Ajker Patrika

চুরি করেই তাঁরা লাখপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চুরি করেই তাঁরা লাখপতি

আগে চুরি করতেন চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায়। গত তিন বছর ধরে চুরি করেন ঢাকার নামীদামি অফিসে। সিসি ক্যামেরার নজরদারি এড়ানোর কৌশল জানায় ধরাও পড়েননি কখনো। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁদের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের হাতে ধরা পড়েছেন চক্রের সাত সদস্য। গ্রেপ্তার অভিযান চলছে অন্যদের বিরুদ্ধেও। গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই চুরি করেই দালান বাড়ি বানিয়েছেন তারা। ব্যাংকে জমিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। 

গতকাল সোমবার রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লা জেলার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে অফিসে চুরি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, চক্রের প্রধান জামাল উদ্দিন, শফিক ভূঁইয়া ওরফে বাছা, বাছার স্ত্রী মুক্তা আক্তার, জসিম উদ্দীন, কাদের কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল ও আল আমিন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, একটি লোহার রেঞ্চ, তিনটি হ্যাকস ব্লেড, একটি প্লায়ার্স, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার ও ২০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই চোর চক্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, প্রথমে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নামীদামি অফিসে চুরির জন্য টার্গেট করে চোর চক্রটি। এই চক্রের সদস্যেরা তখন ওই অফিসকে দু-তিন দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। পরে এসব অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকা-পয়সা চুরি করে সুকৌশলে পালিয়ে যান। 

সর্বশেষ গত ১১ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার প্যারাডাইস টাওয়ারের অষ্টম তলায় গোল্ডেন টাচ ইমপোর্টার্সের অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গত ১৩ জুন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলার ছায়া তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যেরা আদাবর টাওয়ারের চতুর্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপে, কাকরাইল নাসির উদ্দিন টাওয়ারের দশম তলায় আমিন গ্রুপে, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯ তলায় অ্যাসিউর গ্রুপে, বাড্ডার রূপায়ণ টাওয়ারের ষষ্ঠতলার সফট লিংক কোম্পানি ও সপ্তমতলার এক্সজিবল কোম্পানির অফিসে চুরি করেন। চক্রের নেতা জামালের বিরুদ্ধে ১০ টির বেশি চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানান মো. মাহবুব আলম। 

গোয়েন্দা পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, অনেক অফিসে সিসি ক্যামেরা থাকলেও যথাযথ নজরদারি নেই। ফলে চুরি হলেও নজরদারির অভাবে চোর শনাক্ত করা যায় না। সিসি ক্যামেরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য একজন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫): ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারি, জাতিসংঘে জরুরি বৈঠক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত