প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা: করোনা মহামারিকালে সাতক্ষীরাই নারী–শিশু নির্যাতনের পরিসংখ্যানটি অত্যন্ত হতাশাজনক। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ মাসে সাতক্ষীরায় ১৮৬ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে সাতক্ষীরা জেলায় অর্ধশতাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু এপ্রিল মাসেই ২০ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হন। এছাড়াও ২০২০ সালের মার্চ মাসে ১২ জন, এপ্রিল মাসে ১৩ জন, মে মাসে ৯ জন, জুলাই মাসে ১৩ জন, আগস্ট মাসে ৯ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩ জন, অক্টোবর মাসে ২৩ জন, নভেম্বর মাসে ১০ জন, ডিসেম্বর মাসে ১০ জন এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬ জন, মার্চ মাসে ১৬ জন ও এপ্রিল মাসে ২১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন স্বদেশ–এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাতক্ষীরা জেলায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৬ ও ধর্ষণ ৩; ফেব্রুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৪, ধর্ষণ ২, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ২; মার্চ মাসে নারী নির্যাতন ৩, ধর্ষণ ১, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ৩; এপ্রিল মাসে নারী নির্যাতন ৫, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ২; মে মাসে নারী নির্যাতন ৪, ধর্ষণ ৩, ধর্ষণের চেষ্টা ১; জুন মাসে নারী নির্যাতন ৯, ধর্ষণ ১, এসিড নিক্ষেপ ১, নারী ও শিশু পাচার ১; জুলাই মাসে নারী নির্যাতন ২৪, ধর্ষণ ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ১; আগস্ট মাসে নারী নির্যাতন ৮, ধর্ষণ ৪; সেপ্টেম্বর মাসে নারী নির্যাতন ১৩, ধর্ষণ ১, ধর্ষণের চেষ্টা ২; অক্টোবর মাসে নারী নির্যাতন ৮, ধর্ষণ ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ২; নভেম্বর মাসে নারী নির্যাতন ১১, ধর্ষণ ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ২; ডিসেম্বর মাসে ধর্ষণ ৩, ধর্ষণের চেষ্টা ৩টি এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ১; ফেব্রুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৫, ধর্ষণ ১, ধর্ষণের চেষ্টা ১; মার্চ মাসে নারী নির্যাতন ৭, ধর্ষণ ৪ ও ধর্ষণ চেষ্টার ৫টি ঘটনা ঘটেছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শফিউল আযম জানান, করোনার মধ্যে জেলায় বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা। যে সময়ে নারী ও শিশুরা ঘরে বন্দী থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছে সেই সময়ে ধর্ষণের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বেকারত্ব এবং বেশিরভাগ সময় ঘরে অবস্থানের কারণে পুরুষদের এ ধরনের মানসিকতা বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
স্বদেশ–এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র জানান, বর্তমানে কর্মসংস্থান সীমিত হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন অনেকেই। এজন্য পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় কুচিন্তা করার মতো অঢেল সময় পাচ্ছে তরুণরা। এসবের কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকদের কর্মসংস্থান করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
করোনাকালে আশঙ্কাজনকভাবে অপরাধ বেড়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় নারীনেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত জানান, গত মার্চের পর থেকে ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতা এমনকি নারী নির্যাতনের ঘটনাও ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া দীর্ঘ সময় কাজহীন অবস্থায় ঘরবন্দি থেকে মানুষের মধ্যে পৈশাচিক মনোভাব জেগে উঠছে।
সাতক্ষীরা: করোনা মহামারিকালে সাতক্ষীরাই নারী–শিশু নির্যাতনের পরিসংখ্যানটি অত্যন্ত হতাশাজনক। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ মাসে সাতক্ষীরায় ১৮৬ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে সাতক্ষীরা জেলায় অর্ধশতাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু এপ্রিল মাসেই ২০ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হন। এছাড়াও ২০২০ সালের মার্চ মাসে ১২ জন, এপ্রিল মাসে ১৩ জন, মে মাসে ৯ জন, জুলাই মাসে ১৩ জন, আগস্ট মাসে ৯ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩ জন, অক্টোবর মাসে ২৩ জন, নভেম্বর মাসে ১০ জন, ডিসেম্বর মাসে ১০ জন এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬ জন, মার্চ মাসে ১৬ জন ও এপ্রিল মাসে ২১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন স্বদেশ–এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাতক্ষীরা জেলায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৬ ও ধর্ষণ ৩; ফেব্রুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৪, ধর্ষণ ২, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ২; মার্চ মাসে নারী নির্যাতন ৩, ধর্ষণ ১, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ৩; এপ্রিল মাসে নারী নির্যাতন ৫, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ২; মে মাসে নারী নির্যাতন ৪, ধর্ষণ ৩, ধর্ষণের চেষ্টা ১; জুন মাসে নারী নির্যাতন ৯, ধর্ষণ ১, এসিড নিক্ষেপ ১, নারী ও শিশু পাচার ১; জুলাই মাসে নারী নির্যাতন ২৪, ধর্ষণ ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ১, নারী ও শিশু নির্যাতন ১; আগস্ট মাসে নারী নির্যাতন ৮, ধর্ষণ ৪; সেপ্টেম্বর মাসে নারী নির্যাতন ১৩, ধর্ষণ ১, ধর্ষণের চেষ্টা ২; অক্টোবর মাসে নারী নির্যাতন ৮, ধর্ষণ ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ২; নভেম্বর মাসে নারী নির্যাতন ১১, ধর্ষণ ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ২; ডিসেম্বর মাসে ধর্ষণ ৩, ধর্ষণের চেষ্টা ৩টি এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৪, ধর্ষণের চেষ্টা ১; ফেব্রুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন ৫, ধর্ষণ ১, ধর্ষণের চেষ্টা ১; মার্চ মাসে নারী নির্যাতন ৭, ধর্ষণ ৪ ও ধর্ষণ চেষ্টার ৫টি ঘটনা ঘটেছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শফিউল আযম জানান, করোনার মধ্যে জেলায় বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা। যে সময়ে নারী ও শিশুরা ঘরে বন্দী থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছে সেই সময়ে ধর্ষণের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বেকারত্ব এবং বেশিরভাগ সময় ঘরে অবস্থানের কারণে পুরুষদের এ ধরনের মানসিকতা বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
স্বদেশ–এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র জানান, বর্তমানে কর্মসংস্থান সীমিত হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন অনেকেই। এজন্য পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় কুচিন্তা করার মতো অঢেল সময় পাচ্ছে তরুণরা। এসবের কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকদের কর্মসংস্থান করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
করোনাকালে আশঙ্কাজনকভাবে অপরাধ বেড়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় নারীনেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত জানান, গত মার্চের পর থেকে ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতা এমনকি নারী নির্যাতনের ঘটনাও ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া দীর্ঘ সময় কাজহীন অবস্থায় ঘরবন্দি থেকে মানুষের মধ্যে পৈশাচিক মনোভাব জেগে উঠছে।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫