নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) খুলনা বিভাগের অন্যতম দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। নাশকতার উদ্দেশ্যে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগে গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল কুদ্দুস ও সিরাজুল ইসলাম। আব্দুল কুদ্দুস হুজি-বির যশোর জেলার আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম যশোর জেলার প্রধান হরকাতুল জিহাদ হুজি-বির রিক্রুটার ও অর্থনৈতিক শাখার দায়িত্বে ছিলেন।
গত বছর থেকে আব্দুল কুদ্দুস ও সিরাজুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকা আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের জঙ্গি সদস্য মিলে একটি বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করে আসছিলেন বলে দাবি করেন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নাশকতার পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য এরই মধ্যে তারা বেশ তৎপরতা চালাতে শুরু করে এবং নিয়মিত গোপন বৈঠকের মাধ্যমে তাদের কর্মপরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, কার্যপদ্ধতি ও কর্মী সংগ্রহের কাজ ত্বরান্বিত করে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং নাশকতামূলক এই জঙ্গি গ্রুপটির কার্যক্রমের সন্ধান পায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া, যশোর ও মাগুরা এলাকায় তথ্য সংগ্রহের জন্য অবস্থান করে র্যাবের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা নজরদারি এবং ডিজিটাল সার্ভেইলেন্সের মাধ্যমে মালিবাগ এলাকা থেকে গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস হুজি-বির যশোর জেলার আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। পাশাপাশি তিনি যশোর জেলার শেকহাটি এলাকায় ‘ওবায় বিন কাব’ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর নামে ২০০৭ সালে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় একটি হরকাতুল জিহাদ সংশ্লিষ্ট জঙ্গি মামলা ছিল এবং আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
তিনি ২০০৭ সাল থেকে ১০ বছর ২ মাস সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে জেলহাজত থেকে মুক্তি পেয়ে আবার হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দল পুনর্গঠনে যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় নিয়মিত গোপন বৈঠক করতে থাকেন। এসব বৈঠকে ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করত। বৈঠকের স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যশোর সীমা টেক্সটাইলের মসজিদ, যশোর নরের মহাসড়কের বেইলি ব্রিজের ডান পাশের ছোট মসজিদ, যশোর নিউমার্কেট এলাকার মারকাজ মসজিদ। ২০২২ সাল নাগাদ তিনি ওই এলাকায় একটি শক্তিশালী হুজি-বির ইউনিট গঠন করে। কুদ্দুস মাদ্রাসার যুবকদের মনে সমাজ বিদ্বেষী মনোভাব ছড়িয়ে দিতেন এবং প্রচলিত কলুষিত সমাজের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর মাধ্যমে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করার কথা বলে তাঁদের মগজ ধোলাই করে হুজি-বিতে অংশগ্রহণ করাতেন।
অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন নৈশপ্রহরী ছিলেন। সেখানে চাকরি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে একটি কোল্ড স্টোরেজের নৈশপ্রহরীর প্রধান ইনচার্জের হাত ধরে এই সংগঠনে যুক্ত হন। তিনি যশোর জেলার প্রধান হুজি-বির রিক্রুটার এবং অর্থনৈতিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিদেশি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশে হুজি-বির অভ্যন্তরীণ ব্যয়ভার বহনের অর্থ জোগানের ব্যবস্থাও তিনি করতেন।
সিরাজুল ইসলাম ছদ্মবেশে রংমিস্ত্রির কাজ করেন এবং হুজি-বির সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব গোয়েন্দা নজরদারি চালান। ২০১০ সালে তাঁর নামে একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় এক বছর পরে ধরা পড়েন এবং ২০১২ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফেরারি হন। সিরাজুল ইসলাম তাঁর আসল নাম হলেও আত্মগোপনে থাকাকালে তিনি সালাউদ্দিন, রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্বাস, আমির, আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
এই দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) খুলনা বিভাগের অন্যতম দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। নাশকতার উদ্দেশ্যে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগে গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল কুদ্দুস ও সিরাজুল ইসলাম। আব্দুল কুদ্দুস হুজি-বির যশোর জেলার আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম যশোর জেলার প্রধান হরকাতুল জিহাদ হুজি-বির রিক্রুটার ও অর্থনৈতিক শাখার দায়িত্বে ছিলেন।
গত বছর থেকে আব্দুল কুদ্দুস ও সিরাজুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকা আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের জঙ্গি সদস্য মিলে একটি বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করে আসছিলেন বলে দাবি করেন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নাশকতার পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য এরই মধ্যে তারা বেশ তৎপরতা চালাতে শুরু করে এবং নিয়মিত গোপন বৈঠকের মাধ্যমে তাদের কর্মপরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, কার্যপদ্ধতি ও কর্মী সংগ্রহের কাজ ত্বরান্বিত করে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং নাশকতামূলক এই জঙ্গি গ্রুপটির কার্যক্রমের সন্ধান পায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া, যশোর ও মাগুরা এলাকায় তথ্য সংগ্রহের জন্য অবস্থান করে র্যাবের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা নজরদারি এবং ডিজিটাল সার্ভেইলেন্সের মাধ্যমে মালিবাগ এলাকা থেকে গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস হুজি-বির যশোর জেলার আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। পাশাপাশি তিনি যশোর জেলার শেকহাটি এলাকায় ‘ওবায় বিন কাব’ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর নামে ২০০৭ সালে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় একটি হরকাতুল জিহাদ সংশ্লিষ্ট জঙ্গি মামলা ছিল এবং আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
তিনি ২০০৭ সাল থেকে ১০ বছর ২ মাস সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে জেলহাজত থেকে মুক্তি পেয়ে আবার হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দল পুনর্গঠনে যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় নিয়মিত গোপন বৈঠক করতে থাকেন। এসব বৈঠকে ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করত। বৈঠকের স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যশোর সীমা টেক্সটাইলের মসজিদ, যশোর নরের মহাসড়কের বেইলি ব্রিজের ডান পাশের ছোট মসজিদ, যশোর নিউমার্কেট এলাকার মারকাজ মসজিদ। ২০২২ সাল নাগাদ তিনি ওই এলাকায় একটি শক্তিশালী হুজি-বির ইউনিট গঠন করে। কুদ্দুস মাদ্রাসার যুবকদের মনে সমাজ বিদ্বেষী মনোভাব ছড়িয়ে দিতেন এবং প্রচলিত কলুষিত সমাজের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর মাধ্যমে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করার কথা বলে তাঁদের মগজ ধোলাই করে হুজি-বিতে অংশগ্রহণ করাতেন।
অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন নৈশপ্রহরী ছিলেন। সেখানে চাকরি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে একটি কোল্ড স্টোরেজের নৈশপ্রহরীর প্রধান ইনচার্জের হাত ধরে এই সংগঠনে যুক্ত হন। তিনি যশোর জেলার প্রধান হুজি-বির রিক্রুটার এবং অর্থনৈতিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিদেশি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশে হুজি-বির অভ্যন্তরীণ ব্যয়ভার বহনের অর্থ জোগানের ব্যবস্থাও তিনি করতেন।
সিরাজুল ইসলাম ছদ্মবেশে রংমিস্ত্রির কাজ করেন এবং হুজি-বির সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব গোয়েন্দা নজরদারি চালান। ২০১০ সালে তাঁর নামে একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় এক বছর পরে ধরা পড়েন এবং ২০১২ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফেরারি হন। সিরাজুল ইসলাম তাঁর আসল নাম হলেও আত্মগোপনে থাকাকালে তিনি সালাউদ্দিন, রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্বাস, আমির, আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
এই দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫