Ajker Patrika

বেনাপোল ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
বেনাপোল ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে আশানুরজ্জামান বাবলু (৪০) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলাকায় ত্রাস ছড়াতে সন্ত্রাসীরা ৭ থেকে ৮ টি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত আশানুজ্জামান বাবলু শার্শার বাগআচড়া ইউনিয়নের মহিষাকুড়া গ্রামের ৮ নম্বর বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। নিহত বাবলু এলাকায় বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিতি।

এদিকে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা রাহাজান মোল্লা হত্যায় নেতৃত্বে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ওই এলাকার হাকিম প্রধানকে আসামি করেন। এ সময় ১৩ জনের নামে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকায় বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নিহতের ভাই বদরুজ্জামান জানান, গত বছরের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হাকিমকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয় লাভ করে তাঁর ভাই বাবলু। সেখান থেকে শত্রুতা প্রতিপক্ষের সঙ্গে। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বাড়লে নিজ গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বেনাপোলের বালুন্ডায় থাকত তাঁর ভাই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বালুন্ডা বাজারে বসে দুই ভাই এক সঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই প্রতিপক্ষ হাকিম ও তাঁর সহযোগী শাহবাজ, লুৎফর, আব্দুলসহ ১০ থেকে ১২ জন তাঁর ভাইয়ের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে সন্ত্রাসীরা বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়ে এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় ভয়ে বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে নিহতের ঘটনা ২৪ ঘণ্টা পার হলেও হত্যাকারীরা কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের বাবা রাহাজান মোল্লা জানান, যারা তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে সেই অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। তবে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাঁর ভয়ে দিন যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুইয়া জানান, ঘটনার রাতে খবর পেয়ে বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের  দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। অস্ত্র, মাদকসহ ১২ মামলার আসামি ছিলেন নিহত ইউপি সদস্য আশানুজ্জামান বাবলু। অন্যদিকে খুনিদের নামেও রয়েছে হত্যাসহ একাধিক মামলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত