প্রতিনিধি, ফেনী
ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার দুই মাস অতিবাহিত হলেও ধরা পড়েননি মামলার প্রধান আসামি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি কালামের সহযোগী নাঈমুল হাসান এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
জানা যায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। তাঁর বিরুদ্ধে গেলে চালানো হতো নির্মম নির্যাতন, ঘটানো হতো হত্যার মতো ঘটনাও। গত ১৫ জুলাই মধ্যরাতে ফেনীর সুলতানপুর সাহেববাড়ি এলাকায় গরু ব্যবসায়ী শাহ জালালকে হত্যার পর গা ঢাকা দেন কালাম। ব্যবসায়ীকে হত্যা ঘটনার প্রতিবাদে সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বত্র ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের নেতা নজরুলকে গুমের মাধ্যমে কালামের অপকর্মের যাত্রা শুরু হয়। গুমের পর পরিবারের স্বজনেরা আজও পায়নি নজরুলের সন্ধান। ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন রতনকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানেই গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বিএনপির সাবেক সাংসদ ভিপি জয়নালের দেহরক্ষী হিসেবে ২০০০ সালে বিপুল অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন আবুল কালাম।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এই দলে যোগদান করেন কালাম। দল পরিবর্তনের পরপরই তিনি বিএনপি নেতা সাবেক সাংসদ ভিপি জয়নালের বাড়িতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালান। এরই মাধ্যমে যুবলীগে বিশ্বস্তের তালিকায় নিজের নাম লিখান তিনি। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করে বেড়ালেও সব সময় তাঁর ওপর ছিল ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয়দের আশীর্বাদ। পরবর্তী সময়ে কালাম ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা হলেও ক্ষমতার দাপটে ভোটার স্থানান্তর করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হন। এর পরই তিনি ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। চলতি বছর পৌর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন কালাম।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, ইয়াবা, মাদকসহ অবৈধ কারবার নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীকে হত্যার দিন চাইলেই পুলিশ কালামকে ধরতে পারত, কিন্তু দলীয়ভাবে তাঁর প্রভাব এবং ক্ষমতাশালীদের সঙ্গে পুলিশের মৌন দ্বন্দ্ব সৃষ্টির হওয়ার ভয়ে তাঁকে ধরা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বলেন, গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও অন্যান্য নেতা বৈঠক করে কালামকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, মামলার দ্বিতীয় আসামি নাঈমুলের ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন আবুল কালাম ব্যবসায়ীকে অফিসে ডেকে নেন। ভাতিজা রাজুকে বাড়ি পাঠিয়ে অস্ত্র আনান। এরপর কালাম একটি মোটরসাইকেলে এবং রাজু ও নাঈমুল আরেকটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যান। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে গুলি করেন আবুল কালাম। পরে ওই ব্যবসায়ীকে পার্শ্ববর্তী নাগপুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যান তাঁরা।
এসআই আরও বলেন, আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে নাঈমুলকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রধান আসামি কালামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি কালামের সহযোগী রাজুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার দুই মাস অতিবাহিত হলেও ধরা পড়েননি মামলার প্রধান আসামি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি কালামের সহযোগী নাঈমুল হাসান এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
জানা যায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। তাঁর বিরুদ্ধে গেলে চালানো হতো নির্মম নির্যাতন, ঘটানো হতো হত্যার মতো ঘটনাও। গত ১৫ জুলাই মধ্যরাতে ফেনীর সুলতানপুর সাহেববাড়ি এলাকায় গরু ব্যবসায়ী শাহ জালালকে হত্যার পর গা ঢাকা দেন কালাম। ব্যবসায়ীকে হত্যা ঘটনার প্রতিবাদে সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বত্র ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের নেতা নজরুলকে গুমের মাধ্যমে কালামের অপকর্মের যাত্রা শুরু হয়। গুমের পর পরিবারের স্বজনেরা আজও পায়নি নজরুলের সন্ধান। ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন রতনকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানেই গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বিএনপির সাবেক সাংসদ ভিপি জয়নালের দেহরক্ষী হিসেবে ২০০০ সালে বিপুল অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন আবুল কালাম।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এই দলে যোগদান করেন কালাম। দল পরিবর্তনের পরপরই তিনি বিএনপি নেতা সাবেক সাংসদ ভিপি জয়নালের বাড়িতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালান। এরই মাধ্যমে যুবলীগে বিশ্বস্তের তালিকায় নিজের নাম লিখান তিনি। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করে বেড়ালেও সব সময় তাঁর ওপর ছিল ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয়দের আশীর্বাদ। পরবর্তী সময়ে কালাম ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা হলেও ক্ষমতার দাপটে ভোটার স্থানান্তর করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হন। এর পরই তিনি ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। চলতি বছর পৌর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন কালাম।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, ইয়াবা, মাদকসহ অবৈধ কারবার নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীকে হত্যার দিন চাইলেই পুলিশ কালামকে ধরতে পারত, কিন্তু দলীয়ভাবে তাঁর প্রভাব এবং ক্ষমতাশালীদের সঙ্গে পুলিশের মৌন দ্বন্দ্ব সৃষ্টির হওয়ার ভয়ে তাঁকে ধরা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বলেন, গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও অন্যান্য নেতা বৈঠক করে কালামকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, মামলার দ্বিতীয় আসামি নাঈমুলের ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন আবুল কালাম ব্যবসায়ীকে অফিসে ডেকে নেন। ভাতিজা রাজুকে বাড়ি পাঠিয়ে অস্ত্র আনান। এরপর কালাম একটি মোটরসাইকেলে এবং রাজু ও নাঈমুল আরেকটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যান। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে গুলি করেন আবুল কালাম। পরে ওই ব্যবসায়ীকে পার্শ্ববর্তী নাগপুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যান তাঁরা।
এসআই আরও বলেন, আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে নাঈমুলকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রধান আসামি কালামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি কালামের সহযোগী রাজুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫