নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০০৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুম ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬১৪ জন নাগরিক। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৬৭ জনকে, ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, ফিরে এসেছেন ৫৭ জন, আর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ২২। আর ৩৯০ জনের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস (৩০ আগস্ট) উপলক্ষে আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আছে সাধারণ মানুষও। যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাঁদের বড় একটি অংশই আর ফিরে আসেননি।
গুমের ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য; বিশেষ করে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে সাদা পোশাকে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের তুলে নেওয়া হয় এবং এরপর সংশ্লিষ্ট বাহিনী কর্তৃক তাদের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজ হন ১১ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, ৪ জন উদ্ধার হয় এবং এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। অপরদিকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন ১১ জন। যার মধ্যে ৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ৪ জন উদ্ধার হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন মনে করে, দেশের নাগরিকের জীবন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের প্রধানতম দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজের ঘটনা অবশ্যই সংবিধানের পরিপন্থী। বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছে সেগুলোরও পরিপন্থী। গুম ও নিখোঁজের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা ও ভাবমূর্তিকে বিপদগ্রস্ত করছে। গুম হওয়া পরিবারগুলো, সন্তানেরা প্রতি মুহূর্তে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। গুম ও নিখোঁজ হওয়া মানুষ ফিরে আসবে, গুমের একটি ঘটনাও আর ঘটবে না সেটাই সকলের কাম্য। যদি কারও বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তা যতই গুরুতর হোক, আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গেছে। তাকে অবশ্যই আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজের ঘটনা রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে গুম হওয়া সব মানুষকে খুঁজে বের করা, দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত করা, জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিখোঁজ ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এমএসএফ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুমের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা জন্য জাতিসংঘ ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ‘International onvention for the Protection of All Persons from Enforced Disappearance’ শীর্ষক একটি সনদ গ্রহণ করে। সে সনদে বলা হয়েছে— আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর অস্বীকার করা, বিচার ব্যবস্থার কাছে সোপর্দ না করা বা যদি তাঁর খোঁজ না পাওয়া যায় তবে সেটিকেই গুম বলে।
২০০৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুম ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬১৪ জন নাগরিক। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৬৭ জনকে, ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, ফিরে এসেছেন ৫৭ জন, আর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ২২। আর ৩৯০ জনের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস (৩০ আগস্ট) উপলক্ষে আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আছে সাধারণ মানুষও। যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাঁদের বড় একটি অংশই আর ফিরে আসেননি।
গুমের ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য; বিশেষ করে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে সাদা পোশাকে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের তুলে নেওয়া হয় এবং এরপর সংশ্লিষ্ট বাহিনী কর্তৃক তাদের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজ হন ১১ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, ৪ জন উদ্ধার হয় এবং এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। অপরদিকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন ১১ জন। যার মধ্যে ৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ৪ জন উদ্ধার হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন মনে করে, দেশের নাগরিকের জীবন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের প্রধানতম দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজের ঘটনা অবশ্যই সংবিধানের পরিপন্থী। বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছে সেগুলোরও পরিপন্থী। গুম ও নিখোঁজের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা ও ভাবমূর্তিকে বিপদগ্রস্ত করছে। গুম হওয়া পরিবারগুলো, সন্তানেরা প্রতি মুহূর্তে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। গুম ও নিখোঁজ হওয়া মানুষ ফিরে আসবে, গুমের একটি ঘটনাও আর ঘটবে না সেটাই সকলের কাম্য। যদি কারও বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তা যতই গুরুতর হোক, আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গেছে। তাকে অবশ্যই আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজের ঘটনা রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে গুম হওয়া সব মানুষকে খুঁজে বের করা, দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত করা, জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিখোঁজ ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এমএসএফ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুমের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা জন্য জাতিসংঘ ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ‘International onvention for the Protection of All Persons from Enforced Disappearance’ শীর্ষক একটি সনদ গ্রহণ করে। সে সনদে বলা হয়েছে— আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর অস্বীকার করা, বিচার ব্যবস্থার কাছে সোপর্দ না করা বা যদি তাঁর খোঁজ না পাওয়া যায় তবে সেটিকেই গুম বলে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫