Ajker Patrika

শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যা করে ডাকাতির নাটক, গ্রেপ্তার ৩

প্রতিনিধি, কুমিল্লা
শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যা করে ডাকাতির নাটক, গ্রেপ্তার ৩

পরিবারের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে না পারার দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে নিজ শ্বশুর ও শাশুড়িকে হত্যা করেছেন পুত্রবধূ শিউলি আক্তার। এ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন তাঁর খালাতো ভাই জহিরুল ইসলাম সানি ও সানির বন্ধু তুহিন। আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. আবদুর রহিম। এ ঘটনায় শিউলি আক্তার ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

নিহতরা হলেন, কুমিল্লার সুবর্ণপুর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগম। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দুবাই প্রবাসী আমান উল্লাহর স্ত্রী নাজমুন নাহার চৌধুরী শিউলি (২৫), নগরীর চর্থা এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম মজুমদার সানি (১৯) ও লালমাইয়ের জয়কামতা এলাকার মেহেদী হাসান তুহিন (১৮)। 

জানা যায়, পরিবারের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে চাইতেন গৃহবধূ শিউলি। কিন্তু তা হাতে না পাওয়ায় ক্ষোভ থেকে শ্বশুর ও শাশুড়িকে হত্যা করতে গতকাল রোববার রাত ৮টায় শিউলি তাঁর ভাই সানিকে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে আসতে বলেন। পরে রাত ৯টায় সানি ও তাঁর বন্ধু তুহিন এলে তাঁদের পাশের একটা ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে শিউলি ওড়না দিয়ে তাঁর শাশুড়ি সফুরা বেগমের মুখ চেপে ধরেন এবং বাকি দুজন হাত পা বেঁধে কম্বল চাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। একইভাবে শিউলি তাঁর শ্বশুরকেও হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডটি ডাকাতি বলে সাজানোর জন্য ঘরের আসবাবপত্র ও বিছানা এলোমেলো করে মেঝেতে ফেলে রাখেন শিউলি। একই সঙ্গে নিহতদের মোবাইল ফোন পাশের ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর সহযোগীদের বিদায় করে শিউলি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। 

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় নিহত বিল্লাল হোসেনের বড় মেয়ে বিলকিছ আক্তার বাদী হয়ে শিউলি ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শিউলিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিজের দোষ এবং অপর সহযোগীদের নাম পরিচয়ের কথা স্বীকার করেন। 

পুলিশ সুপার আরও বলে, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পুত্রবধূ শিউলিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, রাজন কুমার দাস, ডিআইও ওয়ান মনির আহমেদ, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া, পুলিশ উপপরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দাস। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত