Ajker Patrika

এই যন্ত্রণা কোথায় রাখবেন বাবা!

পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি
এই যন্ত্রণা কোথায় রাখবেন বাবা!

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানদের মানুষ করেন বাবা। স্বপ্ন দেখেন, ছেলে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে, চাকরি করে অভাবী সংসারে সচ্ছলতা আনবে। কিন্তু সেই ছেলের হাতে যদি সেই বাবা মারধরের শিকার হন, তাহলে তাঁর কেমন যন্ত্রণা হবে, সেটি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক ছেলে মজনুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন এক বাবা। বাবাকে ছেলের লাথি মারাসহ লাঞ্ছিত করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে এ ঘটনায় গতকাল বুধবার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী বাবা। সে মামলায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মহেলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলেকে আটকের পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহেলা বাজার পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টার হিসেবে চাকরি করেন ষাটোর্ধ্ব ওই বাবা। তাঁর ছেলে চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মরত। বাবা-ছেলের মধ্যে পারিবারিক কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল।

মঙ্গলবার সকালে ছেলে তাঁর বাবার কর্মস্থলে যান। সেখানে অফিসে ঢুকে বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। একপর্যায়ে বাবার মোবাইল ফোনটি জোর করে ছিনিয়ে নেন। মোবাইল ফোনটি ফেরত চেয়ে সেই বাবা কখনো ছেলের পা ধরে রাখেন, কখনো তাঁর মোটরসাইকেল টেনে ধরেন। ওই সময় ছেলে তাঁর বাবাকে লাথি মারেন। সেই সঙ্গে বাবার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন এসে ছেলেকে নিবৃত্ত করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনা শুরু হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি চাটমোহর থানায় প্রথমে মৌখিকভাবে জানান ভুক্তভোগী বাবা। পরে পুলিশ ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। গতকাল বাবার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

ঘটনার পর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ছেলে দাবি করেন, অভিযোগ সত্য নয়। তাঁর ভাগনে পরিকল্পনা করে ভিডিওটি করেছেন।

ভুক্তভোগী বাবা জানান, ছেলের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করেননি। মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছেন। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ছেলেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, ‘থানায় মামলার কপি চেয়েছি। কপি হাতে পাওয়ার পর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত