Ajker Patrika

প্রবাসীর কিশোরী কন্যাকে অপহরণ: যুব মহিলা লীগ নেত্রী আত্মগোপনে, মা জেলহাজতে

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৯: ৫৭
প্রবাসীর কিশোরী কন্যাকে অপহরণ: যুব মহিলা লীগ নেত্রী আত্মগোপনে, মা জেলহাজতে

জামালপুরের ইসলামপুর থানায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীর কিশোরী কন্যাকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় আত্মগোপনে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মোছা. মুনমুন আক্তার (২২) ও তাঁর ছোট ভাই। একই মামলায় ওই নেত্রীর মাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার বিকেলে ইসলামপুর থানার পুলিশ মুনমুন আক্তারের মা মোছা. উরফা বেগমকে (৫০) জামালপুরের আদালতে হাজির করে। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। 

অভিযুক্ত মুনমুন আক্তার পার্শ্ববর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি দেওয়ানগঞ্জ কলেজে স্নাতকের (অনার্স) ছাত্রী। 

গতকাল রোববার রাতে ওই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীর পক্ষে তাঁর ছোট ভাই বাদী হয়ে কিশোরী কন্যাকে অপহরণের অভিযোগে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে মুনমুন আক্তারের মা মামলার ২ নম্বর আসামি ওরফা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় ৩ নম্বর আসামি মুনমুন আক্তার। প্রধান আসামি করা হয়েছে তাঁর ছোট ভাই মো. পূর্ণ ওরফে বাবুকে (২০)। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর উপজেলার এক ব্যক্তি সপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাঁর ১৩ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে মুনমুন আক্তারের ভাই পূর্ণ ওরফে বাবু মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

গত ১৮ জুন ওই প্রবাসী সপরিবারে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইসলামপুরের গ্রামের বাড়িতে আসেন। ৩০ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের সড়কে প্রবাসীর ওই মেয়ে হাঁটতে বের হলে মুনমুন আক্তার ও উরফা বেগমের পরামর্শে বাবু তাকে বিয়ে করার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যান। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার ২ নম্বর আসামি উরফা বেগমকে আজ দুপুরে জামালপুরের আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করাসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’ 

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মামলা তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা যাচ্ছে না।’ 

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনমুন আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তবে আমেরিকান এক প্রবাসীর মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত