ড. মোর্ত্তূজা আহমেদ
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আসন্ন। ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতে সঠিক পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় অপরিহার্য। এখানে উদাহরণসহ ১০টি কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো, যা সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আশা করা যায়, আপনি কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
সঠিক পরিকল্পনা
ধরুন, আপনি ৬ মাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন। এই সময়ে প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করবেন বলে ঠিক করলেন। প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ওপর ফোকাস করবেন। সপ্তাহে এক দিন মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন।
কৌশল: পরিকল্পনাটি যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়, তাই ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে। এ জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত বইগুলোর সিলেবাস দেখে সেই অনুযায়ী অধ্যয়ন করুন।
কৌশল: প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস ভাগ করে পড়াশোনা শুরু করুন এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে বেশি সময় দিতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক অধ্যয়ন
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশের কবিতা বা প্রবন্ধ পড়ুন। ইংরেজিতে গ্রামার, ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারিতে বেশি মনোযোগ দিন। গণিতের ক্ষেত্রে বীজগণিত, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতি চর্চা করুন।
কৌশল: প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন। যে বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে, সেই বিষয় বেশি চর্চা করুন।
নিয়মিত অনুশীলন
প্রতিদিন গণিতের অন্তত ২০টি সমস্যা সমাধান করতে পারেন। ইংরেজি গ্রামার চর্চার জন্য নিয়মিত বাক্য গঠন ও শব্দার্থ শিখুন।
কৌশল: গণিত ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করুন। একইভাবে, ভাষার জন্য বেশি বেশি বাক্য গঠন এবং পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাগুলো সমাধান করে নিজেকে পরীক্ষা করুন।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
ধরুন, একটি মক টেস্টে ১০০টি প্রশ্নের জন্য ১২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এখানে গড়ে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য মাত্র ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড পাওয়া যায়। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য এভাবে সময় ভাগ করে দ্রুত সমাধান করার কৌশল আয়ত্ত করতে হবে।
কৌশল: নিয়মিত মক টেস্টের মাধ্যমে টাইম ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা অর্জন করুন। যে অধ্যায়গুলোতে বেশি সময় লাগছে, সেগুলোর জন্য বিশেষ অনুশীলন করুন।
নোট তৈরি
ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, রসায়নে মৌলিক সূত্রগুলো বা গণিতের সূত্রগুলো সহজভাবে নোট করুন। যেমন: ফিজিকসের মূল সূত্রগুলোর জন্য আলাদা নোট খাতায় লিখে রাখুন।
কৌশল: সংক্ষিপ্ত নোট তৈরির মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের মূল পয়েন্টগুলো লিখে রাখুন, যাতে রিভিশন করার সময় সহজ হয়।
স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা
পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।
কৌশল: মানসিক প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান
বিগত অন্তত ৫ বছরের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করুন এবং একে একে সমাধান করুন। এতে প্রশ্নের ধরন ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন।
কৌশল: পুরাতন প্রশ্নপত্র সমাধান করলে কীভাবে প্রশ্ন করা হয়, তা বোঝা সহজ হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
মক টেস্ট দেওয়া
অনলাইন বা কোচিং সেন্টারে মক টেস্ট দিন। এতে পরীক্ষার অভিজ্ঞতা হবে এবং সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়বে।
কৌশল: মক টেস্টে দেওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করে কোনো কোনো বিষয়ে উন্নতি প্রয়োজন তা বুঝতে পারবেন।
ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা
পড়াশোনা করার সময় সব সময় নিজের লক্ষ্য ও সাফল্যের চিন্তা করে মনোভাব ইতিবাচক রাখুন। নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে প্রস্তুতির ওপর ফোকাস করুন।
কৌশল: নিজের প্রতি আস্থা রাখুন এবং সাফল্যের জন্য ইতিবাচক চিন্তা করুন। পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা গ্রহণ করুন এবং চাপ কমাতে মাঝে মাঝে শখের কাজ করুন।
সুতরাং, এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। মনে রাখবেন, কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরে অধ্যয়নই আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আসন্ন। ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতে সঠিক পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় অপরিহার্য। এখানে উদাহরণসহ ১০টি কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো, যা সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আশা করা যায়, আপনি কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
সঠিক পরিকল্পনা
ধরুন, আপনি ৬ মাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন। এই সময়ে প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করবেন বলে ঠিক করলেন। প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ওপর ফোকাস করবেন। সপ্তাহে এক দিন মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন।
কৌশল: পরিকল্পনাটি যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়, তাই ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে। এ জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত বইগুলোর সিলেবাস দেখে সেই অনুযায়ী অধ্যয়ন করুন।
কৌশল: প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস ভাগ করে পড়াশোনা শুরু করুন এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে বেশি সময় দিতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক অধ্যয়ন
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশের কবিতা বা প্রবন্ধ পড়ুন। ইংরেজিতে গ্রামার, ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারিতে বেশি মনোযোগ দিন। গণিতের ক্ষেত্রে বীজগণিত, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতি চর্চা করুন।
কৌশল: প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন। যে বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে, সেই বিষয় বেশি চর্চা করুন।
নিয়মিত অনুশীলন
প্রতিদিন গণিতের অন্তত ২০টি সমস্যা সমাধান করতে পারেন। ইংরেজি গ্রামার চর্চার জন্য নিয়মিত বাক্য গঠন ও শব্দার্থ শিখুন।
কৌশল: গণিত ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করুন। একইভাবে, ভাষার জন্য বেশি বেশি বাক্য গঠন এবং পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাগুলো সমাধান করে নিজেকে পরীক্ষা করুন।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
ধরুন, একটি মক টেস্টে ১০০টি প্রশ্নের জন্য ১২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এখানে গড়ে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য মাত্র ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড পাওয়া যায়। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য এভাবে সময় ভাগ করে দ্রুত সমাধান করার কৌশল আয়ত্ত করতে হবে।
কৌশল: নিয়মিত মক টেস্টের মাধ্যমে টাইম ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা অর্জন করুন। যে অধ্যায়গুলোতে বেশি সময় লাগছে, সেগুলোর জন্য বিশেষ অনুশীলন করুন।
নোট তৈরি
ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, রসায়নে মৌলিক সূত্রগুলো বা গণিতের সূত্রগুলো সহজভাবে নোট করুন। যেমন: ফিজিকসের মূল সূত্রগুলোর জন্য আলাদা নোট খাতায় লিখে রাখুন।
কৌশল: সংক্ষিপ্ত নোট তৈরির মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের মূল পয়েন্টগুলো লিখে রাখুন, যাতে রিভিশন করার সময় সহজ হয়।
স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা
পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।
কৌশল: মানসিক প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান
বিগত অন্তত ৫ বছরের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করুন এবং একে একে সমাধান করুন। এতে প্রশ্নের ধরন ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন।
কৌশল: পুরাতন প্রশ্নপত্র সমাধান করলে কীভাবে প্রশ্ন করা হয়, তা বোঝা সহজ হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
মক টেস্ট দেওয়া
অনলাইন বা কোচিং সেন্টারে মক টেস্ট দিন। এতে পরীক্ষার অভিজ্ঞতা হবে এবং সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়বে।
কৌশল: মক টেস্টে দেওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করে কোনো কোনো বিষয়ে উন্নতি প্রয়োজন তা বুঝতে পারবেন।
ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা
পড়াশোনা করার সময় সব সময় নিজের লক্ষ্য ও সাফল্যের চিন্তা করে মনোভাব ইতিবাচক রাখুন। নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে প্রস্তুতির ওপর ফোকাস করুন।
কৌশল: নিজের প্রতি আস্থা রাখুন এবং সাফল্যের জন্য ইতিবাচক চিন্তা করুন। পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা গ্রহণ করুন এবং চাপ কমাতে মাঝে মাঝে শখের কাজ করুন।
সুতরাং, এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। মনে রাখবেন, কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরে অধ্যয়নই আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম) স্কিম নিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে এই স্কিম সংশোধন করে মাউশি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে
৫ ঘণ্টা আগেএসএসসি ও সমমানের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল তুলনামূলক খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন।
২ দিন আগেপ্রতিদিনই আমাদের জীবনে ইতিবাচক -নেতিবাচক বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা প্রায়ই নেতিবাচক ঘটনাগুলোতেই বেশি মনোযোগ দিই। ভালো যে অনেক কিছুই ঘটছে, তা হয়তো টেরই পাই না। দিন শেষে আমরা ক্লান্ত, অভিযোগে ভরা, হতাশ। অথচ এ মানসিকতার বদল আনতে পারে একটি ছোট, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস...
২ দিন আগেইতালিতে ইউনিভার্সিটি অব মিলান ডিএসইউ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এ বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।
২ দিন আগে