Ajker Patrika

গাজীপুরে ওএমএসের ৩২০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২ 

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১২: ২৪
গাজীপুরে ওএমএসের ৩২০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২ 

গাজীপুর মহানগরীতে ওএমএসের আটা কালোবাজারে বিক্রির দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তারের চার দিনের মাথায় এবার মহানগরীর চতর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওএমএসের ৩২০ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে ওএমএসের চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে মজুতের দায়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—চতর বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বাস স্টোরের মালিক সাইফুল ইসলাম স্বপন (৩৭) ও তাঁর কর্মচারী আফজাল হোসেন।

জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সূত্রে আমরা জানতে পারি একটি অসাধু চক্র গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্ধারিত চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে মহানগরীর চতর বাজার এলাকার বিশ্বাস স্টোরে মজুত করেছে। এমন খবর পাওয়ার পর সোমবার রাত ৭টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে দোকানের স্টোরে মজুত করে রাখা ৩২০ বস্তা ওএমএসের চাল জব্দ করা হয়।’

মো. জিয়াউল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এর সঙ্গে আরও কারা জড়িত তাঁদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে সরকার বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্যে চাল ও আটা খোলাবাজারে বিক্রির কার্যক্রম (ওএমএস) চালিয়ে আসছে। খাদ্য অধিদপ্তর এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। ওএমএসের আওতায় সরকার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করে। নিম্ন আয়ের ও গরিব মানুষের খাদ্য সংকটের কথা বিবেচনা করে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কম মূল্যে চাল দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়ও সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র ওই চাল বেশি দরে কালোবাজারে বিক্রি করছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান বলেন, ‘যারাই অনিয়ম করবে, তাদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যারা গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা খাদ্যপণ্য নিয়ে কারসাজি করছে, তাঁদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওএমএসের চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে মজুতের দায়ে দুজনকে আটক করা হয়এর আগে গত বৃহস্পতিবার মহানগরীর পুবাইল এলাকা থেকে কালোবাজারে বিক্রি ও পাচারের উদ্দেশ্যে ওএমএসের আটা মজুত করার অপরাধে দুই ডিলার ও এক ডিলারের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে পুবাইল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের ডিলারশিপ বাতিল করে জেলা খাদ্য বিভাগ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত