সম্পাদকীয়
ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা রাজশাহীর পর্যটন মোটেলে মদ খেয়েছেন, মদের দাম পরিশোধ করেননি এবং ভাঙচুর করে মোটেলেই অবরুদ্ধ হয়েছেন। এরপর মুচলেকা দিয়ে তাঁরা বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা বলেই মদের দাম দিতে চাননি। এই কাণ্ডে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতিও সে সময় বারে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পর্যটনের কর্মকর্তাদের ‘সেভাবে’ মারধর করেননি, শুধু দুটো মোবাইল ভেঙেছেন, সেগুলো ছাত্রলীগ মেরামত করিয়ে দেবে। আমাদের প্রশ্ন, ‘সেভাবে’ মারেননি তো ‘কীভাবে’ মেরেছেন—সেটা তো পরিষ্কার করা দরকার।
আমাদের দেশে মদ নিয়ে যেসব কাণ্ড-কারখানা ঘটে, সেগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, নানা ধরনের জটিলতাই মদবিষয়ক ঝামেলাগুলোর জন্য দায়ী। আইন বলছে, বিদেশি এবং অমুসলিমরা মদ খেতে পারবেন ‘পারমিট’ থাকলে, কিন্তু মুসলিম হলে মদ্যপান নিষিদ্ধ। আবার স্বাস্থ্যগত কারণে চিকিৎসকের অনুমতি থাকলে মুসলিম নাগরিকও পারমিট নিয়ে মদ্যপান করতে পারবেন। প্রশ্ন হলো, রাজশাহীর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হঠাৎ দলে দলে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অ্যালকোহল নিতে শুরু করলেন কেন? তাঁদের কি সত্যিই মদ্যপান না করলে শরীর ভালো থাকে না?
আমাদের জানা নেই, ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীরা পারমিট পাওয়া মদ্যপায়ী কি না। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, যাঁরা হোটেল, বার, ক্লাবে মদ্যপান করেন, তাঁদের সবাই কি পারমিটের অধিকারী? সবখানেই কি আইনানুগভাবেই মদ কেনা যায়? পারমিট ছাড়া কি কেউ মদ খান না? বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে মদ জব্দ করার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পরীমণির বাড়িতে মদ পাওয়ার সংবাদ নিয়ে তো হইহই রইরই হয়ে গেল কত! কিন্তু এ বিষয়টি কি একবারও ভেবে দেখা হয়েছে, বারে বা ক্লাবে বসে মদ্যপান করা গেলে নিজ বাড়িতে কেন করা যাবে না? পারমিট যার আছে, তিনিই তো মদ কিনতে পারবেন, তাহলে তার মদ খাওয়ার জন্য কি ঘর-বাইর খুব জরুরি ব্যাপার?
আসলে মদ্যপানবিষয়ক ভাবনাগুলোকে আরও অনেক গভীরভাবে আলোচনায় নিতে হবে। এ কথা সবাই জানেন, মদের বিকল্প নানা ধরনের মাদক এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, মাদক মূলত যুব সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। ইয়াবা, আইস বা মেথ, এক্সটেসি এবং এলএসডির কথা এখন হরহামেশাই শোনা যায়। অ্যালকোহলের চেয়ে তাঁদের ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি অনেক বেশি। কীভাবে তরুণদের নেশাহীন রাখা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। শুধু আইনই এ জন্য যথেষ্ট নয়। আইনের ফাঁক গলে আমাদের দেশে অনেক কিছুই বেরিয়ে যেতে পারে। নির্দিষ্ট সমঝোতার মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারীরাও মৌন থাকতে পারেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মাদকের ব্যবসা হচ্ছে, সে কথা না জানার কোনো কারণ নেই।
এ বিষয়ে নিশ্চয়ই ভাবা হবে। তবে ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীরা মদ খেয়ে ভাঙচুর করে একটি প্রশ্নের জন্ম দিলেন—তাহলে ছাত্ররাজনীতির গতি কোন দিকে?
ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা রাজশাহীর পর্যটন মোটেলে মদ খেয়েছেন, মদের দাম পরিশোধ করেননি এবং ভাঙচুর করে মোটেলেই অবরুদ্ধ হয়েছেন। এরপর মুচলেকা দিয়ে তাঁরা বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা বলেই মদের দাম দিতে চাননি। এই কাণ্ডে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতিও সে সময় বারে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পর্যটনের কর্মকর্তাদের ‘সেভাবে’ মারধর করেননি, শুধু দুটো মোবাইল ভেঙেছেন, সেগুলো ছাত্রলীগ মেরামত করিয়ে দেবে। আমাদের প্রশ্ন, ‘সেভাবে’ মারেননি তো ‘কীভাবে’ মেরেছেন—সেটা তো পরিষ্কার করা দরকার।
আমাদের দেশে মদ নিয়ে যেসব কাণ্ড-কারখানা ঘটে, সেগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, নানা ধরনের জটিলতাই মদবিষয়ক ঝামেলাগুলোর জন্য দায়ী। আইন বলছে, বিদেশি এবং অমুসলিমরা মদ খেতে পারবেন ‘পারমিট’ থাকলে, কিন্তু মুসলিম হলে মদ্যপান নিষিদ্ধ। আবার স্বাস্থ্যগত কারণে চিকিৎসকের অনুমতি থাকলে মুসলিম নাগরিকও পারমিট নিয়ে মদ্যপান করতে পারবেন। প্রশ্ন হলো, রাজশাহীর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হঠাৎ দলে দলে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অ্যালকোহল নিতে শুরু করলেন কেন? তাঁদের কি সত্যিই মদ্যপান না করলে শরীর ভালো থাকে না?
আমাদের জানা নেই, ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীরা পারমিট পাওয়া মদ্যপায়ী কি না। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, যাঁরা হোটেল, বার, ক্লাবে মদ্যপান করেন, তাঁদের সবাই কি পারমিটের অধিকারী? সবখানেই কি আইনানুগভাবেই মদ কেনা যায়? পারমিট ছাড়া কি কেউ মদ খান না? বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে মদ জব্দ করার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পরীমণির বাড়িতে মদ পাওয়ার সংবাদ নিয়ে তো হইহই রইরই হয়ে গেল কত! কিন্তু এ বিষয়টি কি একবারও ভেবে দেখা হয়েছে, বারে বা ক্লাবে বসে মদ্যপান করা গেলে নিজ বাড়িতে কেন করা যাবে না? পারমিট যার আছে, তিনিই তো মদ কিনতে পারবেন, তাহলে তার মদ খাওয়ার জন্য কি ঘর-বাইর খুব জরুরি ব্যাপার?
আসলে মদ্যপানবিষয়ক ভাবনাগুলোকে আরও অনেক গভীরভাবে আলোচনায় নিতে হবে। এ কথা সবাই জানেন, মদের বিকল্প নানা ধরনের মাদক এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, মাদক মূলত যুব সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। ইয়াবা, আইস বা মেথ, এক্সটেসি এবং এলএসডির কথা এখন হরহামেশাই শোনা যায়। অ্যালকোহলের চেয়ে তাঁদের ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি অনেক বেশি। কীভাবে তরুণদের নেশাহীন রাখা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। শুধু আইনই এ জন্য যথেষ্ট নয়। আইনের ফাঁক গলে আমাদের দেশে অনেক কিছুই বেরিয়ে যেতে পারে। নির্দিষ্ট সমঝোতার মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারীরাও মৌন থাকতে পারেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মাদকের ব্যবসা হচ্ছে, সে কথা না জানার কোনো কারণ নেই।
এ বিষয়ে নিশ্চয়ই ভাবা হবে। তবে ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীরা মদ খেয়ে ভাঙচুর করে একটি প্রশ্নের জন্ম দিলেন—তাহলে ছাত্ররাজনীতির গতি কোন দিকে?
মেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
৬ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫