Ajker Patrika

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী খুন, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১৯
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী খুন, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে খুন করার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক শামসুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। 

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি হলেন কিষান দাস। তিনি রাজধানীর হাজারীবাগ গগনতলে সুইপার কলোনির বাসিন্দা। ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। ট্রাইব্যুনাল এই মামলার অন্য আসামি লালু দাসকে বেকসুর খালাস দেন। লালু দাস দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বাবা। 

ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হলো। তবে আসামি ইচ্ছে করলে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে। মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্ত্রী রামদুলালীর সঙ্গে আসামি কিষান দাসের বিয়ের পর থেকে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকত। যৌতুক চেয়ে তা না পেলে কিষান দাস স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতেন। ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রামদুলালীকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন স্বামী। রামদুলালী টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। এ সময় তিনি গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হন। এর পরও কয়েক দিন তাঁকে ঘরে আটকে রাখা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঘটনার ছয় দিন পর, অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় রামদুলালীর বাবা কৃষ্ণ দাস বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১১(ক) ধারায় মামলা করেন। যৌতুকের দাবিতে খুনের অভিযোগে দায়ের করা এই মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই কিষান দাস ও তাঁর বাবা লালু দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আসগর স্বপন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কিশোর চন্দ্র মণ্ডল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত