আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না। তাঁদের ভয়, বাংলাদেশের পুলিশ ফেরত নিয়ে আসবে অথবা অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিয়ে পরিবার জেরার মুখে পড়বে। হয়রানি ও ভীতির কারণে দেশে থাকা স্বজনেরা অপহরণকারীদের স্থানীয় প্রতিনিধির হাতে মুক্তিপণ দিলেও পুলিশকে জানান না।
জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বেশি থাকেন বাংলাদেশিরা। সেখানকার বেশির ভাগ মুদিদোকানের মালিক তাঁরা। ওই সব দোকানে চাঁদাবাজি, মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরাই জড়িত। প্রবাসীদের টার্গেট করে অপহরণের পর দেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে।
প্রবাসী রেজাউল আমিন মোল্লা ও রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী এমন অপহরণের শিকার। রেজাউলের বাড়ি মাদারীপুর এবং রিয়াজের বাড়ি চাঁদপুরে। রিয়াজ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেও রেজাউল আমিনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাঁর লাশ জঙ্গলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় মাথার খুলি ও কঙ্কাল। তবে পরিচয় শনাক্ত হয়নি এখনো। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
৯০% অপহরণে জড়িত বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি অপরাধীরা নিষ্ঠুরতায় কৃষ্ণাঙ্গ অপরাধীদেরও ছাড়িয়ে যায়। হত্যার পর পুড়িয়ে লাশ গুম করতেও পিছপা হয় না তারা। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া মামলার পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সে দেশে ৯০ শতাংশ অপহরণ ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরা জড়িত।স্বজনেরা জানান, মাদারীপুরের রেজাউল আমিন মোল্লাকে (৩০) অপহরণ ও পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি চক্রই। তিনি কুমুতলাং শহরে ২০১৪ সাল থেকে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একদিন রেজাউলের কাছে এক বাংলাদেশি তরুণ আশ্রয় চান নিজেকে মাদারীপুরের পরিচয় দিয়ে। রেজাউল বিশ্বাস করে তাঁকে জায়গা দেন। এর কয়েক দিন পরই দেশে রেজাউলের মায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। বাংলাদেশি ওই লোক তাঁর মায়ের কাছে ইমো নম্বর চায়। রেজাউলের মা বুঝতে না পেরে ছোট ছেলে নিজামুর রহমান মাসুদকে ফোন দেন।
ওই ব্যক্তির কথায় মাসুদ ইমো নম্বর দেন। এরপর ওই ব্যক্তি মাসুদকে বলেন, রেজাউল সিগারেট কিনে টাকা না দেওয়ায় পাকিস্তানিরা তাঁকে আটকে রেখেছে, ৩০ লাখ টাকা দিলে মুক্তি দেবে। ওই লোকের দাবি, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের যোগাযোগ আছে, টাকা দিলে তারা ছাড়াতে পারবে।
মাসুদ জানান, রেজাউলকে মুখ বেঁধে, উলঙ্গ করে পেটানোর একাধিক ভিডিও চিত্র তাঁর ইমো নম্বরে পাঠায় অপহরণকারীরা। নির্মমতা দেখে পরিবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়। যাত্রাবাড়ীতে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাসুদ এক লাখ টাকা নিয়ে দুই ব্যক্তিকে দেন। তারা বলে, বাকি টাকা দ্রুত দিলে রেজাউলকে ছাড়া হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জামালপুরের সিহাব থাকে। তার মা ও বোনকে টাকা পৌঁছে দিলে রেজাউল মুক্তি পাবে। এরপর রেজাউলের আর কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন নিজামুর রহমান মাসুদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ডেমরা জোনাল টিম মামলাটির তদন্ত করছে। তথ্য যাচাই করতে সম্প্রতি তাদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল। জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বসবাসরত প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির এসআই কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজাউলকে অপহরণ করে বাংলাদেশি একটি চক্র। তাদের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ ও পাকিস্তানি থাকলেও তারা মূল হোতা নয়। বাংলাদেশি অপরাধী চক্রটি কার কাছে টাকা রয়েছে, কার অবস্থা কেমন, তার খোঁজ নেয়। এরপর আশ্রয় বা চাকরি চেয়ে সহানুভূতি আদায় করে। কেউ আশ্রয় দিলে তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে রেখে নির্যাতন করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। রেজাউলকেও অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।’ লাশ গুম করতে জঙ্গলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
রেজাউলের ভাই মাসুদ বলেন, ‘আমরা অপহরণকারীদের ১১ লাখ টাকা দিয়েছি, তারপরও তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি জানতে পারি, ভাইকে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হয়রানির ভয়ে মামলা করতে অনাগ্রহ
প্রবাসীরা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও কোনো মামলা করতে চান না। ২০২১ সালের ৯ মে দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা যান চাঁদপুরের রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী (২১)। যারা তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়েছিল, তারাই তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চায়। রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন দেশে অপহরণকারীদের প্রতিনিধিকে প্রথমে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন, পরে নূর আলম নামের এক মানব পাচারকারীর মাধ্যমে আরও টাকা দেন। এরপর রিয়াজ মুক্তি পান।
রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে পাঠিয়েছি। সেখানে আমার ভাইয়েরা রয়েছে। এখন যদি ফেরত আসতে হয়, সেই ভয় ছিল আমাদের। অপহরণকারীরা টাকা দেওয়ার পরই ছেড়ে দিয়েছে।’
রিয়াজকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত শফিউল আজম, নুর আলম, রুহুল আমিন ও বাহারকে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করেছিল ডিএমপির ডিবি। তবে সবাই জামিনে মুক্ত।
দেশে শনাক্ত করার কাজে পুলিশ
জনশক্তি রপ্তানির চুক্তি না থাকায় নানা দেশ ঘুরে ট্যুরিস্ট ভিসায় সেখানে যান বাংলাদেশিরা। গত এক দশকে বাংলাদেশের একটি চক্র পাকিস্তানি ও দক্ষিণ আফ্রিকার অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এদের ২০৭ জনের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়েছে ওই দেশের পুলিশ। তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশি দুই শ অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ পুলিশেরও সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করব। এরপর ব্যবস্থা নিতে যৌথভাবে কাজ করব।’
ডিবির ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত কমিশনার আজহারুল ইসলাম মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুটি মামলা তদন্ত করছি। রিয়াজের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্ত শেষ পর্যায়ে। রেজাউলের লাশ শনাক্তের কাজ শেষ হলে দ্রুত তাঁর বিষয়েও তদন্ত অগ্রসর হবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না। তাঁদের ভয়, বাংলাদেশের পুলিশ ফেরত নিয়ে আসবে অথবা অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিয়ে পরিবার জেরার মুখে পড়বে। হয়রানি ও ভীতির কারণে দেশে থাকা স্বজনেরা অপহরণকারীদের স্থানীয় প্রতিনিধির হাতে মুক্তিপণ দিলেও পুলিশকে জানান না।
জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বেশি থাকেন বাংলাদেশিরা। সেখানকার বেশির ভাগ মুদিদোকানের মালিক তাঁরা। ওই সব দোকানে চাঁদাবাজি, মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরাই জড়িত। প্রবাসীদের টার্গেট করে অপহরণের পর দেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে।
প্রবাসী রেজাউল আমিন মোল্লা ও রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী এমন অপহরণের শিকার। রেজাউলের বাড়ি মাদারীপুর এবং রিয়াজের বাড়ি চাঁদপুরে। রিয়াজ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেও রেজাউল আমিনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাঁর লাশ জঙ্গলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় মাথার খুলি ও কঙ্কাল। তবে পরিচয় শনাক্ত হয়নি এখনো। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
৯০% অপহরণে জড়িত বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি অপরাধীরা নিষ্ঠুরতায় কৃষ্ণাঙ্গ অপরাধীদেরও ছাড়িয়ে যায়। হত্যার পর পুড়িয়ে লাশ গুম করতেও পিছপা হয় না তারা। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া মামলার পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সে দেশে ৯০ শতাংশ অপহরণ ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরা জড়িত।স্বজনেরা জানান, মাদারীপুরের রেজাউল আমিন মোল্লাকে (৩০) অপহরণ ও পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি চক্রই। তিনি কুমুতলাং শহরে ২০১৪ সাল থেকে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একদিন রেজাউলের কাছে এক বাংলাদেশি তরুণ আশ্রয় চান নিজেকে মাদারীপুরের পরিচয় দিয়ে। রেজাউল বিশ্বাস করে তাঁকে জায়গা দেন। এর কয়েক দিন পরই দেশে রেজাউলের মায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। বাংলাদেশি ওই লোক তাঁর মায়ের কাছে ইমো নম্বর চায়। রেজাউলের মা বুঝতে না পেরে ছোট ছেলে নিজামুর রহমান মাসুদকে ফোন দেন।
ওই ব্যক্তির কথায় মাসুদ ইমো নম্বর দেন। এরপর ওই ব্যক্তি মাসুদকে বলেন, রেজাউল সিগারেট কিনে টাকা না দেওয়ায় পাকিস্তানিরা তাঁকে আটকে রেখেছে, ৩০ লাখ টাকা দিলে মুক্তি দেবে। ওই লোকের দাবি, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের যোগাযোগ আছে, টাকা দিলে তারা ছাড়াতে পারবে।
মাসুদ জানান, রেজাউলকে মুখ বেঁধে, উলঙ্গ করে পেটানোর একাধিক ভিডিও চিত্র তাঁর ইমো নম্বরে পাঠায় অপহরণকারীরা। নির্মমতা দেখে পরিবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়। যাত্রাবাড়ীতে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাসুদ এক লাখ টাকা নিয়ে দুই ব্যক্তিকে দেন। তারা বলে, বাকি টাকা দ্রুত দিলে রেজাউলকে ছাড়া হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জামালপুরের সিহাব থাকে। তার মা ও বোনকে টাকা পৌঁছে দিলে রেজাউল মুক্তি পাবে। এরপর রেজাউলের আর কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন নিজামুর রহমান মাসুদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ডেমরা জোনাল টিম মামলাটির তদন্ত করছে। তথ্য যাচাই করতে সম্প্রতি তাদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল। জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বসবাসরত প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির এসআই কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজাউলকে অপহরণ করে বাংলাদেশি একটি চক্র। তাদের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ ও পাকিস্তানি থাকলেও তারা মূল হোতা নয়। বাংলাদেশি অপরাধী চক্রটি কার কাছে টাকা রয়েছে, কার অবস্থা কেমন, তার খোঁজ নেয়। এরপর আশ্রয় বা চাকরি চেয়ে সহানুভূতি আদায় করে। কেউ আশ্রয় দিলে তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে রেখে নির্যাতন করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। রেজাউলকেও অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।’ লাশ গুম করতে জঙ্গলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
রেজাউলের ভাই মাসুদ বলেন, ‘আমরা অপহরণকারীদের ১১ লাখ টাকা দিয়েছি, তারপরও তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি জানতে পারি, ভাইকে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হয়রানির ভয়ে মামলা করতে অনাগ্রহ
প্রবাসীরা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও কোনো মামলা করতে চান না। ২০২১ সালের ৯ মে দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা যান চাঁদপুরের রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী (২১)। যারা তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়েছিল, তারাই তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চায়। রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন দেশে অপহরণকারীদের প্রতিনিধিকে প্রথমে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন, পরে নূর আলম নামের এক মানব পাচারকারীর মাধ্যমে আরও টাকা দেন। এরপর রিয়াজ মুক্তি পান।
রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে পাঠিয়েছি। সেখানে আমার ভাইয়েরা রয়েছে। এখন যদি ফেরত আসতে হয়, সেই ভয় ছিল আমাদের। অপহরণকারীরা টাকা দেওয়ার পরই ছেড়ে দিয়েছে।’
রিয়াজকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত শফিউল আজম, নুর আলম, রুহুল আমিন ও বাহারকে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করেছিল ডিএমপির ডিবি। তবে সবাই জামিনে মুক্ত।
দেশে শনাক্ত করার কাজে পুলিশ
জনশক্তি রপ্তানির চুক্তি না থাকায় নানা দেশ ঘুরে ট্যুরিস্ট ভিসায় সেখানে যান বাংলাদেশিরা। গত এক দশকে বাংলাদেশের একটি চক্র পাকিস্তানি ও দক্ষিণ আফ্রিকার অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এদের ২০৭ জনের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়েছে ওই দেশের পুলিশ। তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশি দুই শ অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ পুলিশেরও সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করব। এরপর ব্যবস্থা নিতে যৌথভাবে কাজ করব।’
ডিবির ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত কমিশনার আজহারুল ইসলাম মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুটি মামলা তদন্ত করছি। রিয়াজের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্ত শেষ পর্যায়ে। রেজাউলের লাশ শনাক্তের কাজ শেষ হলে দ্রুত তাঁর বিষয়েও তদন্ত অগ্রসর হবে।’
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না। তাঁদের ভয়, বাংলাদেশের পুলিশ ফেরত নিয়ে আসবে অথবা অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিয়ে পরিবার জেরার মুখে পড়বে। হয়রানি ও ভীতির কারণে দেশে থাকা স্বজনেরা অপহরণকারীদের স্থানীয় প্রতিনিধির হাতে মুক্তিপণ দিলেও পুলিশকে জানান না।
জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বেশি থাকেন বাংলাদেশিরা। সেখানকার বেশির ভাগ মুদিদোকানের মালিক তাঁরা। ওই সব দোকানে চাঁদাবাজি, মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরাই জড়িত। প্রবাসীদের টার্গেট করে অপহরণের পর দেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে।
প্রবাসী রেজাউল আমিন মোল্লা ও রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী এমন অপহরণের শিকার। রেজাউলের বাড়ি মাদারীপুর এবং রিয়াজের বাড়ি চাঁদপুরে। রিয়াজ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেও রেজাউল আমিনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাঁর লাশ জঙ্গলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় মাথার খুলি ও কঙ্কাল। তবে পরিচয় শনাক্ত হয়নি এখনো। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
৯০% অপহরণে জড়িত বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি অপরাধীরা নিষ্ঠুরতায় কৃষ্ণাঙ্গ অপরাধীদেরও ছাড়িয়ে যায়। হত্যার পর পুড়িয়ে লাশ গুম করতেও পিছপা হয় না তারা। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া মামলার পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সে দেশে ৯০ শতাংশ অপহরণ ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরা জড়িত।স্বজনেরা জানান, মাদারীপুরের রেজাউল আমিন মোল্লাকে (৩০) অপহরণ ও পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি চক্রই। তিনি কুমুতলাং শহরে ২০১৪ সাল থেকে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একদিন রেজাউলের কাছে এক বাংলাদেশি তরুণ আশ্রয় চান নিজেকে মাদারীপুরের পরিচয় দিয়ে। রেজাউল বিশ্বাস করে তাঁকে জায়গা দেন। এর কয়েক দিন পরই দেশে রেজাউলের মায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। বাংলাদেশি ওই লোক তাঁর মায়ের কাছে ইমো নম্বর চায়। রেজাউলের মা বুঝতে না পেরে ছোট ছেলে নিজামুর রহমান মাসুদকে ফোন দেন।
ওই ব্যক্তির কথায় মাসুদ ইমো নম্বর দেন। এরপর ওই ব্যক্তি মাসুদকে বলেন, রেজাউল সিগারেট কিনে টাকা না দেওয়ায় পাকিস্তানিরা তাঁকে আটকে রেখেছে, ৩০ লাখ টাকা দিলে মুক্তি দেবে। ওই লোকের দাবি, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের যোগাযোগ আছে, টাকা দিলে তারা ছাড়াতে পারবে।
মাসুদ জানান, রেজাউলকে মুখ বেঁধে, উলঙ্গ করে পেটানোর একাধিক ভিডিও চিত্র তাঁর ইমো নম্বরে পাঠায় অপহরণকারীরা। নির্মমতা দেখে পরিবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়। যাত্রাবাড়ীতে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাসুদ এক লাখ টাকা নিয়ে দুই ব্যক্তিকে দেন। তারা বলে, বাকি টাকা দ্রুত দিলে রেজাউলকে ছাড়া হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জামালপুরের সিহাব থাকে। তার মা ও বোনকে টাকা পৌঁছে দিলে রেজাউল মুক্তি পাবে। এরপর রেজাউলের আর কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন নিজামুর রহমান মাসুদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ডেমরা জোনাল টিম মামলাটির তদন্ত করছে। তথ্য যাচাই করতে সম্প্রতি তাদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল। জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বসবাসরত প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির এসআই কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজাউলকে অপহরণ করে বাংলাদেশি একটি চক্র। তাদের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ ও পাকিস্তানি থাকলেও তারা মূল হোতা নয়। বাংলাদেশি অপরাধী চক্রটি কার কাছে টাকা রয়েছে, কার অবস্থা কেমন, তার খোঁজ নেয়। এরপর আশ্রয় বা চাকরি চেয়ে সহানুভূতি আদায় করে। কেউ আশ্রয় দিলে তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে রেখে নির্যাতন করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। রেজাউলকেও অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।’ লাশ গুম করতে জঙ্গলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
রেজাউলের ভাই মাসুদ বলেন, ‘আমরা অপহরণকারীদের ১১ লাখ টাকা দিয়েছি, তারপরও তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি জানতে পারি, ভাইকে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হয়রানির ভয়ে মামলা করতে অনাগ্রহ
প্রবাসীরা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও কোনো মামলা করতে চান না। ২০২১ সালের ৯ মে দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা যান চাঁদপুরের রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী (২১)। যারা তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়েছিল, তারাই তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চায়। রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন দেশে অপহরণকারীদের প্রতিনিধিকে প্রথমে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন, পরে নূর আলম নামের এক মানব পাচারকারীর মাধ্যমে আরও টাকা দেন। এরপর রিয়াজ মুক্তি পান।
রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে পাঠিয়েছি। সেখানে আমার ভাইয়েরা রয়েছে। এখন যদি ফেরত আসতে হয়, সেই ভয় ছিল আমাদের। অপহরণকারীরা টাকা দেওয়ার পরই ছেড়ে দিয়েছে।’
রিয়াজকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত শফিউল আজম, নুর আলম, রুহুল আমিন ও বাহারকে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করেছিল ডিএমপির ডিবি। তবে সবাই জামিনে মুক্ত।
দেশে শনাক্ত করার কাজে পুলিশ
জনশক্তি রপ্তানির চুক্তি না থাকায় নানা দেশ ঘুরে ট্যুরিস্ট ভিসায় সেখানে যান বাংলাদেশিরা। গত এক দশকে বাংলাদেশের একটি চক্র পাকিস্তানি ও দক্ষিণ আফ্রিকার অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এদের ২০৭ জনের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়েছে ওই দেশের পুলিশ। তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশি দুই শ অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ পুলিশেরও সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করব। এরপর ব্যবস্থা নিতে যৌথভাবে কাজ করব।’
ডিবির ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত কমিশনার আজহারুল ইসলাম মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুটি মামলা তদন্ত করছি। রিয়াজের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্ত শেষ পর্যায়ে। রেজাউলের লাশ শনাক্তের কাজ শেষ হলে দ্রুত তাঁর বিষয়েও তদন্ত অগ্রসর হবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না। তাঁদের ভয়, বাংলাদেশের পুলিশ ফেরত নিয়ে আসবে অথবা অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিয়ে পরিবার জেরার মুখে পড়বে। হয়রানি ও ভীতির কারণে দেশে থাকা স্বজনেরা অপহরণকারীদের স্থানীয় প্রতিনিধির হাতে মুক্তিপণ দিলেও পুলিশকে জানান না।
জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বেশি থাকেন বাংলাদেশিরা। সেখানকার বেশির ভাগ মুদিদোকানের মালিক তাঁরা। ওই সব দোকানে চাঁদাবাজি, মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরাই জড়িত। প্রবাসীদের টার্গেট করে অপহরণের পর দেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে।
প্রবাসী রেজাউল আমিন মোল্লা ও রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী এমন অপহরণের শিকার। রেজাউলের বাড়ি মাদারীপুর এবং রিয়াজের বাড়ি চাঁদপুরে। রিয়াজ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেও রেজাউল আমিনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাঁর লাশ জঙ্গলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় মাথার খুলি ও কঙ্কাল। তবে পরিচয় শনাক্ত হয়নি এখনো। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
৯০% অপহরণে জড়িত বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি অপরাধীরা নিষ্ঠুরতায় কৃষ্ণাঙ্গ অপরাধীদেরও ছাড়িয়ে যায়। হত্যার পর পুড়িয়ে লাশ গুম করতেও পিছপা হয় না তারা। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া মামলার পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সে দেশে ৯০ শতাংশ অপহরণ ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশিরা জড়িত।স্বজনেরা জানান, মাদারীপুরের রেজাউল আমিন মোল্লাকে (৩০) অপহরণ ও পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি চক্রই। তিনি কুমুতলাং শহরে ২০১৪ সাল থেকে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একদিন রেজাউলের কাছে এক বাংলাদেশি তরুণ আশ্রয় চান নিজেকে মাদারীপুরের পরিচয় দিয়ে। রেজাউল বিশ্বাস করে তাঁকে জায়গা দেন। এর কয়েক দিন পরই দেশে রেজাউলের মায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। বাংলাদেশি ওই লোক তাঁর মায়ের কাছে ইমো নম্বর চায়। রেজাউলের মা বুঝতে না পেরে ছোট ছেলে নিজামুর রহমান মাসুদকে ফোন দেন।
ওই ব্যক্তির কথায় মাসুদ ইমো নম্বর দেন। এরপর ওই ব্যক্তি মাসুদকে বলেন, রেজাউল সিগারেট কিনে টাকা না দেওয়ায় পাকিস্তানিরা তাঁকে আটকে রেখেছে, ৩০ লাখ টাকা দিলে মুক্তি দেবে। ওই লোকের দাবি, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের যোগাযোগ আছে, টাকা দিলে তারা ছাড়াতে পারবে।
মাসুদ জানান, রেজাউলকে মুখ বেঁধে, উলঙ্গ করে পেটানোর একাধিক ভিডিও চিত্র তাঁর ইমো নম্বরে পাঠায় অপহরণকারীরা। নির্মমতা দেখে পরিবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়। যাত্রাবাড়ীতে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাসুদ এক লাখ টাকা নিয়ে দুই ব্যক্তিকে দেন। তারা বলে, বাকি টাকা দ্রুত দিলে রেজাউলকে ছাড়া হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জামালপুরের সিহাব থাকে। তার মা ও বোনকে টাকা পৌঁছে দিলে রেজাউল মুক্তি পাবে। এরপর রেজাউলের আর কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন নিজামুর রহমান মাসুদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ডেমরা জোনাল টিম মামলাটির তদন্ত করছে। তথ্য যাচাই করতে সম্প্রতি তাদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল। জোহানেসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে বসবাসরত প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির এসআই কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজাউলকে অপহরণ করে বাংলাদেশি একটি চক্র। তাদের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ ও পাকিস্তানি থাকলেও তারা মূল হোতা নয়। বাংলাদেশি অপরাধী চক্রটি কার কাছে টাকা রয়েছে, কার অবস্থা কেমন, তার খোঁজ নেয়। এরপর আশ্রয় বা চাকরি চেয়ে সহানুভূতি আদায় করে। কেউ আশ্রয় দিলে তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে রেখে নির্যাতন করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। রেজাউলকেও অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।’ লাশ গুম করতে জঙ্গলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
রেজাউলের ভাই মাসুদ বলেন, ‘আমরা অপহরণকারীদের ১১ লাখ টাকা দিয়েছি, তারপরও তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি জানতে পারি, ভাইকে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হয়রানির ভয়ে মামলা করতে অনাগ্রহ
প্রবাসীরা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও কোনো মামলা করতে চান না। ২০২১ সালের ৯ মে দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা যান চাঁদপুরের রিয়াজ হোসেন পাটোয়ারী (২১)। যারা তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়েছিল, তারাই তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চায়। রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন দেশে অপহরণকারীদের প্রতিনিধিকে প্রথমে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন, পরে নূর আলম নামের এক মানব পাচারকারীর মাধ্যমে আরও টাকা দেন। এরপর রিয়াজ মুক্তি পান।
রিয়াজের বাবা মিলন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে পাঠিয়েছি। সেখানে আমার ভাইয়েরা রয়েছে। এখন যদি ফেরত আসতে হয়, সেই ভয় ছিল আমাদের। অপহরণকারীরা টাকা দেওয়ার পরই ছেড়ে দিয়েছে।’
রিয়াজকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত শফিউল আজম, নুর আলম, রুহুল আমিন ও বাহারকে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করেছিল ডিএমপির ডিবি। তবে সবাই জামিনে মুক্ত।
দেশে শনাক্ত করার কাজে পুলিশ
জনশক্তি রপ্তানির চুক্তি না থাকায় নানা দেশ ঘুরে ট্যুরিস্ট ভিসায় সেখানে যান বাংলাদেশিরা। গত এক দশকে বাংলাদেশের একটি চক্র পাকিস্তানি ও দক্ষিণ আফ্রিকার অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এদের ২০৭ জনের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর দিয়েছে ওই দেশের পুলিশ। তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশি দুই শ অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ পুলিশেরও সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করব। এরপর ব্যবস্থা নিতে যৌথভাবে কাজ করব।’
ডিবির ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত কমিশনার আজহারুল ইসলাম মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুটি মামলা তদন্ত করছি। রিয়াজের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্ত শেষ পর্যায়ে। রেজাউলের লাশ শনাক্তের কাজ শেষ হলে দ্রুত তাঁর বিষয়েও তদন্ত অগ্রসর হবে।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অ
০২ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অ
০২ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অ
০২ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব পাচার, অপহরণ, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ জনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না মিললে হত্যাও করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো প্রবাসী সহজে পুলিশের কাছে অ
০২ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে