Ajker Patrika

গাজীপুরে ১৮ দিনেও অপহৃত মা–শিশুসন্তান উদ্ধার হয়নি

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৮: ৩৭
গাজীপুরে ১৮ দিনেও অপহৃত মা–শিশুসন্তান উদ্ধার হয়নি

গাজীপুরের পুবাইল থেকে অপহৃত মা ও ছয় বছর বয়সী শিশুসন্তান ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও অপহৃতরা উদ্ধার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী। 

এ বিষয়ে পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা দায়ের হওয়ার পর বাদীকে সঙ্গে নিয়ে মা ও শিশুসন্তানকে উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে এজাহারনামীয় দুইজনসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। তাই ঘটনাটি পরিকল্পিত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ 

অপহৃতরা হলেন–গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার কামারগাঁও এলাকার নাজমুল হকের স্ত্রী জাকিয়া আক্তার রুমা (৩২) ও তাঁদের শিশুপুত্র নাঈমুল হক (৬)। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রুমা স্থানীয় মুক্তধারা বিদ্যানিকেতন থেকে শিশুপুত্রকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে সন্তানসহ অপহৃত হন। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি রুমার স্বামী বাদী হয়ে তাঁর ভাই আজমুল হক ও ভাবি তানিয়া হকসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুবাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

পরে পুলিশ নগরীর কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকা থেকে রুমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে আজমুল (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া (৩৫) এবং পাবনার বেড়া থানার জয়নগর গ্রাম থেকে হাকিম আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করে। কিন্তু গ্রেপ্তাররা অপহরণের দায় স্বীকার না করায় পুলিশ ঘটনার কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই পরিবার নিয়ে পুবাইল কামারগাঁওয়ের পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করেন। বড় ভাই আজমুলের স্ত্রী তানিয়া মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত। এ কারণে অপরিচিত লোকজন ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করে। 

এ বিষয়ে নাজমুল ও তাঁর স্ত্রী রুমার সঙ্গে ভাই ও ভাবির দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তাঁদের বাড়ি থেকে বিতাড়নের জন্য মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন তানিয়া। এ কারণে স্ত্রী-সন্তানকে ভাই ও ভাবি অপহরণ করেছেন বলে তাঁর ধারণা। স্ত্রী ও সন্তান অপহরণের পর নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। 

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘আমার নিজেরও এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। তাই টঙ্গীতে এক আত্মীয়র বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছি। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের চিন্তায় নাওয়া–খাওয়া ও ঘুম ছেড়ে দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত