধ্যবসায়, কৌশল আর সহপাঠীর সহযোগিতা
শিক্ষার্থী, ইংরেজি ভাষা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৫৬)
অনার্স-জীবন নিছক একটি শিক্ষাজীবন নয়; বরং এটি এক অনবরত সংগ্রামের নাম। যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপেই লাগে নিষ্ঠা ও পরিকল্পনা। সিজিপিএ ধরে রাখার এই যাত্রায় আমি বুঝেছি যে শুধু মেধা নয়, অধ্যবসায়ই প্রকৃত মূলধন। ক্লাসে স্যারের বলা প্রতিটি লেকচারে মনোযোগ দেওয়াই ছিল আমার প্রথম কাজ। কারণ শ্রেণিকক্ষের সেই মুহূর্তগুলোই হয়ে উঠত পরীক্ষার খাতার প্রাণ।
বাসায় ফিরে আমি অন্তত দুই সপ্তাহ পরপর জমে থাকা পাঠ পুনর্বার পড়তাম। গুগল ডক্সে টপিক সাজিয়ে লেখা, কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া–এসবই আমাকে সংগঠিত থাকতে সাহায্য করেছে। আর ভেতরে ছিল এক তীব্র বাসনা; যে করেই হোক সিজিপিএ ধরে রাখতে হবে। তাই সেমিস্টার ফাইনালের আগের ছুটিগুলোতে আমি যেন নিজেকে উজাড় করে দিতাম পড়াশোনার কাছে।
পরীক্ষার খাতায়ও প্রয়োগ করতাম কৌশল। যেমন গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ভিন্ন কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করা, সময়ের যথাযথ ব্যবহার আর সুন্দর হাতের লেখা; সব মিলিয়ে খাতাকে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করতাম। এই পথচলায় দলগত চর্চাও ছিল অপরিহার্য। বন্ধু মৃদুলা, মামুন, তামিম ও জিনাত আমাকে নোট, সাজেশন আর সাহচর্যে ভরসা জুগিয়েছে।
সিজিপিএ ধরে রাখার এ লড়াই যে মসৃণ ছিল তা নয়, বহুবার হতাশ হয়েছি, কিন্তু আমি নিজেকে কখনো ছেড়ে যাইনি। আবার ফেরত এসেছি ইতিবাচকতার হাত ধরে, সংকল্পের প্রাণশক্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সিজিপিএ শুধু একটি সংখ্যার হিসাব নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীর পরিশ্রম, একাগ্রতা ও পরিকল্পনার প্রতিফলন। প্রথম বর্ষ থেকে শেষ সেমিস্টার পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সিজিপিএ ধরে রাখার লড়াই যেন এক নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম। কারও কাছে এটি হয় মেঘলা আকাশে একফালি রোদ, কারও কাছে আবার আত্মবিশ্বাসী যাত্রার মানচিত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী তাঁদের অভিজ্ঞতা, কৌশল ও ব্যক্তিগত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে সিজিপিএ ধরে রাখা সম্ভব।
ভালো ফলের অন্যতম হাতিয়ার গ্রুপ স্টাডি
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৭৪)
দীর্ঘ স্কুল, কলেজজীবন পার হয়ে অ্যাডমিশন নামক তুমুল ভর্তিযুদ্ধ শেষ করে ঢাবিতে পা রাখার পরম সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম আমি। আমার কাছে নতুন পরিবেশ, নতুন
অভিজ্ঞতা, নতুন বন্ধুদের আনাগোনায় মুখরিত ক্যাম্পাসজীবনে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা একজন শিক্ষার্থীর জন্য মানবিক বিভাগের যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল।
তবু নিজের সঙ্গে শুরু হওয়া নতুন যুদ্ধে শামিল হয়ে প্রতিজ্ঞা করি ভালো ফলাফলের। সেই থেকে শুরু হয় আমার নতুন পথচলা। নিয়মিত সঠিক সময়ে ক্লাসে পৌঁছানো, পূর্বের ক্লাস লেকচার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, নতুন নতুন আলোচনায় যুক্ত হওয়া, সমসাময়িক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কিত আগ্রহ বাড়াতে পেপার, জার্নাল, সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখা–এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
প্রতিদিনের ক্লাস লেকচার নোট আকারে সাজিয়ে পড়া, মার্জিত ও সাবলীল পরীক্ষার খাতায় লেখা উপস্থাপন, হস্তশৈলী একজন শিক্ষার্থীর ফলাফল ভালো করার অন্যতম সহায়ক উপায়। একই সঙ্গে, তথ্যবহুল সমসাময়িক রাজনৈতিক জ্ঞান এবং নান্দনিক উপস্থাপন দক্ষতা আমার ফলাফলে ব্যাপক প্রাধান্য পেয়েছে বরাবরই।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ভালো ফলাফলের অন্যতম হাতিয়ার হলো গ্রুপ স্টাডি। এ ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ সেমিনার ওয়ার্ক, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, সহশিক্ষাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাড়তি মাত্রা যুক্ত করে।
সিজিপিএ ধরে রাখা কঠিন, অসম্ভব নয়
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৭০)
শুরুতে প্রয়োজন সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা। ক্লাস, পড়াশোনা, বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য সময় রাখা। পরীক্ষার আগের রাত জেগে পড়ার চেয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প পড়লে চাপ কম হয়। হুটহাট পড়াশোনা করে ভালো ফল করা যায় না।
পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ক্লাসে মনোযোগী হওয়া খুবই জরুরি। কারণ শিক্ষক যা বলেন তা বইয়ের চেয়ে সহজভাবে আমাদের মনে থাকে। সেই সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক খাতায় তারিখসহ ক্লাসনোট আমার পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও সহজ করেছে। নিয়মিত ক্লাসনোট ও খাতায় খুঁটিনাটি লিখে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
নিজের পড়ার পাশাপাশি গ্রুপ স্টাডি সিজিপিএ ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলে কঠিন বিষয়গুলো সহজ হয়ে যায়। আর নিজের দুর্বলতাগুলোও ধরা পড়ে। পরীক্ষায় ভালো করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, খাতায় উপস্থাপন। পরীক্ষার খাতায় লেখা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ, যুক্তিযুক্ত এবং তথ্যবহুল হয়।
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা হতাশা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বড় বাধা। মানসিক চাপ কমাতে নিজের পছন্দের কাজগুলো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। যেমন হাঁটতে বের হওয়া, খেলাধুলা করা বা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম।
স্নাতকে সিজিপিএ ধরে রাখা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। দৃঢ়সংকল্প, নিয়মিত পড়াশোনা ও সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা আর ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে সিজিপিএ ধরে রাখাটা সহজ হয়ে যায়।
সময়, দায়িত্ব আর পড়াশোনার ভারসাম্য
শিক্ষার্থী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৬৪)
অনার্স-জীবন অনেকটা মেঘলা দিনের আকাশের মতো। যেখানে স্বপ্নগুলো মেঘাচ্ছন্ন আকাশের একফালি রোদ। এ সময় সিজিপিএ শুধু সাংখ্যিক হিসাব নয়, এটা একজন শিক্ষার্থীর অধ্যবসায়, মেধা ও মননের সমন্বিত রূপ। উচ্চশিক্ষার এই স্তরের প্রতিটি ধাপে একটা গুণগত মানসম্পন্ন সিজিপিএ ধরে রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন।
শুধু পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে কখনোই ভালো একটা রেজাল্ট করা সম্ভব নয়। পাঠ্যপুস্তককে শুধু পরীক্ষার উপকরণ মনে না করে, বরং এখানে ভালো লাগার জায়গা তৈরি করতে হবে। এ জন্য দরকার প্রতিদিনের ক্লাসে নোট করা, কোনো বিষয়ে সংশয় থাকলে স্যারদের সঙ্গে আলোচনা আর বিভিন্ন রেফারেন্স বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার। যেমন একটি একাডেমিক রোডম্যাপ তৈরি করে রাখা। যেখানে থাকবে আমি কোন সময়ে কোন বিষয়টাকে গুরুত্ব দেব। কোন বিষয়ে আমার দুর্বলতা আছে আর কোনটায় নেই। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া।
নিজের জ্ঞানকে আরও বেশি সমৃদ্ধ বা তথ্যবহুল করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম, রেফারেন্স বইয়ের অনুসন্ধান করতে হবে।
যেটা না হলেই নয়, সেটা হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। একটা ফসলি জমি থেকে সর্বোচ্চ ফলন পাওয়ার জন্য যেমন প্রয়োজনীয় যত্নের এবং বিশ্রামের দরকার হয়, একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমনই।
তাই স্বপ্ন পূরণে চাই গৎ বাঁধা না পড়ে স্মার্টভাবে পড়াশোনার অভ্যাস তৈরি করা।
অধ্যবসায়, কৌশল আর সহপাঠীর সহযোগিতা
শিক্ষার্থী, ইংরেজি ভাষা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সিজিপিএ–৩.৫৬)
অনার্স-জীবন নিছক একটি শিক্ষাজীবন নয়; বরং এটি এক অনবরত সংগ্রামের নাম। যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপেই লাগে নিষ্ঠা ও পরিকল্পনা। সিজিপিএ ধরে রাখার এই যাত্রায় আমি বুঝেছি যে শুধু মেধা নয়, অধ্যবসায়ই প্রকৃত মূলধন। ক্লাসে স্যারের বলা প্রতিটি লেকচারে মনোযোগ দেওয়াই ছিল আমার প্রথম কাজ। কারণ শ্রেণিকক্ষের সেই মুহূর্তগুলোই হয়ে উঠত পরীক্ষার খাতার প্রাণ।
বাসায় ফিরে আমি অন্তত দুই সপ্তাহ পরপর জমে থাকা পাঠ পুনর্বার পড়তাম। গুগল ডক্সে টপিক সাজিয়ে লেখা, কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া–এসবই আমাকে সংগঠিত থাকতে সাহায্য করেছে। আর ভেতরে ছিল এক তীব্র বাসনা; যে করেই হোক সিজিপিএ ধরে রাখতে হবে। তাই সেমিস্টার ফাইনালের আগের ছুটিগুলোতে আমি যেন নিজেকে উজাড় করে দিতাম পড়াশোনার কাছে।
পরীক্ষার খাতায়ও প্রয়োগ করতাম কৌশল। যেমন গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ভিন্ন কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করা, সময়ের যথাযথ ব্যবহার আর সুন্দর হাতের লেখা; সব মিলিয়ে খাতাকে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করতাম। এই পথচলায় দলগত চর্চাও ছিল অপরিহার্য। বন্ধু মৃদুলা, মামুন, তামিম ও জিনাত আমাকে নোট, সাজেশন আর সাহচর্যে ভরসা জুগিয়েছে।
সিজিপিএ ধরে রাখার এ লড়াই যে মসৃণ ছিল তা নয়, বহুবার হতাশ হয়েছি, কিন্তু আমি নিজেকে কখনো ছেড়ে যাইনি। আবার ফেরত এসেছি ইতিবাচকতার হাত ধরে, সংকল্পের প্রাণশক্তিতে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের জন্য ১২ মাসে ২৪টি সংস্কারের ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতি চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন...
৪ ঘণ্টা আগেইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) তাদের জনপ্রিয় আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ৭০ তম রাউন্ডের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। এই প্রোগ্রামটি নন-আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের স্নাতকধারীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সাড়ে আট মাসের আইটি প্রশিক্ষণের সুযোগ দিচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২২ অক্টোবর (বুধবার) থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা।
৯ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসএনইউ) স্যামসাং বৃত্তি-২০২৬ সালের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে...
১১ ঘণ্টা আগে