অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বাংলায় বলা হয়, বিমান প্রকৌশলবিদ্যা। দূরদূরান্তে যোগাযোগের দ্রুত ও অন্যতম মাধ্যম হলো বিমান। যোগাযোগব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে বিমানের ব্যবহার। সুতরাং এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা জোগানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যোগ্য ইঞ্জিনিয়ার তৈরি, যার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
তাই এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার সঙ্গে সামাজিক মর্যাদা, খ্যাতিও বেড়েছে কয়েক গুণ। বিমান তৈরি থেকে শুরু করে এর রক্ষণাবেক্ষণ, ওভারহলিং এবং বিভিন্ন এয়ারলাইনস মেইনটেন্যান্স সংস্থায় দেশে-বিদেশে কাজ করার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের। এ বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা ফেরদৌস ঝিমি।
পড়ার যোগ্যতা
এ বিষয়ে অধ্যয়ন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) এবং এইচএসসিতে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত ও রসায়নে মোট জিপিএ ১৭-এর ওপর থাকতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং মেধাতালিকায় স্থান থাকা সাপেক্ষে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।
যেখানে ভর্তি হওয়া যায়
বর্তমানে বাংলাদেশে শুধু দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) দেশের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু করে। পাশাপাশি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমআরএএইউ) এই বিভাগ চালু হয়। উভয় বিশ্ববিদ্যালয় চার বছরমেয়াদি বিএসসি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা ও বিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে আসছে। বিএসসি (অ্যারোনটিক্যাল) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে দেশের দুই/একটি কলেজ থেকে এ বিষয়ে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
যেসব কোর্স পড়ানো হয়
এমআইএসটি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যটি অ্যাভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বেসিক বিষয়গুলো হচ্ছে বিমানের স্ট্রাকচার ও ডিজাইন, মেকানিকস, ফ্লুইড মেকানিকস, নিউমারিক্যাল অ্যানালাইসিস, মেকানিকস অব সলিডস, ফ্লুইড মেকানিকস, হিট ট্রান্সফার, এয়ারক্রাফট লোডিং অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিস, হাই স্পিড অ্যারোডিনামিকস, কমপ্রেসেবল ফ্লুইড ডায়নামিকস, মেশিন ডিজাইন, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যারোস্পেস ম্যাটেরিয়ালস ইত্যাদি।
আর অ্যাভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মূল বিষয়গুলো হচ্ছে এয়ারক্রাফট কন্ট্রোল অ্যান্ড নেভিগেশন এবং অ্যাভিয়েশন ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট অ্যানালাইসিস, এয়ারক্রাফট ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমস, এয়ারক্রাফট অ্যাভিয়নিক্স সিস্টেমস, রাডার ইঞ্জিনিয়ারিং, কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
চাকরি বা কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন
বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইনস এবং অ্যাভিয়েশন কোম্পানি, যেমন বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা, এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ার, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইনসসহ অন্যান্য এয়ারলাইনস। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) কাজেও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাহিদা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশে বিসিএস, সশস্ত্র বাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ব্যাংক ইত্যাদিতেও চাকরির সুযোগ আছে। দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান, যেমন নাসা, ইন্টেল, বোয়িং এয়ারবাস ইত্যাদি কোম্পানিসহ অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরির সুযোগ আছে। এমআইএসটি থেকে ডিগ্রি অর্জন করে বহু ইঞ্জিনিয়ার পৃথিবীর বিভিন্ন নামকরা সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
বিশ্বব্যাপী বিমান পরিচালনার পাশাপাশি ড্রোন ও স্যাটেলাইটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই সব ক্ষেত্রে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংই যোগ্য এবং কাজের সুযোগ পান। তা ছাড়া যোগাযোগ খাতসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা দক্ষতার সঙ্গে তাদের জায়গা করে নিচ্ছেন।
পড়ার খরচ কেমন
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কাছাকাছি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা দেশে এবং বিদেশে অন্য যেকোনো ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার মতো। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএএইউ) থেকেও এ বিষয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের সব প্রান্তে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এমআইএসটি গ্র্যাজুয়েট অনেকে এসব দেশে পড়াশোনা ও চাকরি করছেন।
মাহবুবা ফেরদৌস ঝিমি, সহকারী অধ্যাপক, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বাংলায় বলা হয়, বিমান প্রকৌশলবিদ্যা। দূরদূরান্তে যোগাযোগের দ্রুত ও অন্যতম মাধ্যম হলো বিমান। যোগাযোগব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে বিমানের ব্যবহার। সুতরাং এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা জোগানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যোগ্য ইঞ্জিনিয়ার তৈরি, যার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
তাই এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার সঙ্গে সামাজিক মর্যাদা, খ্যাতিও বেড়েছে কয়েক গুণ। বিমান তৈরি থেকে শুরু করে এর রক্ষণাবেক্ষণ, ওভারহলিং এবং বিভিন্ন এয়ারলাইনস মেইনটেন্যান্স সংস্থায় দেশে-বিদেশে কাজ করার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের। এ বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা ফেরদৌস ঝিমি।
পড়ার যোগ্যতা
এ বিষয়ে অধ্যয়ন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) এবং এইচএসসিতে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত ও রসায়নে মোট জিপিএ ১৭-এর ওপর থাকতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং মেধাতালিকায় স্থান থাকা সাপেক্ষে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।
যেখানে ভর্তি হওয়া যায়
বর্তমানে বাংলাদেশে শুধু দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) দেশের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু করে। পাশাপাশি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমআরএএইউ) এই বিভাগ চালু হয়। উভয় বিশ্ববিদ্যালয় চার বছরমেয়াদি বিএসসি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা ও বিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে আসছে। বিএসসি (অ্যারোনটিক্যাল) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে দেশের দুই/একটি কলেজ থেকে এ বিষয়ে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
যেসব কোর্স পড়ানো হয়
এমআইএসটি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যটি অ্যাভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বেসিক বিষয়গুলো হচ্ছে বিমানের স্ট্রাকচার ও ডিজাইন, মেকানিকস, ফ্লুইড মেকানিকস, নিউমারিক্যাল অ্যানালাইসিস, মেকানিকস অব সলিডস, ফ্লুইড মেকানিকস, হিট ট্রান্সফার, এয়ারক্রাফট লোডিং অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিস, হাই স্পিড অ্যারোডিনামিকস, কমপ্রেসেবল ফ্লুইড ডায়নামিকস, মেশিন ডিজাইন, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যারোস্পেস ম্যাটেরিয়ালস ইত্যাদি।
আর অ্যাভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মূল বিষয়গুলো হচ্ছে এয়ারক্রাফট কন্ট্রোল অ্যান্ড নেভিগেশন এবং অ্যাভিয়েশন ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট অ্যানালাইসিস, এয়ারক্রাফট ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমস, এয়ারক্রাফট অ্যাভিয়নিক্স সিস্টেমস, রাডার ইঞ্জিনিয়ারিং, কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
চাকরি বা কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন
বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইনস এবং অ্যাভিয়েশন কোম্পানি, যেমন বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা, এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ার, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইনসসহ অন্যান্য এয়ারলাইনস। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) কাজেও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাহিদা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশে বিসিএস, সশস্ত্র বাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ব্যাংক ইত্যাদিতেও চাকরির সুযোগ আছে। দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান, যেমন নাসা, ইন্টেল, বোয়িং এয়ারবাস ইত্যাদি কোম্পানিসহ অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরির সুযোগ আছে। এমআইএসটি থেকে ডিগ্রি অর্জন করে বহু ইঞ্জিনিয়ার পৃথিবীর বিভিন্ন নামকরা সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
বিশ্বব্যাপী বিমান পরিচালনার পাশাপাশি ড্রোন ও স্যাটেলাইটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই সব ক্ষেত্রে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংই যোগ্য এবং কাজের সুযোগ পান। তা ছাড়া যোগাযোগ খাতসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা দক্ষতার সঙ্গে তাদের জায়গা করে নিচ্ছেন।
পড়ার খরচ কেমন
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কাছাকাছি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা দেশে এবং বিদেশে অন্য যেকোনো ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার মতো। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএএইউ) থেকেও এ বিষয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের সব প্রান্তে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এমআইএসটি গ্র্যাজুয়েট অনেকে এসব দেশে পড়াশোনা ও চাকরি করছেন।
মাহবুবা ফেরদৌস ঝিমি, সহকারী অধ্যাপক, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। ফলে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীরা
৩ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৩ দিন আগে