Ajker Patrika

আয়ার চাকরি পেতে ছয় লাখ টাকা ঘুষ

প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর (নাটোর)
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৫৬
আয়ার চাকরি পেতে ছয় লাখ টাকা ঘুষ

ছয় লাখ টাকা দিলেই বিদ্যালয়ের আয়া পদে চাকরি মিলবে। এ কথা বলে দেন স্বয়ং প্রধান শিক্ষক। সহায়সম্বল বিক্রি এবং ঋণ করে ঘুষের টাকা জোগাড় করেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার শাহানাজ বেগম। কিন্তু এই টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি তাঁর। প্রতারিত হয়ে মুখ খোলেন শাহানাজ। আর এতেই বের হয় থলের বিড়াল। সামনে আসে এমন অবৈধ লেনদেনের বিষয়টি।

ঋণের টাকা শোধ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত শাহানাজ ২৬ আগস্ট গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানায় পৃথক তিনটি অভিযোগ দিয়েছেন। শাহানাজ দাবি করেন, উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সোনাবাজু উচ্চবিদ্যালয়ের আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ।
তবে এ বিষয়ে আবদুল মজিদ দাবি করেছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য শাহানাজের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু বিশেষ কারণে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় সেই টাকা ফেরতও দিয়েছেন।

শাহানাজ গুরুদাসপুরের সোনাবাজু গ্রামের আছাদ সরদারের স্ত্রী। আজকের পত্রিকাকে গতকাল সোমবার শাহানাজ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশে বাড়ি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মজিদের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। পরিবারের অভাব-অনটন দূর করতে সরকারি চাকরির জন্য ছয় মাস আগে তিন লাখ করে দুবারে মজিদ স্যারকে ছয় লাখ টাকা দিছি।’

তিনি আরও জানান, ২৫ আগস্ট চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পাটপাড়া গ্রামের খোদেজা বেগম নামে এক নারীকে নিয়োগ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খোদেজা প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়। এদিকে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে এলাকার লোকজনের চাপাচাপিতে তিন লাখ টাকা ফেরত দেন সেই প্রধান শিক্ষক। বাকি তিন লাখ টাকা ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন শাহানাজ।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, চাকরির নামে ঘুষ নেওয়া অপরাধ। তদন্ত করে প্রমাণিত হলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত