Ajker Patrika

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের গুলি, যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০: ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের গুলি, যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর বুক ছড়রা গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

ফয়সাল উপজেলার কুট্টাপাড়ার রাকিব মিয়ার ছেলে। তাঁর পরিবারের দাবি, ফয়সাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি নিহত হন। 

স্থানীয়রা জানান, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের ইকবালের চৌকিদারের ছেলে অটোরিকশা চালক আকাশ রাস্তা পার হওয়ার সময় ধরন্তী মূলবর্গ গ্রামের হুমায়ন মেম্বারের ছেলে তোফাজ্জলের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে তোফাজ্জলের লোক জনেরা কালিকচ্ছ বাজারে আকাশের ওপর হামলা চালায়। এতে আকাশ গুরুতর আহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় ইফতারের পর কালিকচ্ছ বাজারে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।ফয়সালের বুক ও পেটে অসংখ্য ছড়রা গুলির দাগ দেখা গেছে

সংঘর্ষের সময় বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সালকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর বুক থেকে পেট পর্যন্ত অসংখ্য ছড়রা গুলি বিঁধেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. তানভীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’

ফয়সালের বুক ও পেটে গুলি নাকি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে জানতে চাইলে ডা. তানভীর ভূঁইয়া কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

রাকিবের মা হালিমা খাতুন দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।’ রাকিবের মামা ওসমান বলেন, ‘রাকিবের বাড়ি কুট্টাপাড়ায় হলেও আমাদের দোকানে থাকত। আজ ঝগড়া শুরুর পর দোকানের তালা আমরা লাগাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমার ভাগনে রাকিবের ওপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সাথে জড়িতও না? এর বিচার চাই।’ 

এ জানতে চাইলে ব্যাপারে জেলা পুলিশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে যুবক নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত