আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১০ ঘণ্টা আগে
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক এমনই ভিন্নধর্মী এক আড্ডার আয়োজন করেছে পাঠকবন্ধু আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (আরপিএসইউ) শাখা। এটি ছিল পাঠকবন্ধুর দ্বিতীয় পর্বের প্রাণবন্ত ‘ক্যাম্পাস আড্ডা’, যেখানে হাসি, গল্প ও সৃজনশীলতায় মিলিত হয়েছে এক মধুর মিলনক্ষেত্র।
২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে বসে এই প্রাণবন্ত আড্ডা। এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন কুইজ প্রতিযোগিতা, রম্য বিতর্ক, মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা এবং সুরের তালে তালে গান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন আরপিএসইউ পাঠকবন্ধু শাখার সদস্যরা। পরে নুসরাত আহমেদ কণার সঞ্চালনায় শুরু হয় আড্ডার আলোচনা। শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান, আজকের পত্রিকার পক্ষে হেড অব ডিজিটাল অ্যাড সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন, পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন এবং পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।

ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবী আমরা গড়ে তুলতে চাইলে শুধু পরিবেশ সুন্দর করাই যথেষ্ট নয়। প্রথমে আমাদের মনের ভেতরটি পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। তখন শরীর-মন সুস্থ থাকবে, রোগ-বালাই কমবে। মানবিকতা গড়ে তোলা, সুন্দরভাবে বাঁচা—এই প্রত্যয় আমাদের রাখতে হবে।’
প্রযুক্তির এই যুগে আমরা ধীরে ধীরে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তবে পাঠকবন্ধু চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এবং তাদের পাঠাভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বাইরে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা—এটিই আজকের ক্যাম্পাস আড্ডার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন।

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা এমন এক আড্ডার আয়োজন করেছি, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে তাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।’
মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলি।’

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস আড্ডা একটি অনন্য মঞ্চ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা একত্র হয়ে জ্ঞান, চিন্তা ও মানবিকতার সুন্দর বন্ধনে মিলিত হন। পাঠ শুধুই বিদ্বান বানায় না, মানুষও গড়ে তোলে।’
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রম্য বিতর্ক ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন নয়, শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তিই ভয়ংকর!’। এতে অংশ নেন তামান্না আক্তার, আফরিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা ও এশা ইসলাম। প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া সুলতানা।

এরপর শুরু হয় মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা, যেখানে মিউজিকের তালে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন খেলার আনন্দ। প্রথম হন মেহেরুনেছা মেরি। এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরপিএসইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া আক্তার।
পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে তরুণদের এই সৃষ্টিশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবরিন সুলতানা উর্বরা জানান, আরপিএসইউ ক্যাম্পাসে এক অনন্য বিকেল কাটল পাঠপ্রেমী তরুণদের সঙ্গে। বই শুধুই পড়ার বস্তু নয়, এটি একটি সেতুবন্ধন, যা মানুষকে মানুষে যুক্ত করে, ভাবনায় গভীরতা আনে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।’
অনুষ্ঠান শেষে পাঠকবন্ধুর অতিথি ও সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। হাসি, গল্প আর গানে গানে এক আনন্দঘন দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠকবন্ধুদের।

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক এমনই ভিন্নধর্মী এক আড্ডার আয়োজন করেছে পাঠকবন্ধু আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (আরপিএসইউ) শাখা। এটি ছিল পাঠকবন্ধুর দ্বিতীয় পর্বের প্রাণবন্ত ‘ক্যাম্পাস আড্ডা’, যেখানে হাসি, গল্প ও সৃজনশীলতায় মিলিত হয়েছে এক মধুর মিলনক্ষেত্র।
২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে বসে এই প্রাণবন্ত আড্ডা। এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন কুইজ প্রতিযোগিতা, রম্য বিতর্ক, মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা এবং সুরের তালে তালে গান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন আরপিএসইউ পাঠকবন্ধু শাখার সদস্যরা। পরে নুসরাত আহমেদ কণার সঞ্চালনায় শুরু হয় আড্ডার আলোচনা। শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান, আজকের পত্রিকার পক্ষে হেড অব ডিজিটাল অ্যাড সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন, পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন এবং পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।

ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবী আমরা গড়ে তুলতে চাইলে শুধু পরিবেশ সুন্দর করাই যথেষ্ট নয়। প্রথমে আমাদের মনের ভেতরটি পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। তখন শরীর-মন সুস্থ থাকবে, রোগ-বালাই কমবে। মানবিকতা গড়ে তোলা, সুন্দরভাবে বাঁচা—এই প্রত্যয় আমাদের রাখতে হবে।’
প্রযুক্তির এই যুগে আমরা ধীরে ধীরে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তবে পাঠকবন্ধু চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এবং তাদের পাঠাভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বাইরে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা—এটিই আজকের ক্যাম্পাস আড্ডার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন।

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা এমন এক আড্ডার আয়োজন করেছি, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে তাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।’
মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলি।’

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস আড্ডা একটি অনন্য মঞ্চ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা একত্র হয়ে জ্ঞান, চিন্তা ও মানবিকতার সুন্দর বন্ধনে মিলিত হন। পাঠ শুধুই বিদ্বান বানায় না, মানুষও গড়ে তোলে।’
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রম্য বিতর্ক ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন নয়, শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তিই ভয়ংকর!’। এতে অংশ নেন তামান্না আক্তার, আফরিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা ও এশা ইসলাম। প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া সুলতানা।

এরপর শুরু হয় মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা, যেখানে মিউজিকের তালে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন খেলার আনন্দ। প্রথম হন মেহেরুনেছা মেরি। এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরপিএসইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া আক্তার।
পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে তরুণদের এই সৃষ্টিশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবরিন সুলতানা উর্বরা জানান, আরপিএসইউ ক্যাম্পাসে এক অনন্য বিকেল কাটল পাঠপ্রেমী তরুণদের সঙ্গে। বই শুধুই পড়ার বস্তু নয়, এটি একটি সেতুবন্ধন, যা মানুষকে মানুষে যুক্ত করে, ভাবনায় গভীরতা আনে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।’
অনুষ্ঠান শেষে পাঠকবন্ধুর অতিথি ও সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। হাসি, গল্প আর গানে গানে এক আনন্দঘন দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠকবন্ধুদের।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগে