Ajker Patrika

রুয়েটের বাসচালককে কুপিয়ে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি, রাজশাহী
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ৫৫
রুয়েটের বাসচালককে কুপিয়ে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালামকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার মামলায় চার যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন নগরীর বাজেকাজলা মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার ভাড়াটিয়া দিলদার আলীর ছেলে নূর নবী হোসেন ওরফে হৃদয়, কাজলা বিলপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সাইমুন ওরফে এস এম সায়েম এবং কাজলার মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে সোহেল। 

এর মধ্যে নূর নবীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমজীবন গ্রামে। আর সোহেল রানার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুণ্ডুরিয়া গ্রামে। সোহেল রুয়েটের দৈনিক মজুরিভিত্তিক নৈশপ্রহরী ছিলেন। আদালত চার আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছর জেল। 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় আরও দুজন কিশোর আসামি আছে। তাদের বিচার চলছে শিশু আদালতে। অন্য চার আসামির বিচার শেষ হলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামি২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েট-সংলগ্ন অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর বাসচালক আবদুস সালামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সালামের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চার দিন পর এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। 

আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, নৈশপ্রহরী সোহেল রুয়েটের ভেতরে আশপাশের কমবয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গঠন করেছিলেন। ওই গ্রুপ রুয়েটের এক কর্মচারীর নাতিকে মারধর করেছিল। এরপর বাসচালক সালামের কাছেই তারা মীমাংসার জন্য গিয়েছিল। সালাম তখন এটি মীমাংসার জন্য ৪ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এতে বিষয়টির আর মীমাংসা হয়নি। আর এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে চার মাস পর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এক কিশোর এসব তথ্য দিয়েছে। অন্য কোনো আসামি এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়নি। 

এন্তাজুল হক বাবু আরও জানান, এ রায় ঘোষণা করতে আদালত ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এতে আসামিদের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ রায়ে তিনি খুশি বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত