Ajker Patrika

ইয়াবা দিয়ে পথচারীকে ফাঁসানোর প্রমাণ মিলেছে, এএসআই মাহবুবের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ২২
ইয়াবা দিয়ে পথচারীকে ফাঁসানোর প্রমাণ মিলেছে, এএসআই মাহবুবের বিচার শুরু

পথচারীর পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসানো ও হয়রানির ঘটনায় পল্লবী থানার সাময়িক বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এ অভিযোগ গঠন করেন।

অন্য দুই আসামি হলেন মো. রুবেল ও মো. সোহেল রানা। এই দুইজন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন।।

অভিযোগ গঠনের বিষয়টি ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জহির উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন। পরে আগামী ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।

গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ইয়াবা দিয়ে একজন পথচারীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন এএসআই মাহবুব ও তার দুই সোর্স। তদন্তে এটি প্রমাণিত হয়েছে।

গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি রাস্তায় খলিলুর রহমান নামে এক পথচারীর পথরোধ করেন পল্লবী থানার সাদা পোশাকধারী এএসআই মাহবুবুল আলম। একজন সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার প্যাকেট নিয়ে খলিলের পকেটে পুরে দেন। এরপর পথচারীকে মারধর করে অটোরিকশায় তুলে নেন। মাহবুবুল আলম বলেন, ১৩৫ পিস ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক কারবারিকে ধরেছেন।

কিন্তু পাশে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ঘটনাটি। সেখানে দেখা যায়, পথচারী খলিলুর রহমান নির্দোষ। ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে তাঁকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এএসআই মাহবুবুল আলম। 

এএসআই মাহবুব পথচারী খলিলুর রহমানকে পল্লবী থানায় নিয়ে যান। পল্লবী থানার এসআই কামরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা সাজান। মামলায় বলা হয়, খলিলের কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধারের সময় তাঁর সঙ্গে কনস্টেবল কামরুজ্জামান ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ছিলেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই খালিদ হাসান তন্ময়কে। তদন্ত কর্মকর্তা পরদিন খলিলুর রহমানকে মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠান। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত খলিলুর রহমানকে জামিন দেন। 
 
পরে ভিডিও ফুটেজসহ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এএসআই মাহবুবুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁকে আটক করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ১৩৫ পিস ইয়াবার মামলা করা হয়। মামলায় তাঁকে ও তাঁর দুই সোর্সকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত