শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত একাধিক সংস্থার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা কারবারের হোতা বা পৃষ্ঠপোষকেরাই আগের কারবার ছেড়ে আইস পাচারে জড়িয়েছেন। ফলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা নতুন কারবার চালিয়ে যেতে পারছেন। তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রমতে, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে নাফ নদী পেরিয়ে আইসের চালান আসছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের আইস কারবারি চক্রের হোতা লেদার মাধ্যমে দুই বছর ধরে নৌকাভর্তি কয়েকটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে তা দেশে ঢুকছে। এরপর মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই মাদক কারবারের পৃষ্ঠপোষকেরা কারবারিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ধাপে ধাপে বিক্রি করছেন।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাদকের কয়েকটি চালান জব্দ করার ঘটনায় পাচারের সঙ্গে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে এসেছে। রোহিঙ্গাদের এই দুই দেশে নেটওয়ার্ক থাকায় এই মাদক চোরাচালান তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত যেভাবে
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে জব্দ করা আইসের চালানটি মিয়ানমার থেকে এনে সীমান্তের নিকটবর্তী গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। পরে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ও নৌপথ ব্যবহার করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর সুবিধাজনক সময়ে শরীরের সঙ্গে বেঁধে, গাড়িতে লুকিয়ে বা নানা কৌশলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করার চেষ্টা চলছিল।
সূত্রমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইস মজুত চক্রের নিয়ন্ত্রক মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের ১০-১২ জন সদস্য বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তারাই মোটাদাগে দেশি কারবারিদের কাছে বিক্রি করছে। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আইসের চালান বেশি আসছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আইসের চালানগুলো কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কারবারিদের সব নেটওয়ার্কের ওপর র্যাব নজর রাখছে।
সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিয়ানমারে ৩১টি কারখানায় ইয়াবা তৈরি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং ইয়াবা তৈরির জন্য থাইল্যান্ড থেকে আনা অ্যামফিটামিন বা আইস নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। এই মাদক চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বাজার ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একইভাবে মাদকটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কারবারিরা। তবে তরুণদের বাইরে অন্য বয়সের এই মাদকসেবী কম থাকায় এবং দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, ‘ইয়াবার চেয়েও আইস ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করছে। এই মাদকের গতিপথ নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
পাচার বাড়ছেই
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসার সময় ইয়াবা ও আইসের পাঁচটির বেশি বড় চালান জব্দ করা হয়েছে। গত ১৫ দিনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত থেকে র্যাবের হাতে ২৪ দশমিক ২ কেজি এবং বিজিবির হাতে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইস ধরা পড়েছে।
ডিএনসি বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ধরা পড়েছে ৬৬ কেজি আইস। ২০২২ সালে ধরা পড়ে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম। ২০২১ সালে উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম।
যদিও জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাজারে যত মাদক ঢোকে, তার মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের রামুর বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদি হোসাইন কবির জানান, এ বছর এ পর্যন্ত তাঁরা ৩৫ কেজি আইস জব্দ করেছেন। গত বছর শুধু বিজিবিই প্রায় ১৫০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছিল।
পৃষ্ঠপোষকেরা আড়ালে
সম্প্রতি কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারিদের নতুন একটি তালিকা নিয়ে হুলুস্থুল পড়েছে। তালিকায় থাকা দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একই সঙ্গে ইয়াবা ও আইস চোরাচালানে জড়িত। এর গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষকেরা কখনোই শাস্তির আওতায় আসে না। আড়ালে থেকেই মাদক কারবারে মদদ দিয়ে যায়। ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে ডিএনসির গোয়েন্দা শাখার উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী মাদকসংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনে যিনি অর্থ বিনিয়োগ করেন, সরবরাহ করেন বা সহযোগিতা করেন, তিনি গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষক। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, এই ব্যক্তিদের কোনো না কোনো রাজনীতি-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কেউ কেউ এলাকার জনপ্রতিনিধিও।
সম্প্রতি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা বলছি না গডফাদারদের ধরব না বা ধরতে পারব না। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
অনেক বেশি ক্ষতিকর
ডিএনসির তথ্যমতে, ইয়াবার চেয়ে ক্রিস্টাল মেথ অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর। ইয়াবায় যেখানে অ্যামফিটামিন থাকে ৫ শতাংশ, সেখানে ক্রিস্টাল মেথের পুরোটাই অ্যামফিটামিন। ফলে এটি মানবদেহে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর ফলে ইউফোরিয়া বা মানসিক বিকারগ্রস্ততা, হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত একাধিক সংস্থার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা কারবারের হোতা বা পৃষ্ঠপোষকেরাই আগের কারবার ছেড়ে আইস পাচারে জড়িয়েছেন। ফলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা নতুন কারবার চালিয়ে যেতে পারছেন। তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রমতে, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে নাফ নদী পেরিয়ে আইসের চালান আসছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের আইস কারবারি চক্রের হোতা লেদার মাধ্যমে দুই বছর ধরে নৌকাভর্তি কয়েকটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে তা দেশে ঢুকছে। এরপর মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই মাদক কারবারের পৃষ্ঠপোষকেরা কারবারিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ধাপে ধাপে বিক্রি করছেন।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাদকের কয়েকটি চালান জব্দ করার ঘটনায় পাচারের সঙ্গে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে এসেছে। রোহিঙ্গাদের এই দুই দেশে নেটওয়ার্ক থাকায় এই মাদক চোরাচালান তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত যেভাবে
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে জব্দ করা আইসের চালানটি মিয়ানমার থেকে এনে সীমান্তের নিকটবর্তী গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। পরে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ও নৌপথ ব্যবহার করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর সুবিধাজনক সময়ে শরীরের সঙ্গে বেঁধে, গাড়িতে লুকিয়ে বা নানা কৌশলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করার চেষ্টা চলছিল।
সূত্রমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইস মজুত চক্রের নিয়ন্ত্রক মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের ১০-১২ জন সদস্য বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তারাই মোটাদাগে দেশি কারবারিদের কাছে বিক্রি করছে। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আইসের চালান বেশি আসছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আইসের চালানগুলো কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কারবারিদের সব নেটওয়ার্কের ওপর র্যাব নজর রাখছে।
সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিয়ানমারে ৩১টি কারখানায় ইয়াবা তৈরি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং ইয়াবা তৈরির জন্য থাইল্যান্ড থেকে আনা অ্যামফিটামিন বা আইস নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। এই মাদক চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বাজার ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একইভাবে মাদকটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কারবারিরা। তবে তরুণদের বাইরে অন্য বয়সের এই মাদকসেবী কম থাকায় এবং দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, ‘ইয়াবার চেয়েও আইস ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করছে। এই মাদকের গতিপথ নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
পাচার বাড়ছেই
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসার সময় ইয়াবা ও আইসের পাঁচটির বেশি বড় চালান জব্দ করা হয়েছে। গত ১৫ দিনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত থেকে র্যাবের হাতে ২৪ দশমিক ২ কেজি এবং বিজিবির হাতে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইস ধরা পড়েছে।
ডিএনসি বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ধরা পড়েছে ৬৬ কেজি আইস। ২০২২ সালে ধরা পড়ে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম। ২০২১ সালে উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম।
যদিও জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাজারে যত মাদক ঢোকে, তার মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের রামুর বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদি হোসাইন কবির জানান, এ বছর এ পর্যন্ত তাঁরা ৩৫ কেজি আইস জব্দ করেছেন। গত বছর শুধু বিজিবিই প্রায় ১৫০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছিল।
পৃষ্ঠপোষকেরা আড়ালে
সম্প্রতি কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারিদের নতুন একটি তালিকা নিয়ে হুলুস্থুল পড়েছে। তালিকায় থাকা দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একই সঙ্গে ইয়াবা ও আইস চোরাচালানে জড়িত। এর গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষকেরা কখনোই শাস্তির আওতায় আসে না। আড়ালে থেকেই মাদক কারবারে মদদ দিয়ে যায়। ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে ডিএনসির গোয়েন্দা শাখার উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী মাদকসংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনে যিনি অর্থ বিনিয়োগ করেন, সরবরাহ করেন বা সহযোগিতা করেন, তিনি গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষক। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, এই ব্যক্তিদের কোনো না কোনো রাজনীতি-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কেউ কেউ এলাকার জনপ্রতিনিধিও।
সম্প্রতি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা বলছি না গডফাদারদের ধরব না বা ধরতে পারব না। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
অনেক বেশি ক্ষতিকর
ডিএনসির তথ্যমতে, ইয়াবার চেয়ে ক্রিস্টাল মেথ অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর। ইয়াবায় যেখানে অ্যামফিটামিন থাকে ৫ শতাংশ, সেখানে ক্রিস্টাল মেথের পুরোটাই অ্যামফিটামিন। ফলে এটি মানবদেহে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর ফলে ইউফোরিয়া বা মানসিক বিকারগ্রস্ততা, হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত একাধিক সংস্থার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা কারবারের হোতা বা পৃষ্ঠপোষকেরাই আগের কারবার ছেড়ে আইস পাচারে জড়িয়েছেন। ফলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা নতুন কারবার চালিয়ে যেতে পারছেন। তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রমতে, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে নাফ নদী পেরিয়ে আইসের চালান আসছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের আইস কারবারি চক্রের হোতা লেদার মাধ্যমে দুই বছর ধরে নৌকাভর্তি কয়েকটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে তা দেশে ঢুকছে। এরপর মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই মাদক কারবারের পৃষ্ঠপোষকেরা কারবারিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ধাপে ধাপে বিক্রি করছেন।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাদকের কয়েকটি চালান জব্দ করার ঘটনায় পাচারের সঙ্গে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে এসেছে। রোহিঙ্গাদের এই দুই দেশে নেটওয়ার্ক থাকায় এই মাদক চোরাচালান তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত যেভাবে
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে জব্দ করা আইসের চালানটি মিয়ানমার থেকে এনে সীমান্তের নিকটবর্তী গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। পরে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ও নৌপথ ব্যবহার করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর সুবিধাজনক সময়ে শরীরের সঙ্গে বেঁধে, গাড়িতে লুকিয়ে বা নানা কৌশলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করার চেষ্টা চলছিল।
সূত্রমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইস মজুত চক্রের নিয়ন্ত্রক মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের ১০-১২ জন সদস্য বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তারাই মোটাদাগে দেশি কারবারিদের কাছে বিক্রি করছে। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আইসের চালান বেশি আসছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আইসের চালানগুলো কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কারবারিদের সব নেটওয়ার্কের ওপর র্যাব নজর রাখছে।
সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিয়ানমারে ৩১টি কারখানায় ইয়াবা তৈরি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং ইয়াবা তৈরির জন্য থাইল্যান্ড থেকে আনা অ্যামফিটামিন বা আইস নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। এই মাদক চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বাজার ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একইভাবে মাদকটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কারবারিরা। তবে তরুণদের বাইরে অন্য বয়সের এই মাদকসেবী কম থাকায় এবং দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, ‘ইয়াবার চেয়েও আইস ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করছে। এই মাদকের গতিপথ নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
পাচার বাড়ছেই
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসার সময় ইয়াবা ও আইসের পাঁচটির বেশি বড় চালান জব্দ করা হয়েছে। গত ১৫ দিনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত থেকে র্যাবের হাতে ২৪ দশমিক ২ কেজি এবং বিজিবির হাতে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইস ধরা পড়েছে।
ডিএনসি বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ধরা পড়েছে ৬৬ কেজি আইস। ২০২২ সালে ধরা পড়ে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম। ২০২১ সালে উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম।
যদিও জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাজারে যত মাদক ঢোকে, তার মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের রামুর বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদি হোসাইন কবির জানান, এ বছর এ পর্যন্ত তাঁরা ৩৫ কেজি আইস জব্দ করেছেন। গত বছর শুধু বিজিবিই প্রায় ১৫০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছিল।
পৃষ্ঠপোষকেরা আড়ালে
সম্প্রতি কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারিদের নতুন একটি তালিকা নিয়ে হুলুস্থুল পড়েছে। তালিকায় থাকা দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একই সঙ্গে ইয়াবা ও আইস চোরাচালানে জড়িত। এর গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষকেরা কখনোই শাস্তির আওতায় আসে না। আড়ালে থেকেই মাদক কারবারে মদদ দিয়ে যায়। ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে ডিএনসির গোয়েন্দা শাখার উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী মাদকসংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনে যিনি অর্থ বিনিয়োগ করেন, সরবরাহ করেন বা সহযোগিতা করেন, তিনি গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষক। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, এই ব্যক্তিদের কোনো না কোনো রাজনীতি-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কেউ কেউ এলাকার জনপ্রতিনিধিও।
সম্প্রতি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা বলছি না গডফাদারদের ধরব না বা ধরতে পারব না। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
অনেক বেশি ক্ষতিকর
ডিএনসির তথ্যমতে, ইয়াবার চেয়ে ক্রিস্টাল মেথ অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর। ইয়াবায় যেখানে অ্যামফিটামিন থাকে ৫ শতাংশ, সেখানে ক্রিস্টাল মেথের পুরোটাই অ্যামফিটামিন। ফলে এটি মানবদেহে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর ফলে ইউফোরিয়া বা মানসিক বিকারগ্রস্ততা, হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত একাধিক সংস্থার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা কারবারের হোতা বা পৃষ্ঠপোষকেরাই আগের কারবার ছেড়ে আইস পাচারে জড়িয়েছেন। ফলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা নতুন কারবার চালিয়ে যেতে পারছেন। তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রমতে, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে নাফ নদী পেরিয়ে আইসের চালান আসছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের আইস কারবারি চক্রের হোতা লেদার মাধ্যমে দুই বছর ধরে নৌকাভর্তি কয়েকটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে তা দেশে ঢুকছে। এরপর মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই মাদক কারবারের পৃষ্ঠপোষকেরা কারবারিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ধাপে ধাপে বিক্রি করছেন।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাদকের কয়েকটি চালান জব্দ করার ঘটনায় পাচারের সঙ্গে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে এসেছে। রোহিঙ্গাদের এই দুই দেশে নেটওয়ার্ক থাকায় এই মাদক চোরাচালান তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত যেভাবে
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে জব্দ করা আইসের চালানটি মিয়ানমার থেকে এনে সীমান্তের নিকটবর্তী গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। পরে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ও নৌপথ ব্যবহার করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসহ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর সুবিধাজনক সময়ে শরীরের সঙ্গে বেঁধে, গাড়িতে লুকিয়ে বা নানা কৌশলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করার চেষ্টা চলছিল।
সূত্রমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইস মজুত চক্রের নিয়ন্ত্রক মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের ১০-১২ জন সদস্য বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তারাই মোটাদাগে দেশি কারবারিদের কাছে বিক্রি করছে। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আইসের চালান বেশি আসছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আইসের চালানগুলো কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কারবারিদের সব নেটওয়ার্কের ওপর র্যাব নজর রাখছে।
সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিয়ানমারে ৩১টি কারখানায় ইয়াবা তৈরি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং ইয়াবা তৈরির জন্য থাইল্যান্ড থেকে আনা অ্যামফিটামিন বা আইস নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। এই মাদক চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বাজার ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একইভাবে মাদকটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কারবারিরা। তবে তরুণদের বাইরে অন্য বয়সের এই মাদকসেবী কম থাকায় এবং দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, ‘ইয়াবার চেয়েও আইস ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করছে। এই মাদকের গতিপথ নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
পাচার বাড়ছেই
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসার সময় ইয়াবা ও আইসের পাঁচটির বেশি বড় চালান জব্দ করা হয়েছে। গত ১৫ দিনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত থেকে র্যাবের হাতে ২৪ দশমিক ২ কেজি এবং বিজিবির হাতে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইস ধরা পড়েছে।
ডিএনসি বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ধরা পড়েছে ৬৬ কেজি আইস। ২০২২ সালে ধরা পড়ে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম। ২০২১ সালে উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম।
যদিও জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাজারে যত মাদক ঢোকে, তার মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের রামুর বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদি হোসাইন কবির জানান, এ বছর এ পর্যন্ত তাঁরা ৩৫ কেজি আইস জব্দ করেছেন। গত বছর শুধু বিজিবিই প্রায় ১৫০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছিল।
পৃষ্ঠপোষকেরা আড়ালে
সম্প্রতি কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারিদের নতুন একটি তালিকা নিয়ে হুলুস্থুল পড়েছে। তালিকায় থাকা দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একই সঙ্গে ইয়াবা ও আইস চোরাচালানে জড়িত। এর গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষকেরা কখনোই শাস্তির আওতায় আসে না। আড়ালে থেকেই মাদক কারবারে মদদ দিয়ে যায়। ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে ডিএনসির গোয়েন্দা শাখার উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী মাদকসংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনে যিনি অর্থ বিনিয়োগ করেন, সরবরাহ করেন বা সহযোগিতা করেন, তিনি গডফাদার বা পৃষ্ঠপোষক। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, এই ব্যক্তিদের কোনো না কোনো রাজনীতি-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কেউ কেউ এলাকার জনপ্রতিনিধিও।
সম্প্রতি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা বলছি না গডফাদারদের ধরব না বা ধরতে পারব না। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
অনেক বেশি ক্ষতিকর
ডিএনসির তথ্যমতে, ইয়াবার চেয়ে ক্রিস্টাল মেথ অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর। ইয়াবায় যেখানে অ্যামফিটামিন থাকে ৫ শতাংশ, সেখানে ক্রিস্টাল মেথের পুরোটাই অ্যামফিটামিন। ফলে এটি মানবদেহে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর ফলে ইউফোরিয়া বা মানসিক বিকারগ্রস্ততা, হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে...
১২ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে...
১২ মে ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে...
১২ মে ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কক্সবাজারে ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথের বড় চালান ধরা পড়ছে একের পর এক। সব চালানই থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে...
১২ মে ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে