Ajker Patrika

কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তরুণ, মোবাইল ফোনে বিয়ের দাবি পরিবারের

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ৫৮
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তরুণ, মোবাইল ফোনে বিয়ের দাবি পরিবারের

জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হামিদুল ইসলামকে (২২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর আগে পুলিশ গতকাল শনিবার বিকেলে শ্যামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগীকে (১৪) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তবে ছেলের পরিবারের দাবি, ছেলে বিদেশ থাকতে মোবাইল ফোনেই ওই মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেছেন, তাঁর স্বামী সৌদি আরবে থাকেন। তিনি তাঁর তিন মেয়েকে নিয়ে দেশে থাকেন। তাঁর কোনো ছেলে নেই। অভিযুক্ত হামিদুল ইসলাম সৌদি আরবে থাকেন। সেখানে থাকার সময় মায়ের ফোন নম্বর জোগার করে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেন। তিনি বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। এতে রাজি না হওয়ায় দেশে ফিরে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিতেন। সম্প্রতি হামিদুল দেশে আসেন। ২১ জানুয়ারি দুপুরে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মা মেলান্দহ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হামিদুল ও তাঁর সহযোগীরা মেয়েকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়িতে নিয়ে যান। নিজ ঘরে নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করেন হামিদুল। এরপর পরিবারের লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে হামিদুলকে আটক করেন এবং মেয়েকেও সেখানে পান। এরপর মা ৯৯৯-এ কল করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে হামিদুল ও মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

অভিযুক্তের বাবা মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে বিদেশ থাকতে মোবাইলেই ওই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। শনিবার দুপুরে মেয়ে ও মেয়ের মা আমার বাড়িতে আসে। পরে মেয়েকে রেখে মা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই বাড়িতে পুলিশ এনে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়।’ 

বিয়ে হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শ্যামপুর ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামিদুল সৌদি আরবে থাকত। ১৪ জানুয়ারি দেশে এসেছে। ওই মেয়ের সঙ্গে তার ফোনে বিয়ে হয়েছিল।’ 

এ ব্যাপারে জানতে ধর্ষণ মামলার বাদী মেয়ের মাকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত হামিদুলের বাড়িতে গিয়ে মেয়ে ও হামিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আজ দুপুরে হামিদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত