উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়াশোনা করতে চান অনেকেই, কিন্তু কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, কোন বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, কিংবা কীভাবে বৃত্তি পাওয়া সম্ভব—এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। বিশেষ করে স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনার মতো ক্ষেত্রগুলোতে কীভাবে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়, তা নিয়ে রয়েছে অনেক কৌতূহল। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এশরার লতিফ। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ ও উপকরণ-সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকাগুলোতে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি সার্টিফায়েড প্যাসিভ হাউস ডিজাইনার। বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, ভর্তিপ্রক্রিয়া, গবেষণার সুযোগ ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শমূলক এ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
মো. আশিকুর রহমান
আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞাত সম্পর্কে বলুন। কীভাবে আপনার পড়াশোনার ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছেন?
আমি বুয়েটে স্থাপত্য পড়েছি, যার কিছু অংশ ইঞ্জিনিয়ারিংঘেঁষা। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের পটভূমিতে আমি সাসটেইনেবল আর্কিটেকচারে ইউকেতে মাস্টার্স করি। তারপর বেশ কয়েক বছর এ প্রফেশনে কাজ করি। কাজ করতে গিয়ে টের পাই টাউন প্ল্যানিংয়ের ওপর পড়াশোনা করা দরকার। তখন সে বিষয়ে একটা মাস্টার্স করি। এরপর সাসটেইনেবল বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের ওপর একটা ভালো পিএইচডি স্কলারশিপ পেয়ে সেটা সম্পন্ন করি। সুতরাং আমি আমার পড়াশোনায় স্থাপত্য এবং নির্মাণসম্পর্কিত বিষয়েই জড়িত থেকেছি।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?
আমরা যেমন ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট এগুলোর ডিগ্রিকে প্রাধান্য দিই, বিদেশ থেকে আসলে তাঁরা সেভাবে দেখেন না বা বোঝেন না। এ কারণে কম কম্পিটিটিভ ইউনিভার্সিটি থেকে বেশি ভালো রেজাল্ট করলে বরং বাইরে অ্যাডমিশনে সুবিধা হয়। মাস্টার্সে পড়ার জন্য ভালো পার্সোনাল স্টেটমেন্ট লাগবে, আইইএলটিএস স্কোর ওদের বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী অর্জন করতে হবে।
বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
অন্তত এক বছর আগে থেকে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে হবে।
বৃত্তি বা অর্থায়ন-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের কীভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত?
মাস্টার্সে ইউকেতে বৃত্তি পাওয়া কঠিন। কমনওয়েলথ বা অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বৃত্তির দিকে নজর রাখতে হবে। পিএইচডি করার জন্য অনেক সময় বৃত্তি পাওয়া যায়। সে জন্য কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেমন findaphd.com.
আপনার অভিজ্ঞতায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ ও গবেষণার সুযোগ বাংলাদেশের তুলনায় কীভাবে আলাদা?
বিদেশে যাঁরা একটা বিষয়ে আগ্রহী, তাঁরাই সে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। আগ্রহ না থাকলে দীর্ঘমেয়াদে সে বিষয়ে ভালো ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা যায় না। বিদেশে গবেষণার সুযোগ বেশি। কিন্তু একজন ছাত্র তাঁর নিজের তাগিদেই এবং বিষয়ের প্রতি আগ্রহের কারণে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবেন, সেটাও আশা করা হয়। ইনোভেটিভ, ক্রিয়েটিভ এবং ফ্লেক্সিবল চিন্তার ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘমেয়াদে ভালো করেন।
যেসব শিক্ষার্থী স্থাপত্য বা পরিকল্পনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার বিশেষ পরামর্শ কী?
বাংলাদেশে পেশাদার স্থপতি হতে বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই। আবার বিদেশে পেশাদার স্থপতি হতে হলে বাংলাদেশের ডিগ্রি এখনো খুব বেশি কাজে লাগে না। কারণ বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো আমেরিকান বা ব্রিটিশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউটের সঙ্গে নিজেদের ডিগ্রিকে ভ্যালিডেট করেনি। কিন্তু স্থাপত্য এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদেশে শিক্ষক হতে হলে বা সাসটেইনেবল ডিজাইন কনসালট্যান্ট হতে হলে বিদেশে উচ্চশিক্ষা আবশ্যক।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে কোন ক্ষেত্র বা গবেষণার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
প্রায়োগিক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যেসবের অবদান চোখে দেখা যায়। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাসটেইনেবল আর্কিটেকচার। আবার সার্ভিস বেইজড বিষয়ের ভেতর ফাইন্যান্স।
আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞাত সম্পর্কে বলুন। কীভাবে আপনার পড়াশোনার ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছেন?
আমি বুয়েটে স্থাপত্য পড়েছি, যার কিছু অংশ ইঞ্জিনিয়ারিংঘেঁষা। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের পটভূমিতে আমি সাসটেইনেবল আর্কিটেকচারে ইউকেতে মাস্টার্স করি। তারপর বেশ কয়েক বছর এ প্রফেশনে কাজ করি। কাজ করতে গিয়ে টের পাই টাউন প্ল্যানিংয়ের ওপর পড়াশোনা করা দরকার। তখন সে বিষয়ে একটা মাস্টার্স করি। এরপর সাসটেইনেবল বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের ওপর একটা ভালো পিএইচডি স্কলারশিপ পেয়ে সেটা সম্পন্ন করি। সুতরাং আমি আমার পড়াশোনায় স্থাপত্য এবং নির্মাণসম্পর্কিত বিষয়েই জড়িত থেকেছি।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?
আমরা যেমন ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট এগুলোর ডিগ্রিকে প্রাধান্য দিই, বিদেশ থেকে আসলে তাঁরা সেভাবে দেখেন না বা বোঝেন না। এ কারণে কম কম্পিটিটিভ ইউনিভার্সিটি থেকে বেশি ভালো রেজাল্ট করলে বরং বাইরে অ্যাডমিশনে সুবিধা হয়। মাস্টার্সে পড়ার জন্য ভালো পার্সোনাল স্টেটমেন্ট লাগবে, আইইএলটিএস স্কোর ওদের বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী অর্জন করতে হবে।
বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
অন্তত এক বছর আগে থেকে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে হবে।
বৃত্তি বা অর্থায়ন-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের কীভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত?
মাস্টার্সে ইউকেতে বৃত্তি পাওয়া কঠিন। কমনওয়েলথ বা অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বৃত্তির দিকে নজর রাখতে হবে। পিএইচডি করার জন্য অনেক সময় বৃত্তি পাওয়া যায়। সে জন্য কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেমন findaphd.com.
আপনার অভিজ্ঞতায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ ও গবেষণার সুযোগ বাংলাদেশের তুলনায় কীভাবে আলাদা?
বিদেশে যাঁরা একটা বিষয়ে আগ্রহী, তাঁরাই সে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। আগ্রহ না থাকলে দীর্ঘমেয়াদে সে বিষয়ে ভালো ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা যায় না। বিদেশে গবেষণার সুযোগ বেশি। কিন্তু একজন ছাত্র তাঁর নিজের তাগিদেই এবং বিষয়ের প্রতি আগ্রহের কারণে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবেন, সেটাও আশা করা হয়। ইনোভেটিভ, ক্রিয়েটিভ এবং ফ্লেক্সিবল চিন্তার ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘমেয়াদে ভালো করেন।
যেসব শিক্ষার্থী স্থাপত্য বা পরিকল্পনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার বিশেষ পরামর্শ কী?
বাংলাদেশে পেশাদার স্থপতি হতে বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই। আবার বিদেশে পেশাদার স্থপতি হতে হলে বাংলাদেশের ডিগ্রি এখনো খুব বেশি কাজে লাগে না। কারণ বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো আমেরিকান বা ব্রিটিশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউটের সঙ্গে নিজেদের ডিগ্রিকে ভ্যালিডেট করেনি। কিন্তু স্থাপত্য এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদেশে শিক্ষক হতে হলে বা সাসটেইনেবল ডিজাইন কনসালট্যান্ট হতে হলে বিদেশে উচ্চশিক্ষা আবশ্যক।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে কোন ক্ষেত্র বা গবেষণার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
প্রায়োগিক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যেসবের অবদান চোখে দেখা যায়। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাসটেইনেবল আর্কিটেকচার। আবার সার্ভিস বেইজড বিষয়ের ভেতর ফাইন্যান্স।
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে