নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার আজ ১৭ বছর সম্পন্ন হল। এতদিনেও এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো না। বিচারকাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। গত ৭ জানুয়ারি মামলাটির আপিল আবেদন সাময়িকভাবে কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর মামলাটি আর কার্যতালিকাই উঠানো হয়নি।
কবে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে চলমান লকডাউন শেষে আদালত নিয়মিত হলে বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানি শুরু হবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আপিল বিভাগ সাময়িকভাবে আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। পরবর্তীতে এটি আবারও কার্যতালিকায় আসবে। তবে কবে আবার কার্যতালিকায় আসবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি।
এ এম আমিন উদ্দিন জানান, লকডাউনের কারণে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চলছে। এটা একটি বড় মামলা। ভার্চ্যুয়াল কোর্টে বড় ধরণের শুনানি হচ্ছে না। আমরা এখন ছোটখাটো মামলার শুনানি করছি। আদালত নিয়মিত হলে আমরা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলাসহ বড় মামলার কার্যক্রম শুরু করব।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি হাইকোর্টে চলাকালে যাঁরা বিচারক ছিলেন, তাঁদের একজন বর্তমানে আপিল বিভাগে রয়েছেন। আর বর্তমান আপিল বিভাগের আরেক বিচারক হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা দু'জন এখন আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়ায় আইনগতভাবে মামলাটি শুনতে পারবেন না। তাই আপিল বিভাগ মামলাটি আপাতত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। পরবর্তীতে বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির শুনানি হবে।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দশ-বারো জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হয়।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়। ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক জনের বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। খালাস দেওয়া হয় বাকি ১১ জনকে। এই খালাসের বিরুদ্ধে আবার আপিল করা হয়। সুপরিচিত মামলাটি আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা: গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার আজ ১৭ বছর সম্পন্ন হল। এতদিনেও এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো না। বিচারকাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। গত ৭ জানুয়ারি মামলাটির আপিল আবেদন সাময়িকভাবে কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর মামলাটি আর কার্যতালিকাই উঠানো হয়নি।
কবে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে চলমান লকডাউন শেষে আদালত নিয়মিত হলে বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানি শুরু হবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আপিল বিভাগ সাময়িকভাবে আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। পরবর্তীতে এটি আবারও কার্যতালিকায় আসবে। তবে কবে আবার কার্যতালিকায় আসবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি।
এ এম আমিন উদ্দিন জানান, লকডাউনের কারণে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চলছে। এটা একটি বড় মামলা। ভার্চ্যুয়াল কোর্টে বড় ধরণের শুনানি হচ্ছে না। আমরা এখন ছোটখাটো মামলার শুনানি করছি। আদালত নিয়মিত হলে আমরা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলাসহ বড় মামলার কার্যক্রম শুরু করব।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি হাইকোর্টে চলাকালে যাঁরা বিচারক ছিলেন, তাঁদের একজন বর্তমানে আপিল বিভাগে রয়েছেন। আর বর্তমান আপিল বিভাগের আরেক বিচারক হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা দু'জন এখন আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়ায় আইনগতভাবে মামলাটি শুনতে পারবেন না। তাই আপিল বিভাগ মামলাটি আপাতত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। পরবর্তীতে বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির শুনানি হবে।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দশ-বারো জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হয়।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়। ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক জনের বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। খালাস দেওয়া হয় বাকি ১১ জনকে। এই খালাসের বিরুদ্ধে আবার আপিল করা হয়। সুপরিচিত মামলাটি আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫