Ajker Patrika

ছিনতাইয়ের শিকার নেপালি তরুণীসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ১ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছিনতাইয়ের শিকার নেপালি তরুণীসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ১ 

চট্টগ্রামে ছুরি দেখিয়ে নেপালি বান্ধবীসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মো. শাকিল (৪১) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার তাঁকে বহদ্দারহাট বারইপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৮ মার্চ) পাঁচলাইশ থানায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

আজ রোববার পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বুধবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে শহিদুল ইসলাম হৃদয় ও তাঁর বান্ধবী নেপালি নাগরিক গায়েত্রী থারু ‘হানিফ পরিবহনের’ একটি বাসে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে বহদ্দারহাটে নামেন। রাত গভীর হওয়ায় অনেকক্ষণ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। পরে গাড়ি না পেয়ে তাঁরা দুজন হেঁটে কাতালগঞ্জ এলাকার চাচির বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় বাদুরতলা এলাকায় পৌঁছালে তিনজন তাঁদের গতিরোধ করে। পরে ছুরি দেখিয়ে শহীদুলকে চড়থাপ্পড় মেরে তাঁর ও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা-পয়সা, এটিএম কার্ড, আইডি কার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গ্রেপ্তারকৃত শাকিল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বহদ্দারহাট বারইপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। পুলিশ তাঁকে এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায়। ৩৬ ঘণ্টা থানায় রেখে গতকাল শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃত শাকিলের স্ত্রী মোছা. সাদিয়া বলেন, ‘আমার স্বামী কোনোভাবে ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। শুধু শুধু পুলিশ আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে।’ 

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুজনই আলাদা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমাদের দেশে ও বিদেশে যেসব বন্ধু আছে সবাই মিলে একটি টুরিজম প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। সে জন্য ওই নেপালি বান্ধবীসহ কয়েকজন মিলে পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে যাই।’ 

আসামির বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে জায়গায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে আলো কম ছিল। জায়গাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় ছিনতাইকারীদের ভালোভাবে চেনা যায়নি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, ছিনতাইকারীদের বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে হবে।’ 

জানতে চাইলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাকিলের কাছে ছিনতাইকৃত একটি মোবাইল পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার শাকিলের দাবি—তিনি দুজনের কাছ থেকে মোবাইলটি কিনেছেন। এখন ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলে তিনি নির্দোষ নাকি দোষী তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত