নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে সন্তানদের শিক্ষা ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বহন করে পরিবার। এখানে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার খরচ অত্যধিক বেশি। বহু পরিবারকে ঋণ করে সন্তানের পড়াশোনার ব্যয় সংকুলান করতে হয়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ব্র্যাক আয়োজিত ‘ইউনেসকোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২–এর সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করে পরিবার। অরাষ্ট্রীয় বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার খরচ সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তিন গুণ। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের ক্ষেত্রে এই ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ৯ গুণ, যেখানে পাকিস্তানে শিক্ষা ব্যয়ের ৫৭ শতাংশ বহন করে পরিবার।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১২ শতাংশ পরিবার সঞ্চয় করে এবং ৬ শতাংশ পরিবার স্কুলের ফি মেটাতে ঋণ করে থাকে। সেখানে বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবার ঋণ করে সন্তানদের বেসরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ মেটায়।
ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অরাষ্ট্রীয় বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণকারীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারি শিক্ষার্থী ঋণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফির ওপর কর আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এর ফলে কিছু সিদ্ধান্তের পরিবর্তন এসেছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘যাদের রোল শুরুর দিকে থাকে, তারাই ক্লাসে সামনের সারিতে বসে। শিক্ষকেরাও তাদের দিকেই নজর দেন ৷ আর পেছনের সারিতে যারা বসে, যাদের রোল পেছনে থাকে, তাদের দিকে কোনো নজর থাকে না। এ জন্য আমরা ইউনিক আইডি করছি। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের তথ্যই পাওয়া যাবে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ সেভাবে বাড়েনি। এমপিও ব্যবস্থাপনায় সমস্যা এবং দুর্নীতি আছে। এমপিও মডেল কার্যকর করতে আরও সংস্কারের প্রয়োজন আছে।’ স্থায়ী শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষা অধিকার আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘বেসরকারি স্কুল কতটা বেসরকারি, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। বেসরকারি স্কুলগুলোতেও সরকারের পক্ষ থেকে অবকাঠামো করে দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষকের বেতন দিচ্ছে, বিনা মূল্যে বইও দেওয়া হচ্ছে। সরকার বর্তমানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে। ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ শিক্ষক বর্তমানে ট্রেনিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত পর্যায়ের শিক্ষক এতে অংশ নিচ্ছেন।’
বক্তারা জানান, দেশে সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ আসনের বিপরীতে ভর্তির আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৭ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার।
ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ।
বাংলাদেশে সন্তানদের শিক্ষা ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বহন করে পরিবার। এখানে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার খরচ অত্যধিক বেশি। বহু পরিবারকে ঋণ করে সন্তানের পড়াশোনার ব্যয় সংকুলান করতে হয়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ব্র্যাক আয়োজিত ‘ইউনেসকোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২–এর সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করে পরিবার। অরাষ্ট্রীয় বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার খরচ সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তিন গুণ। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের ক্ষেত্রে এই ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ৯ গুণ, যেখানে পাকিস্তানে শিক্ষা ব্যয়ের ৫৭ শতাংশ বহন করে পরিবার।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১২ শতাংশ পরিবার সঞ্চয় করে এবং ৬ শতাংশ পরিবার স্কুলের ফি মেটাতে ঋণ করে থাকে। সেখানে বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবার ঋণ করে সন্তানদের বেসরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ মেটায়।
ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অরাষ্ট্রীয় বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণকারীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারি শিক্ষার্থী ঋণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফির ওপর কর আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এর ফলে কিছু সিদ্ধান্তের পরিবর্তন এসেছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘যাদের রোল শুরুর দিকে থাকে, তারাই ক্লাসে সামনের সারিতে বসে। শিক্ষকেরাও তাদের দিকেই নজর দেন ৷ আর পেছনের সারিতে যারা বসে, যাদের রোল পেছনে থাকে, তাদের দিকে কোনো নজর থাকে না। এ জন্য আমরা ইউনিক আইডি করছি। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের তথ্যই পাওয়া যাবে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ সেভাবে বাড়েনি। এমপিও ব্যবস্থাপনায় সমস্যা এবং দুর্নীতি আছে। এমপিও মডেল কার্যকর করতে আরও সংস্কারের প্রয়োজন আছে।’ স্থায়ী শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষা অধিকার আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘বেসরকারি স্কুল কতটা বেসরকারি, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। বেসরকারি স্কুলগুলোতেও সরকারের পক্ষ থেকে অবকাঠামো করে দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষকের বেতন দিচ্ছে, বিনা মূল্যে বইও দেওয়া হচ্ছে। সরকার বর্তমানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে। ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ শিক্ষক বর্তমানে ট্রেনিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত পর্যায়ের শিক্ষক এতে অংশ নিচ্ছেন।’
বক্তারা জানান, দেশে সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ আসনের বিপরীতে ভর্তির আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৭ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার।
ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ।
রাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছাপানো ও ফাঁস হওয়া নকল ব্যালটের অভিযোগ নিয়ে এবার অধিকতর তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে...
৭ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
১৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
১৯ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা যেকোনো শিক্ষার্থীর জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার দক্ষতার ভিত্তিতে নয়, ধৈর্য, মনোবল এবং সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
১ দিন আগে