যশোর প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। হামলা, তাণ্ডব ও লুটপাটের পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি। আতঙ্কে এই পল্লির প্রায় ৮০টি পরিবারের অধিকাংশ পুরুষ আত্মগোপনে রয়েছেন। আর নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ফের হামলার আশঙ্কা নিয়ে ঘরে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের সুলতান নগর ঋষিপল্লিতে এই হামলা ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয় ঋষিপল্লির মন্দির–প্রতিমাও।
বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের সুলতাননগর ঋষিপল্লি ঘুরে দেখা গেছে, পল্লির প্রায় ২০টি বাড়িতে হামলা ও তাণ্ডবের দগদগে ক্ষত। পল্লির প্রবেশমুখেই বাসন্তী মন্দির ও হরিচাঁদ মন্দিরে প্রতিমাগুলো ভাঙা পড়ে আছে। হামলার চিহ্ন রয়েছে পাশের কালীমন্দির ও মনসার মন্দিরেও। পল্লির নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চোখে মুখে আতঙ্ক। চোখ–মুখের অব্যক্ত যন্ত্রণা অনেক কথা বলতে চাইলেও মুখ তাদের বন্ধ। কেউই কথা বলতে চান না চিহ্নিত হয়ে ফের হামলার ভয়ে। পল্লির নারী ও বৃদ্ধরা জানালেন, হামলার পর থেকে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা ঘরছাড়া। কেউ কেউ দিনের বেলায় এলাকায় থাকলেও সন্ধ্যার অন্ধকার নামার আগেই সরে পড়ছেন।
সুলতাননগর মন্দির কমিটির সভাপতি নলিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে প্রায় ৮০টি পরিবারের বসবাস। পল্লির সিংহভাগ বাসিন্দাই দরিদ্র। এরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে নেই। কিন্তু তারপরও এখানে ১৫-২০টি ঘর হামলার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে মন্দির ও প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে।
পল্লির বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সন্ধ্যার দিকে ধলগ্রাম বাজারে গোলযোগের খবর পান। বাজার থেকে খবর পান তাদের পল্লিতে হামলা করবে। এর ১০ মিনিটের মধ্যেই একদল যুবক লাঠিসোঁটা, রাম দাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের পল্লিতে প্রবেশ করে। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঋষিপল্লির বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মুসলমানপাড়ায় আশ্রয় নেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে হামলাকারীরা এই পল্লিতে তাণ্ডব চালায়। তারা পল্লির বাসন্তীমন্দির, কালীমন্দির, মনসামন্দির, হরিচাঁদমন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে। এরপর তারা বাড়ি বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। টাকা, পয়সা, স্বর্ণালংকার, হাঁস, মুরগি, ছাগলসহ সামনে যা পেয়েছে তাই লুটে নিয়ে গেছে তারা। ভাঙচুর করেছে মোটরসাইকেলসহ ঘরের আসবাবও।
বাসিন্দারা আরও জানান, পল্লির বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি ঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি হাঁস, মুরগি এমনকি বাড়ির বাজার পর্যন্ত নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। রাজকুমার ও অপূর্বর বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। পশুপতি বিশ্বাস বাড়ি থেকে ৪০ হাজার টাকাসহ আসবাব লুট করে নিয়ে গেছে। এভাবে হামলার শিকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি থেকে লুটপাট করা হয়েছে। হামলার শিকার পূর্ণিমা রানী বিশ্বাস জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ও দুই ছেলে অন্য এলাকায় অবস্থান করছেন। ভয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। শুধু নারীরা বাড়িতে আতঙ্ক নিয়ে অবস্থান করছেন।
পল্লির বাসিন্দা মনিমালা বিশ্বাস জানান, হামলার পর পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ তাঁদের কোনো খোঁজখবর নেননি। স্থানীয় কয়েকজন নেতা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু তাতে আতঙ্ক কাটেনি।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ধলগ্রাম বাজারে ঋষিপল্লির বাসিন্দাদের কিছু সম্পত্তি রয়েছে। এই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। একটি মহল এই সম্পত্তি দখল করতে চায়। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাঝে ওই চক্রটি এই হামলায় ইন্ধন দিতে পারে। ঘটনার দিন হামলার খবর পেয়ে ঋষিপল্লিতে ছুটে যান ধলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঋষিপল্লিতে হামলার খবর পেয়ে এলাকায় এসে পল্লির বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং নিয়মিত তাদের খোঁজখবর রাখছেন।
বাঘারপাড়া থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ধলগ্রাম ইউনিয়নের সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে হামলার কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি। তবে বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। হামলা, তাণ্ডব ও লুটপাটের পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি। আতঙ্কে এই পল্লির প্রায় ৮০টি পরিবারের অধিকাংশ পুরুষ আত্মগোপনে রয়েছেন। আর নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ফের হামলার আশঙ্কা নিয়ে ঘরে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের সুলতান নগর ঋষিপল্লিতে এই হামলা ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয় ঋষিপল্লির মন্দির–প্রতিমাও।
বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের সুলতাননগর ঋষিপল্লি ঘুরে দেখা গেছে, পল্লির প্রায় ২০টি বাড়িতে হামলা ও তাণ্ডবের দগদগে ক্ষত। পল্লির প্রবেশমুখেই বাসন্তী মন্দির ও হরিচাঁদ মন্দিরে প্রতিমাগুলো ভাঙা পড়ে আছে। হামলার চিহ্ন রয়েছে পাশের কালীমন্দির ও মনসার মন্দিরেও। পল্লির নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চোখে মুখে আতঙ্ক। চোখ–মুখের অব্যক্ত যন্ত্রণা অনেক কথা বলতে চাইলেও মুখ তাদের বন্ধ। কেউই কথা বলতে চান না চিহ্নিত হয়ে ফের হামলার ভয়ে। পল্লির নারী ও বৃদ্ধরা জানালেন, হামলার পর থেকে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা ঘরছাড়া। কেউ কেউ দিনের বেলায় এলাকায় থাকলেও সন্ধ্যার অন্ধকার নামার আগেই সরে পড়ছেন।
সুলতাননগর মন্দির কমিটির সভাপতি নলিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে প্রায় ৮০টি পরিবারের বসবাস। পল্লির সিংহভাগ বাসিন্দাই দরিদ্র। এরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে নেই। কিন্তু তারপরও এখানে ১৫-২০টি ঘর হামলার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে মন্দির ও প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে।
পল্লির বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সন্ধ্যার দিকে ধলগ্রাম বাজারে গোলযোগের খবর পান। বাজার থেকে খবর পান তাদের পল্লিতে হামলা করবে। এর ১০ মিনিটের মধ্যেই একদল যুবক লাঠিসোঁটা, রাম দাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের পল্লিতে প্রবেশ করে। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঋষিপল্লির বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মুসলমানপাড়ায় আশ্রয় নেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে হামলাকারীরা এই পল্লিতে তাণ্ডব চালায়। তারা পল্লির বাসন্তীমন্দির, কালীমন্দির, মনসামন্দির, হরিচাঁদমন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে। এরপর তারা বাড়ি বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। টাকা, পয়সা, স্বর্ণালংকার, হাঁস, মুরগি, ছাগলসহ সামনে যা পেয়েছে তাই লুটে নিয়ে গেছে তারা। ভাঙচুর করেছে মোটরসাইকেলসহ ঘরের আসবাবও।
বাসিন্দারা আরও জানান, পল্লির বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি ঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি হাঁস, মুরগি এমনকি বাড়ির বাজার পর্যন্ত নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। রাজকুমার ও অপূর্বর বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। পশুপতি বিশ্বাস বাড়ি থেকে ৪০ হাজার টাকাসহ আসবাব লুট করে নিয়ে গেছে। এভাবে হামলার শিকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি থেকে লুটপাট করা হয়েছে। হামলার শিকার পূর্ণিমা রানী বিশ্বাস জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ও দুই ছেলে অন্য এলাকায় অবস্থান করছেন। ভয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। শুধু নারীরা বাড়িতে আতঙ্ক নিয়ে অবস্থান করছেন।
পল্লির বাসিন্দা মনিমালা বিশ্বাস জানান, হামলার পর পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ তাঁদের কোনো খোঁজখবর নেননি। স্থানীয় কয়েকজন নেতা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু তাতে আতঙ্ক কাটেনি।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ধলগ্রাম বাজারে ঋষিপল্লির বাসিন্দাদের কিছু সম্পত্তি রয়েছে। এই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। একটি মহল এই সম্পত্তি দখল করতে চায়। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাঝে ওই চক্রটি এই হামলায় ইন্ধন দিতে পারে। ঘটনার দিন হামলার খবর পেয়ে ঋষিপল্লিতে ছুটে যান ধলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঋষিপল্লিতে হামলার খবর পেয়ে এলাকায় এসে পল্লির বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং নিয়মিত তাদের খোঁজখবর রাখছেন।
বাঘারপাড়া থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ধলগ্রাম ইউনিয়নের সুলতাননগর ঋষিপল্লিতে হামলার কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি। তবে বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. ইকবাল বাহারকে একটি হত্যা মামলায় আজ শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইকবাল বাহারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শাহিনুর বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায়...
৭ ঘণ্টা আগে১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
৩ দিন আগেশাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’ পাইরেসির শিকার হয়েছে টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে। এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় ইউটিউবার টিপু সুলতানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
৩ দিন আগেপুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারা দেশে আরও ১ হাজার ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৮৪৮ এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৩৩২ জন।
১০ দিন আগে