প্রতিনিধি, বরগুনা
ভোট না দেওয়ায় কয়েকটি পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। একজনকে পিটিয়ে জখম করেছেন চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন। বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার যুবক অসীম চন্দ্র শীল (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অসীম চন্দ্র শীল বলেন, বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। ঢাকার একটি সেলুনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর দরিদ্র পিতা বিমল চন্দ্র শীল স্থানীয় বৈকালিন বাজারে চায়ের দোকানি।
মহামারির কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে গ্রামের বাড়িতে থাকছেন অসীম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার তাঁকে পরিবারসহ গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। নজরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈকালিন বাজারে নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে যান অসীম। এ সময় চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ফরিদ (৩৫), বাপ্পি (৪০), ফোরকান (২৬), ইমরান (১৭) এবং রাজু জোমাদ্দারসহ (৪০) আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এ সময় প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও ফকরুল ইসলাম কমল তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁদেরও বেদম মারধর করে হাত ভেঙে দেন তারা। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বামনা থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ওসি মো. বশিরুল আলম।
অসীম চন্দ্র শীল পার্শ্ববর্তী আরএন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে তাঁকে ধরে এনে চেয়ারম্যান নিজেই লোহার পাইপ দিয়ে আবার তাঁকে পেটান। এ সময় এসআই সিদ্দিক ঘটনাস্থলে এবং ওসি বশিরুল আলম ঘটনাস্থল থেকে অল্প দূরে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কিছুই করেননি। ওই দিনই বৈকালিন বাজারে অসীম চন্দ্র শীলের বাবার একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকানটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন নজরুল ইসলামের লোকজন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মালেক মেম্বার (৫০) থামাতে গেলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করেন নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলামের ভয়ে আর বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে পারেননি অসীম। এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতেও সাহস করেননি তিনি। প্রথমে মঠবাড়িয়া হাসপাতালে এবং পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানান অসীম চন্দ্র শীল।
মারধর ঠেকাতে গিয়ে মার খাওয়া জহিরুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, মারধরের সময় অসীমকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও পিটিয়ে হাত ভেঙে দেন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তাঁর ক্যাডার বাহিনী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা নজরুল ইসলামকে সমর্থন দেননি ‘নির্বাচনের পর খেলা দেখাবেন’ বলে প্রচারণার সময়ই হুমকি দিচ্ছিল তাঁর ক্যাডার বাহিনী।
রামনা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বরং অসীম চন্দ্র শীল এবং তাঁর সহযোগীরা তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালালে তা প্রতিহত করতে গিয়ে দু-একজন সামান্য আহত হয়ে থাকতে পারে। এর বেশি কিছুই নয়।
বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন। তবে কেউই এখনো পর্যন্ত তাঁর কাছে মামলা করতে আসেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভোট না দেওয়ায় কয়েকটি পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। একজনকে পিটিয়ে জখম করেছেন চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন। বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার যুবক অসীম চন্দ্র শীল (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অসীম চন্দ্র শীল বলেন, বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। ঢাকার একটি সেলুনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর দরিদ্র পিতা বিমল চন্দ্র শীল স্থানীয় বৈকালিন বাজারে চায়ের দোকানি।
মহামারির কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে গ্রামের বাড়িতে থাকছেন অসীম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার তাঁকে পরিবারসহ গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। নজরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈকালিন বাজারে নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে যান অসীম। এ সময় চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ফরিদ (৩৫), বাপ্পি (৪০), ফোরকান (২৬), ইমরান (১৭) এবং রাজু জোমাদ্দারসহ (৪০) আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এ সময় প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও ফকরুল ইসলাম কমল তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁদেরও বেদম মারধর করে হাত ভেঙে দেন তারা। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বামনা থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ওসি মো. বশিরুল আলম।
অসীম চন্দ্র শীল পার্শ্ববর্তী আরএন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে তাঁকে ধরে এনে চেয়ারম্যান নিজেই লোহার পাইপ দিয়ে আবার তাঁকে পেটান। এ সময় এসআই সিদ্দিক ঘটনাস্থলে এবং ওসি বশিরুল আলম ঘটনাস্থল থেকে অল্প দূরে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কিছুই করেননি। ওই দিনই বৈকালিন বাজারে অসীম চন্দ্র শীলের বাবার একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকানটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন নজরুল ইসলামের লোকজন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মালেক মেম্বার (৫০) থামাতে গেলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করেন নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলামের ভয়ে আর বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে পারেননি অসীম। এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতেও সাহস করেননি তিনি। প্রথমে মঠবাড়িয়া হাসপাতালে এবং পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানান অসীম চন্দ্র শীল।
মারধর ঠেকাতে গিয়ে মার খাওয়া জহিরুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, মারধরের সময় অসীমকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও পিটিয়ে হাত ভেঙে দেন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তাঁর ক্যাডার বাহিনী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা নজরুল ইসলামকে সমর্থন দেননি ‘নির্বাচনের পর খেলা দেখাবেন’ বলে প্রচারণার সময়ই হুমকি দিচ্ছিল তাঁর ক্যাডার বাহিনী।
রামনা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বরং অসীম চন্দ্র শীল এবং তাঁর সহযোগীরা তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালালে তা প্রতিহত করতে গিয়ে দু-একজন সামান্য আহত হয়ে থাকতে পারে। এর বেশি কিছুই নয়।
বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন। তবে কেউই এখনো পর্যন্ত তাঁর কাছে মামলা করতে আসেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫