Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম: ছিনতাইকারী ইমরানের দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম: ছিনতাইকারী ইমরানের দায় স্বীকার

রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্না আক্তার ইতিকে (১৯) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালি। আজ বুধবার তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বাড্ডা থানা সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার আসামির স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সকালে ইমরান ও তাঁর এক সহযোগীকে আদালতে হাজির করে বাড্ডা থানা–পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মাহীউদ্দিন আল আমিন ইমরানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। অপর আসামি শাহজাহানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির আসামি ইমরানের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন। পরে ইমরান ও তাঁর সহযোগী শাহজাহানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় ওই দুজনকে বাড্ডা থানার আনন্দনগর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাঁদের হেফাজত থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, একটি রক্তমাখা শার্ট ও ভিকটিমের ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 

আসামি ইমরান আদালতকে বলেছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আফতাবনগর, বাড্ডা, ভাটারা এলাকায় ছিনতাই করে থাকেন। গত ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে চাপাতিসহ আফতাবনগর সি ব্লকে অবস্থিত ইম্পিরিয়াল কলেজের সামনে মেইন রোডে ছিনতাই করার জন্য ওত পেতে ছিলেন। ওই সময়ে একটি মেয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দুই ছিনতাইকারী মেয়েটির পথ রোধ করে। মেয়ের হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ায় মেয়েটি বাধা দেন। ছিনতাইকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। তখন দুই ছিনতাইকারী চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মেয়ের মোবাইল কেড়ে নয়। তারপর তাঁরা পালিয়ে যায়। পুলিশ দুদিন পর রাতে ছিনতাই করা মোবাইল হ্যান্ডসেট ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চাপাতিসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। 

 এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোহাম্মদ আল আমিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে দস্যুতা মামলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত