Ajker Patrika

চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে মারলেন সরকারি স্কুলের নির্মাণশ্রমিকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে মারলেন সরকারি স্কুলের নির্মাণশ্রমিকেরা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার টিক্কাপাড়া এলাকায় বরাবো সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে চোর সন্দেহে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জহিরুল ইসলাম বাবু, ও আব্দুল বারেক বাবু। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

ঘটনাস্থল থেকে কিশোরটিকে নির্যাতনে ব্যবহৃত লাঠি, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিয়তি রায়। 

তিনি বলেন, ‘গত ৭ সেপ্টেম্বর ভোরে চোর সন্দেহে নির্মাণাধীন ভবনের নিরাপত্তাকর্মী ও নির্মাণ শ্রমিকেরা কিশোর আকাশকে আটক করে। এরপর সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্যাতন চালায়। এতে আকাশ গুরুতর আহত হয়। বাসায় নেওয়ার পর সকাল ৮টার দিকে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নিহতের ফুফু মালতী আক্তার (৩০) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।’ 

মামলায় মালতী আক্তার অভিযোগ করেন, আকাশ (১৪) মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এলাকার হাজী চিনু মিয়া স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আকাশ বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেনি। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার দিকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে এক ব্যক্তি জানায়, আকাশ বরাবো সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণাধীন প্লটে পড়ে আছে, তিনি যেন আকাশকে সেখান থেকে নিয়ে যান। এই সংবাদ পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ পড়ে থাকা আকাশকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান। বাসায় নেওয়ার কিছুক্ষণ পর আকাশের সমস্ত শরীর ঠান্ডা, নিথর ও নিস্তেজ হয়ে আসে। দ্রুতই তাঁর মৃত্যু হয়। 

মামলার পর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে নামে থানা-পুলিশ। গোয়েন্দা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিরাজগঞ্জ সদর থেকে হত্যায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন ভোরে চোর সন্দেহে তাঁরা আকাশকে আটক করেন। পরে ৬ / ৭ জন মিলে তাকে বেঁধে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে আকাশ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জহিরুল ইসলাম বাবু তাঁর মোবাইল ফোন থেকে আকাশের ফুফু মালতী আক্তারকে কল করে ডেকে এনে আকাশকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর আকাশের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা সবাই পালিয়ে যান। 

নিয়তি রায় আরও জানান, এই ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের বিষয় তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত