শাহরিয়ার হাসান
কক্সবাজারে এত বন্দুকযুদ্ধ, ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ আর আসামি গ্রেপ্তারের পরও মাদক কেনাবেচা এতটুকু কমেনি। উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এখনো ইয়াবার চালান ঢুকছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ইয়াবা নয়, এই পথ ধরে মিয়ানমার থেকে ভয়ংকর মাদক আইসও আসছে। কক্সবাজারের পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, অপরিচিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই মাদক চিনতে পারছেন না। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আইস পাচারের বিষয়টি মিয়ানমারও জানে। সে দেশে গত এক বছরে ১৭ টন আইস ধরাও পড়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মাদক পাচার বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এত সব আয়োজন কার্যত ব্যর্থ হলো? চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন অবশ্য বলছেন, আত্মসমর্পণ, অভিযান, গ্রেপ্তারে মাদক চোরাচালান অনেকটাই কমে এসেছে। পরিস্থিতি এখন আগের মতো নেই।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি টেকনাফের পাশাপাশি উখিয়ায়ও নতুন মাদক কারবারিদের উত্থান ঘটেছে। মাদকের বেশ কিছু চালান সীমান্তে দায়িত্বরত সংস্থার সদস্যরা জব্দ করতে সক্ষম হলেও আড়ালে বড় চালানগুলো খালাস হচ্ছে।
সরেজমিনে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় প্রভাবশালী ও বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে। মাছ ধরার ট্রলারে জেলের ছদ্মবেশে মাদক পাচারকারীরা সাগরে গিয়ে মিয়ানমারের কারবারিদের কাছ থেকে হাতবদল করে নিয়ে আসে। দীর্ঘ অরক্ষিত সৈকত পয়েন্টের যেকোনো পয়েন্ট থেকে মাদক সংগ্রহ করে। পরে তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত করে। সুযোগমতো মাদকগুলো ক্যাম্পের ভেতর দিয়েই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পার করে দেয়।
কক্সবাজার এলাকায় র্যাবের কর্মকর্তা উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে এখানে মাদকের সিন্ডিকেট চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ইসমাইল, আমির, আনাস, মুন্না, জাকির, ইয়াসির, সৈয়দ হোছন, প্রকাশ পুতিয়া, মহেশখালীর সালমান শাহ গ্রুপগুলো নতুন সিন্ডিকেটের গডফাদার। আমরা অভিযান চালিয়ে এসব চক্রের সদস্যদের নিয়মিত গ্রেপ্তার করছি।’
কক্সবাজারে ইয়াবার সঙ্গে আইসের দাপট
মাদক কারবারিরা একসময় শুধু ইয়াবার বড় বড় চালান দেশে এনে সারা দেশে সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি ইয়াবার পাশাপাশি ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের প্রতি ঝুঁকছেন তাঁরা। তাই ইয়াবা চালানের মতোই বন্যার পানির মতো দেশে ঢুকছে এই নতুন মাদক।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোট সাদা স্বচ্ছ দানার মতো দেখতে আইস অপরিচিত হওয়ায় কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে কয়েকটি চালান পাচার করেছিল। পরে চালানগুলো আমরা ধরতে পেরেছি। গত দুই মাসে থানাকে আইস মাদকের তিনটি চালান জব্দ ও গ্রেপ্তারের মোট তিনটি মামলা হয়েছে। ওসি বলেন, ইয়াবা কারবারিরা এক রুট ব্যবহার করেই এই মাদক পাচার করছেন।
তথ্য বলছে, গত ৩ মার্চে হ্নীলায় উদ্ধার হওয়া দুই কেজি ‘আইস’ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চালান। এরপর র্যাব নয়াপাড়া ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ১ কেজি আইস উদ্ধার করেছিল। এ ছাড়া বিজিবি থানার পুলিশ বিভিন্ন সময় একাধিক চালান উদ্ধার করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সদ্য সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আহসানুল জব্বার বলেন, মিয়ানমারের সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোল (সিসিডিএসি) জানিয়েছে, গত এক বছরে মিয়ানমারের প্রশাসন ১৬ দশমিক ৮ মেট্রিক টন আইস জব্দ করেছে। মামলা করেছে ২২৭টি। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কী পরিমাণ আইস সেখানে রয়েছে।
ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার হয়ে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ঢুকছে আইস। তবে দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে আইসের বড় বাজার নেই। তাই কারবারিদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আইসের চালানগুলো ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেগুলোতে পাচার করা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ছয় মাসে কক্সবাজারে ১০টির মতো আইসের চালান ধরা পড়েছে। টেকনাফে আমরা এযাবৎকালের মধ্যে যে বড় চালান জব্দ করেছি, সেই আইসগুলো থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এটির গন্তব্য বাংলাদেশ ছিল না বলে জানতে পেরেছি।
কক্সবাজারে এত বন্দুকযুদ্ধ, ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ আর আসামি গ্রেপ্তারের পরও মাদক কেনাবেচা এতটুকু কমেনি। উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এখনো ইয়াবার চালান ঢুকছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ইয়াবা নয়, এই পথ ধরে মিয়ানমার থেকে ভয়ংকর মাদক আইসও আসছে। কক্সবাজারের পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, অপরিচিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই মাদক চিনতে পারছেন না। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আইস পাচারের বিষয়টি মিয়ানমারও জানে। সে দেশে গত এক বছরে ১৭ টন আইস ধরাও পড়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মাদক পাচার বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এত সব আয়োজন কার্যত ব্যর্থ হলো? চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন অবশ্য বলছেন, আত্মসমর্পণ, অভিযান, গ্রেপ্তারে মাদক চোরাচালান অনেকটাই কমে এসেছে। পরিস্থিতি এখন আগের মতো নেই।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি টেকনাফের পাশাপাশি উখিয়ায়ও নতুন মাদক কারবারিদের উত্থান ঘটেছে। মাদকের বেশ কিছু চালান সীমান্তে দায়িত্বরত সংস্থার সদস্যরা জব্দ করতে সক্ষম হলেও আড়ালে বড় চালানগুলো খালাস হচ্ছে।
সরেজমিনে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় প্রভাবশালী ও বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে। মাছ ধরার ট্রলারে জেলের ছদ্মবেশে মাদক পাচারকারীরা সাগরে গিয়ে মিয়ানমারের কারবারিদের কাছ থেকে হাতবদল করে নিয়ে আসে। দীর্ঘ অরক্ষিত সৈকত পয়েন্টের যেকোনো পয়েন্ট থেকে মাদক সংগ্রহ করে। পরে তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত করে। সুযোগমতো মাদকগুলো ক্যাম্পের ভেতর দিয়েই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পার করে দেয়।
কক্সবাজার এলাকায় র্যাবের কর্মকর্তা উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে এখানে মাদকের সিন্ডিকেট চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ইসমাইল, আমির, আনাস, মুন্না, জাকির, ইয়াসির, সৈয়দ হোছন, প্রকাশ পুতিয়া, মহেশখালীর সালমান শাহ গ্রুপগুলো নতুন সিন্ডিকেটের গডফাদার। আমরা অভিযান চালিয়ে এসব চক্রের সদস্যদের নিয়মিত গ্রেপ্তার করছি।’
কক্সবাজারে ইয়াবার সঙ্গে আইসের দাপট
মাদক কারবারিরা একসময় শুধু ইয়াবার বড় বড় চালান দেশে এনে সারা দেশে সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি ইয়াবার পাশাপাশি ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের প্রতি ঝুঁকছেন তাঁরা। তাই ইয়াবা চালানের মতোই বন্যার পানির মতো দেশে ঢুকছে এই নতুন মাদক।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোট সাদা স্বচ্ছ দানার মতো দেখতে আইস অপরিচিত হওয়ায় কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে কয়েকটি চালান পাচার করেছিল। পরে চালানগুলো আমরা ধরতে পেরেছি। গত দুই মাসে থানাকে আইস মাদকের তিনটি চালান জব্দ ও গ্রেপ্তারের মোট তিনটি মামলা হয়েছে। ওসি বলেন, ইয়াবা কারবারিরা এক রুট ব্যবহার করেই এই মাদক পাচার করছেন।
তথ্য বলছে, গত ৩ মার্চে হ্নীলায় উদ্ধার হওয়া দুই কেজি ‘আইস’ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চালান। এরপর র্যাব নয়াপাড়া ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ১ কেজি আইস উদ্ধার করেছিল। এ ছাড়া বিজিবি থানার পুলিশ বিভিন্ন সময় একাধিক চালান উদ্ধার করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সদ্য সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আহসানুল জব্বার বলেন, মিয়ানমারের সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোল (সিসিডিএসি) জানিয়েছে, গত এক বছরে মিয়ানমারের প্রশাসন ১৬ দশমিক ৮ মেট্রিক টন আইস জব্দ করেছে। মামলা করেছে ২২৭টি। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কী পরিমাণ আইস সেখানে রয়েছে।
ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার হয়ে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ঢুকছে আইস। তবে দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে আইসের বড় বাজার নেই। তাই কারবারিদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আইসের চালানগুলো ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেগুলোতে পাচার করা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ছয় মাসে কক্সবাজারে ১০টির মতো আইসের চালান ধরা পড়েছে। টেকনাফে আমরা এযাবৎকালের মধ্যে যে বড় চালান জব্দ করেছি, সেই আইসগুলো থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এটির গন্তব্য বাংলাদেশ ছিল না বলে জানতে পেরেছি।
আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
৪ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
১১ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫