আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ ইরানের ব্যাংক খাতের গভীর অস্থিরতাকে প্রকট করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই পরিস্থিতির চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করে, দেশটির অন্যতম ধনী পরিবারের মালিকানাধীন বেসরকারি আয়েন্দে ব্যাংক বিলুপ্ত করা হবে এবং এটি রাষ্ট্র-পরিচালিত ব্যাংক মেল্লির সঙ্গে একীভূত হবে। রোববার থেকে আয়েন্দে-এর শাখাগুলো ব্যাংক মেল্লির শাখা হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ও আমানত নিরাপদ রয়েছে এবং সমস্ত চুক্তি আগের শর্তেই বহাল থাকবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক পরিচালনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার হস্তক্ষেপের কারণে আয়েন্দে ব্যাংকের ওপর যে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা চেপেছে, তা ইরানের সামষ্টিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ২০১০-এর দশকে দুর্নীতি এবং দুর্বল তদারকির কারণে ইরানের ব্যাংকিং খাতে যে সংকট তৈরি হয়, তার মধ্যেই আয়েন্দে ব্যাংকের উত্থান। সে সময় জাতিসংঘে পরমাণু কর্মসূচির নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান টালমাটাল ছিল। এই সুযোগে সামরিক বা ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত শত শত লাইসেন্সবিহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সারা দেশে গজিয়ে ওঠে। তারা আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে অস্বাভাবিক উচ্চ হারে সুদের লোভ দেখাত, কিন্তু পরবর্তীতে অনেক গ্রাহক আমানতের টাকা তুলতেই ব্যর্থ হন।
২০১৭ সালের মধ্যে সরকার এই লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যন্তরীণ ঋণ বিতরণ অর্থাৎ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই ঋণ নেওয়া এবং স্থাবর সম্পত্তিতে অর্থ বিনিয়োগের কারণে তহবিল প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানোর জন্য সরকারকে নতুন করে টাকা ছাপাতে হয়েছে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং সাধারণ ইরানিদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।
আয়েন্দে ব্যাংক ২০১৩ সালে ‘তাত ব্যাংক’ এবং দুটি রাষ্ট্র-সংযুক্ত আর্থিক সত্তা—সালেহিন ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন ও আতি ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন—একীভূত হওয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী আলি আনসারি, যার পরিবার ইরানের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত।
আয়েন্দে ব্যাংক বহু বছর ধরে রাষ্ট্রের নজরদারিতে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তীতে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাধিকার বাতিল করে। সরকারি হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, ব্যাংকটি টিকে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে থাকে।
বিলুপ্তির ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আয়েন্দে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (বর্তমান খোলা বাজারে বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪৬৭ কোটি ডলার), যেখানে জনগণের আমানত ছিল ২ দশমিক ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৩৪ কোটি ডলার)।
আইন অনুযায়ী, আয়েন্দে ব্যাংক তার প্রমাণিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ২০০ ট্রিলিয়ন রিয়াল (১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার) ঋণ দিতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটি বছরের পর বছর সেই পরিমাণের প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থ ব্যক্তি ও বিভিন্ন সত্তাকে (নামে-বেনামে কোম্পানি) ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৩ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (১২১ কোটি ডলার) সরাসরি আয়েন্দে ব্যাংক এবং এর অভ্যন্তরীণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অল্প কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধাভোগীদের পরিচয় প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
অর্থনীতিবিদ বিজান খাজেহপুর উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ ঋণই অনাদায়ি, সেগুলো উদ্ধারের সম্ভাবনাও কম। তাঁর মতে, ‘ক্ষমতার নেটওয়ার্কের মধ্যে কোনো নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে লেনদেন, এবং জামানত সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করেই গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ফলেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের দুর্বল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত ঋণ (Overdrafts) নিয়েছে তার ৪২ শতাংশই পেয়েছে আয়েন্দে ব্যাংক। পুরো ব্যাংক খাতের মূলধন অসামঞ্জস্যের ৪১ শতাংশের কারণও এই ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (সিএআর) ন্যূনতম ৮ শতাংশ হওয়া বাধ্যতামূলক হলেও আয়েন্দে-এর অনুপাত ছিল ঋণাত্মক ৬০০ শতাংশ! এর বিলুপ্তি ইরানের ব্যাংক খাতের গড় সিএআর ১.৩৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করবে।
আয়েন্দে ব্যাংকের বিলুপ্তির ঘোষণা আসে বিচার বিভাগের প্রধান, কট্টরপন্থী ধর্মগুরু গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিনকে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার একদিন পর। এই বিলুপ্তি নিয়ে কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরা, যারা সংস্কারপন্থীদের অর্থনৈতিক উদারীকরণের নীতির বিরোধী, তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবফ এই বিলুপ্তিকে ‘দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিচালনা ব্যবস্থার জন্য একটি বিরাট সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আয়েন্দে-এর পতনের ফলে এর সম্পত্তি—যার মধ্যে পশ্চিম তেহরানে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম শপিং মল ইরান মলও রয়েছে—সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে এই বিপুল সম্পত্তি বিক্রি করা সময়সাপেক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিপুল লোকসানের কারণে রাষ্ট্র এবং ব্যাংক মেল্লিকে মোট ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের হিসাব মেটাতে হবে। এই ঘাটতি পূরণের একটি অংশের সংস্থান করতে টাকা ছাপাতে হবে। এই অতিরিক্ত টাকা ছাপানোই মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ, যা বর্তমানে ৪০ শতাংশের বেশি এবং কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম।
সহজ কথায়, আগামী মাস ও বছরগুলোতে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কোটি কোটি ইরানিকে এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, আয়েন্দে-এর প্রতিষ্ঠাতা আনসারি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব ‘ব্যাংকটি তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ও নীতির ফল’। তাঁর দাবি, তিনি জনকল্যাণের জন্য তাঁর সব শক্তি ও সক্ষমতা উৎসর্গ করেছেন।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ ইরানের ব্যাংক খাতের গভীর অস্থিরতাকে প্রকট করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই পরিস্থিতির চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করে, দেশটির অন্যতম ধনী পরিবারের মালিকানাধীন বেসরকারি আয়েন্দে ব্যাংক বিলুপ্ত করা হবে এবং এটি রাষ্ট্র-পরিচালিত ব্যাংক মেল্লির সঙ্গে একীভূত হবে। রোববার থেকে আয়েন্দে-এর শাখাগুলো ব্যাংক মেল্লির শাখা হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ও আমানত নিরাপদ রয়েছে এবং সমস্ত চুক্তি আগের শর্তেই বহাল থাকবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক পরিচালনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার হস্তক্ষেপের কারণে আয়েন্দে ব্যাংকের ওপর যে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা চেপেছে, তা ইরানের সামষ্টিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ২০১০-এর দশকে দুর্নীতি এবং দুর্বল তদারকির কারণে ইরানের ব্যাংকিং খাতে যে সংকট তৈরি হয়, তার মধ্যেই আয়েন্দে ব্যাংকের উত্থান। সে সময় জাতিসংঘে পরমাণু কর্মসূচির নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান টালমাটাল ছিল। এই সুযোগে সামরিক বা ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত শত শত লাইসেন্সবিহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সারা দেশে গজিয়ে ওঠে। তারা আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে অস্বাভাবিক উচ্চ হারে সুদের লোভ দেখাত, কিন্তু পরবর্তীতে অনেক গ্রাহক আমানতের টাকা তুলতেই ব্যর্থ হন।
২০১৭ সালের মধ্যে সরকার এই লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যন্তরীণ ঋণ বিতরণ অর্থাৎ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই ঋণ নেওয়া এবং স্থাবর সম্পত্তিতে অর্থ বিনিয়োগের কারণে তহবিল প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানোর জন্য সরকারকে নতুন করে টাকা ছাপাতে হয়েছে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং সাধারণ ইরানিদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।
আয়েন্দে ব্যাংক ২০১৩ সালে ‘তাত ব্যাংক’ এবং দুটি রাষ্ট্র-সংযুক্ত আর্থিক সত্তা—সালেহিন ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন ও আতি ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন—একীভূত হওয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী আলি আনসারি, যার পরিবার ইরানের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত।
আয়েন্দে ব্যাংক বহু বছর ধরে রাষ্ট্রের নজরদারিতে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তীতে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাধিকার বাতিল করে। সরকারি হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, ব্যাংকটি টিকে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে থাকে।
বিলুপ্তির ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আয়েন্দে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (বর্তমান খোলা বাজারে বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪৬৭ কোটি ডলার), যেখানে জনগণের আমানত ছিল ২ দশমিক ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৩৪ কোটি ডলার)।
আইন অনুযায়ী, আয়েন্দে ব্যাংক তার প্রমাণিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ২০০ ট্রিলিয়ন রিয়াল (১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার) ঋণ দিতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটি বছরের পর বছর সেই পরিমাণের প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থ ব্যক্তি ও বিভিন্ন সত্তাকে (নামে-বেনামে কোম্পানি) ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৩ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (১২১ কোটি ডলার) সরাসরি আয়েন্দে ব্যাংক এবং এর অভ্যন্তরীণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অল্প কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধাভোগীদের পরিচয় প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
অর্থনীতিবিদ বিজান খাজেহপুর উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ ঋণই অনাদায়ি, সেগুলো উদ্ধারের সম্ভাবনাও কম। তাঁর মতে, ‘ক্ষমতার নেটওয়ার্কের মধ্যে কোনো নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে লেনদেন, এবং জামানত সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করেই গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ফলেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের দুর্বল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত ঋণ (Overdrafts) নিয়েছে তার ৪২ শতাংশই পেয়েছে আয়েন্দে ব্যাংক। পুরো ব্যাংক খাতের মূলধন অসামঞ্জস্যের ৪১ শতাংশের কারণও এই ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (সিএআর) ন্যূনতম ৮ শতাংশ হওয়া বাধ্যতামূলক হলেও আয়েন্দে-এর অনুপাত ছিল ঋণাত্মক ৬০০ শতাংশ! এর বিলুপ্তি ইরানের ব্যাংক খাতের গড় সিএআর ১.৩৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করবে।
আয়েন্দে ব্যাংকের বিলুপ্তির ঘোষণা আসে বিচার বিভাগের প্রধান, কট্টরপন্থী ধর্মগুরু গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিনকে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার একদিন পর। এই বিলুপ্তি নিয়ে কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরা, যারা সংস্কারপন্থীদের অর্থনৈতিক উদারীকরণের নীতির বিরোধী, তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবফ এই বিলুপ্তিকে ‘দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিচালনা ব্যবস্থার জন্য একটি বিরাট সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আয়েন্দে-এর পতনের ফলে এর সম্পত্তি—যার মধ্যে পশ্চিম তেহরানে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম শপিং মল ইরান মলও রয়েছে—সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে এই বিপুল সম্পত্তি বিক্রি করা সময়সাপেক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিপুল লোকসানের কারণে রাষ্ট্র এবং ব্যাংক মেল্লিকে মোট ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের হিসাব মেটাতে হবে। এই ঘাটতি পূরণের একটি অংশের সংস্থান করতে টাকা ছাপাতে হবে। এই অতিরিক্ত টাকা ছাপানোই মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ, যা বর্তমানে ৪০ শতাংশের বেশি এবং কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম।
সহজ কথায়, আগামী মাস ও বছরগুলোতে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কোটি কোটি ইরানিকে এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, আয়েন্দে-এর প্রতিষ্ঠাতা আনসারি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব ‘ব্যাংকটি তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ও নীতির ফল’। তাঁর দাবি, তিনি জনকল্যাণের জন্য তাঁর সব শক্তি ও সক্ষমতা উৎসর্গ করেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৭ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শ্রমিকের সংজ্ঞা, ট্রেড ইউনিয়নে শ্রমিকের সংখ্যা ও দ্বৈত প্রভিডেন্ট ফান্ড—শ্রম আইনের এই তিন ধারায় আপত্তি জানিয়েছেন কারখানামালিকেরা।
সংশোধিত শ্রম আইন, ২০২৫ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানায়।
এ সময় প্রস্তুতির জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন তিন বছর পেছানো ও বন্দরের বাড়তি মাশুল প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের ব্যবসায়ীদের চেয়ে ‘সরকার বিদেশিদের কথা শুনতেই বেশি আগ্রহী’ বলে অভিযোগ করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিদেশিদের পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করছে সরকার। আমরা চার মাস ধরে সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি। ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্টারলিংকের ভাইস চেয়ারম্যানকে তিনি সময় দেন, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিনিধিকে সময় দেন না।’
সরকারের উদ্দেশে মাহমুদ হাসান খান বলেন, শিল্প, শ্রমিক ও অর্থনীতির বাস্তব চাহিদা বিবেচনায় এমন একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা দেশের শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নষ্ট না করে বরং টেকসই উন্নয়নকে সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। শ্রম আইন সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা যেন বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আইন এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে এটি শিল্পের টেকসই বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের শিল্প খাতকে টিকে থাকতে হলে সরকারকে অবশ্যই একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মাহমুদ হাসান খান সরকারের প্রতি গ্যাস-সংকটের দ্রুত সমাধান, কাস্টমস ও এনবিআর প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, অবকাঠামো ও লজিস্টিক উন্নয়ন এবং স্বল্প ব্যয়ে অর্থায়নের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পথ মসৃণ করতে হলে সরকারকে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা অনুরোধ করছি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতি উপহার দিতে হলে উৎপাদনমুখী শিল্পের বাস্তব চাহিদা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাস্তবতা বিবেচনা করে দ্রুত, ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ নেতারা উল্লেখ করেন, শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় শিল্পের অংশীদারদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত না হলে তা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাঁরা সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তব্য দেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনায় শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে যেভাবে চূড়ান্ত হয়েছি, এভাবে—“শ্রম আইনে প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোনো ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ইহার মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা করণিক কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে কোনো ব্যক্তি যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তবে ২(৪৯)(খ) নিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত সকল ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।” কিন্তু ‘‘কোনো ব্যক্তি’’-এর বদলে নতুন সংজ্ঞায় ‘‘কর্মকর্তা-কর্মচারী’’ যোগ করা হয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আওতায় দিতে সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে চলতি মাসে। আগামী ডিসেম্বরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রামসহ তিনটি বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা চলে যাচ্ছে। এ জন্য ১৯৮০ সাল থেকে চলে আসা একই মাশুল ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এতে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ফি ৪১ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে দাবি করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা বলেছি, আগে কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বাড়ানো হোক। আমরা উপকারটি আগে পাই, তারপরে চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। একসঙ্গে না বাড়িয়ে ধারবাহিকভাবে ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো যেতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর গত বছরে দুই হাজার কোটি টাকার মতো মুনাফা করেছে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান তো মুনাফায় আছে। তাহলে কেন চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন?’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর সেবা ফি নেওয়া হয় ডলারে। ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ২৯ দশমিক ৮৯ টাকা। বর্তমানে তা ১২২ টাকার বেশি হওয়ায় গত ৪০ বছর ধরে টাকার অঙ্কে ৩০৮ শতাংশ বেড়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আরও তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে টিকফা, এফটিএর মতো কয়েকটি চুক্তি করতে হবে। এগুলো করা হোক, নইলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এ জন্য তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছি।’
তিন বছর পিছিয়ে দিলে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে আরও সাত বছর সময় পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত এক বছরে পোশাক খাতে ২৫৮টি কারখানা বন্ধ হওয়ার তথ্য দিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, নানা কারণে তা বন্ধ হয়েছে। এটি চলমান প্রসেস, এটি হয়। কারখানাওয়াইজ বিশ্লেষণ করে বলা যাবে কারণগুলো কী।
যে তিন বিষয়ে আপত্তি—
১. ট্রেড ইউনিয়ন গঠন: ভারসাম্যহীন ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত
টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ধাপে ধাপে শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল—যেখানে প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ন্যূনতম ৫০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ ছিল, কিন্তু পরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একতরফাভাবে সেটি পরিবর্তন করে ২০–৩০০ শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ধাপ করা হয়েছে পাঁচটি।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবতাবিবর্জিত। কারণ, মাত্র ২০ জন শ্রমিক দিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হলে কারখানাগুলোতে এমন ব্যক্তিরা ট্রেড ইউনিয়ন করবেন, যাঁরা ওই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। এটি অন্তর্দ্বন্দ্ব ও শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং উৎপাদন ব্যাহত করবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমবে এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন।
২. ভবিষ্যৎ তহবিল ও সর্বজনীন পেনশন প্রগতি—দ্বৈত জটিলতা
টিসিসির আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—একটি প্রতিষ্ঠান চাইলে ‘ভবিষ্যৎ তহবিল’ বা ‘প্রগতি’—যেকোনো একটি স্কিম বেছে নিতে পারবে।
কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে, শ্রমিক চাইলে দুটি পদ্ধতিতেই অংশ নিতে পারবে—যা উদ্যোক্তাকে দুটি ভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনা সমান্তরালে চালাতে বাধ্য করবে। এতে প্রশাসনিক জটিলতা, ব্যয় বৃদ্ধি ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
৩. শ্রমিকের সংজ্ঞায় অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক ঝুঁকি
নতুন সংশোধনীতে শ্রমিকের সংজ্ঞায় ‘কর্মচারী/কর্মকর্তা’ যুক্ত করায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক স্তর ও শ্রমিক স্তরের মধ্যে বিভাজন ভেঙে যাবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, দায়িত্ব বণ্টনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে।

শ্রমিকের সংজ্ঞা, ট্রেড ইউনিয়নে শ্রমিকের সংখ্যা ও দ্বৈত প্রভিডেন্ট ফান্ড—শ্রম আইনের এই তিন ধারায় আপত্তি জানিয়েছেন কারখানামালিকেরা।
সংশোধিত শ্রম আইন, ২০২৫ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানায়।
এ সময় প্রস্তুতির জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন তিন বছর পেছানো ও বন্দরের বাড়তি মাশুল প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের ব্যবসায়ীদের চেয়ে ‘সরকার বিদেশিদের কথা শুনতেই বেশি আগ্রহী’ বলে অভিযোগ করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিদেশিদের পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করছে সরকার। আমরা চার মাস ধরে সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি। ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্টারলিংকের ভাইস চেয়ারম্যানকে তিনি সময় দেন, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিনিধিকে সময় দেন না।’
সরকারের উদ্দেশে মাহমুদ হাসান খান বলেন, শিল্প, শ্রমিক ও অর্থনীতির বাস্তব চাহিদা বিবেচনায় এমন একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা দেশের শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নষ্ট না করে বরং টেকসই উন্নয়নকে সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। শ্রম আইন সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা যেন বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আইন এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে এটি শিল্পের টেকসই বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের শিল্প খাতকে টিকে থাকতে হলে সরকারকে অবশ্যই একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মাহমুদ হাসান খান সরকারের প্রতি গ্যাস-সংকটের দ্রুত সমাধান, কাস্টমস ও এনবিআর প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, অবকাঠামো ও লজিস্টিক উন্নয়ন এবং স্বল্প ব্যয়ে অর্থায়নের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পথ মসৃণ করতে হলে সরকারকে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা অনুরোধ করছি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতি উপহার দিতে হলে উৎপাদনমুখী শিল্পের বাস্তব চাহিদা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাস্তবতা বিবেচনা করে দ্রুত, ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ নেতারা উল্লেখ করেন, শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় শিল্পের অংশীদারদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত না হলে তা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাঁরা সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তব্য দেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনায় শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে যেভাবে চূড়ান্ত হয়েছি, এভাবে—“শ্রম আইনে প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোনো ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ইহার মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা করণিক কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে কোনো ব্যক্তি যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তবে ২(৪৯)(খ) নিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত সকল ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।” কিন্তু ‘‘কোনো ব্যক্তি’’-এর বদলে নতুন সংজ্ঞায় ‘‘কর্মকর্তা-কর্মচারী’’ যোগ করা হয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আওতায় দিতে সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে চলতি মাসে। আগামী ডিসেম্বরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রামসহ তিনটি বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা চলে যাচ্ছে। এ জন্য ১৯৮০ সাল থেকে চলে আসা একই মাশুল ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এতে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ফি ৪১ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে দাবি করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা বলেছি, আগে কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বাড়ানো হোক। আমরা উপকারটি আগে পাই, তারপরে চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। একসঙ্গে না বাড়িয়ে ধারবাহিকভাবে ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো যেতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর গত বছরে দুই হাজার কোটি টাকার মতো মুনাফা করেছে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান তো মুনাফায় আছে। তাহলে কেন চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন?’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর সেবা ফি নেওয়া হয় ডলারে। ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ২৯ দশমিক ৮৯ টাকা। বর্তমানে তা ১২২ টাকার বেশি হওয়ায় গত ৪০ বছর ধরে টাকার অঙ্কে ৩০৮ শতাংশ বেড়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আরও তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে টিকফা, এফটিএর মতো কয়েকটি চুক্তি করতে হবে। এগুলো করা হোক, নইলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এ জন্য তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছি।’
তিন বছর পিছিয়ে দিলে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে আরও সাত বছর সময় পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত এক বছরে পোশাক খাতে ২৫৮টি কারখানা বন্ধ হওয়ার তথ্য দিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, নানা কারণে তা বন্ধ হয়েছে। এটি চলমান প্রসেস, এটি হয়। কারখানাওয়াইজ বিশ্লেষণ করে বলা যাবে কারণগুলো কী।
যে তিন বিষয়ে আপত্তি—
১. ট্রেড ইউনিয়ন গঠন: ভারসাম্যহীন ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত
টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ধাপে ধাপে শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল—যেখানে প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ন্যূনতম ৫০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ ছিল, কিন্তু পরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একতরফাভাবে সেটি পরিবর্তন করে ২০–৩০০ শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ধাপ করা হয়েছে পাঁচটি।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবতাবিবর্জিত। কারণ, মাত্র ২০ জন শ্রমিক দিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হলে কারখানাগুলোতে এমন ব্যক্তিরা ট্রেড ইউনিয়ন করবেন, যাঁরা ওই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। এটি অন্তর্দ্বন্দ্ব ও শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং উৎপাদন ব্যাহত করবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমবে এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন।
২. ভবিষ্যৎ তহবিল ও সর্বজনীন পেনশন প্রগতি—দ্বৈত জটিলতা
টিসিসির আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—একটি প্রতিষ্ঠান চাইলে ‘ভবিষ্যৎ তহবিল’ বা ‘প্রগতি’—যেকোনো একটি স্কিম বেছে নিতে পারবে।
কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে, শ্রমিক চাইলে দুটি পদ্ধতিতেই অংশ নিতে পারবে—যা উদ্যোক্তাকে দুটি ভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনা সমান্তরালে চালাতে বাধ্য করবে। এতে প্রশাসনিক জটিলতা, ব্যয় বৃদ্ধি ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
৩. শ্রমিকের সংজ্ঞায় অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক ঝুঁকি
নতুন সংশোধনীতে শ্রমিকের সংজ্ঞায় ‘কর্মচারী/কর্মকর্তা’ যুক্ত করায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক স্তর ও শ্রমিক স্তরের মধ্যে বিভাজন ভেঙে যাবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, দায়িত্ব বণ্টনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
১০ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৭ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তসংস্থা কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বিক সহায়তা দেন।
ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬টি কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন, সুইট হুই পাউডার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের একটি করে কনটেইনার। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকায় এসব পণ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য হ্যাজার্ডাস কার্গো কনটেইনার অপসারণ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেনটরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কনটেইনারের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি নিলাম দ্রুত সম্পন্ন হলে বন্দর এলাকার কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধ্বংসের কাজ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তসংস্থা কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বিক সহায়তা দেন।
ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬টি কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন, সুইট হুই পাউডার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের একটি করে কনটেইনার। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকায় এসব পণ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য হ্যাজার্ডাস কার্গো কনটেইনার অপসারণ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেনটরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কনটেইনারের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি নিলাম দ্রুত সম্পন্ন হলে বন্দর এলাকার কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধ্বংসের কাজ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৭ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।
মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।
বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।
টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।
মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।
বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।
টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’
২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’
২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৭ ঘণ্টা আগে