Ajker Patrika

পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস ছিলেন কবির: র‍্যাব

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মে ২০২২, ১৮: ৪৪
পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস ছিলেন কবির: র‍্যাব

চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস ছিলেন কবির আহমদ। দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়, ছিনতাই, মারামারিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন তিন। সম্প্রতি কুপিয়ে পুলিশ সদস্যের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাবের অভিযানে এক সহযোগীসহ কবিরকে লোহাগড়ার বড় হাতিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

এ সময়, র‍্যাব ১টি দা,১টি ওয়ান শুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি, ২ টি হাসুয়া, ১ টি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা, ২ টি মোবাইল ও ২টি সিম কার্ড। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার তথ্য দিয়েছে। 

র‍্যাব-৭ জানিয়েছে, গত ১৫ মে সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার একটি মামলার আসামি কবির আহমদকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে অভিযান চালায় পুলিশের একটি আভিযানিক দল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবির সশস্ত্র অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। প্রথমে সে তাঁর শনাক্তকারী ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে পুলিশ সদস্য মো. জনি খান তাঁকে বাধা দিলে কবির তাঁর হাতের ধারালো অস্ত্র দিয়ে জনি খানকে সজোরে আঘাত করে বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং ঘটনাস্থলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্য শাহাদত হোসেনকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। 

র‍্যাব-৭ আরও জানায়, এই ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়ার গহিন পাহাড়ি এলাকা অভিযান পরিচালনা করে কবির তাঁর সহযোগী কফিল উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করে। অভিযান চলাকালে গ্রেপ্তারকৃত কবির তাঁর কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে এক র‍্যাব সদস্য আহত হন। জবাবে র‍্যাব পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল হতে কবিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানিয়েছে, ঘটনার পর কবির তাঁর সহযোগী কফিলকে নিয়ে বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙর এলাকার একটি দুর্গম পাহাড়ে আত্মগোপন করে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে কবির তাঁর সহযোগীসহ দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে পুনরায় লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়ার গহিন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়।

র‍্যাব জানিয়েছে, কবির চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা ও মারামারির মামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। কফিলও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর নামেও বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাচেষ্টা ও মারামারি সংক্রান্ত ৬টি মামলা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের চার পাটপণ্যে ভারতের বন্দর নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত