Ajker Patrika

ভাতার কার্ডের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সাতক্ষীরা ও কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
ভাতার কার্ডের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। সাফিয়া খুলনা বিভাগে জাতীয় পার্টির একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি তাঁর সহযোগী পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মাধ্যমে এ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী কালিকাপুর গ্রামের বৃদ্ধ সাইদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, ইকবাল হোসেন, খাদিজা খাতুন, ইমান আলী, ফরিদা খাতুন, মনোয়ারা বেগম, যেবুন্নেসা খাতুন, রহিমা বেগম ও হামিদা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের আগে সাফিয়া পারভীন নির্বাচনে জিততে পারলে তাঁদের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে রেজাউলের মাধ্যমে তিন-চার হাজার করে টাকা নিয়েছেন।

উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রেজাউল করিমের মাধ্যমে সাফিয়া পারভীন আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেন। চাচার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে এ টাকা নেন তিনি। বছরখানেক আগে এ টাকা নেওয়া হলেও এখনো আমার চাচা কার্ড পাননি।’

একই গ্রামের খাদিজা খাতুন ও মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘বিধবা ভাতা দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছেন রেজাউল করিম। ৯ মাস আগে টাকা নিলেও এখনো আমরা কার্ড পাইনি। সম্প্রতি আমরা কার্ড-বঞ্চিতরা মিলে ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের কাছে গেলে তিনি আমাদের তাড়িয়ে দেন।’

ওই গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শুধু আমাদের গ্রাম থেকেই লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন সাফিয়া পারভীন। অন্যান্য গ্রামেও একই অবস্থা বলে শুনেছি। সম্প্রতি আমরা চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের কোনো কথা শুনতে রাজি না। নানা প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আমাদের বিদায় করে দিয়েছেন। ঘটনার বিচার পেতে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে টাকা আদায়কারী বলে অভিযোগ করা রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন দেওয়া হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন দাবি করেন, ‘আমি কার্ড করে দেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। অভিযোগকারীরা আমার কাছে এসেছিলেন টাকা ফেরত নিতে। কিন্তু আমি বলে দিয়েছি, যেহেতু আমি কারও মাধ্যমে টাকা নিইনি, তাই ফেরত দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে ছিলাম। এ ধরনের কোনো অভিযোগ এসেছে কি না জানি না। খবর নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, ‘অভিযোগের অনুলিপি আমিও পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত