আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
চীন–ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হলেও বার্টারের প্রত্যাবর্তন দেখিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ কতটা বিকৃত করেছে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানিকারক দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে যখন পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে একীভূত হয়। তখন কেউ ভাবেনি তিন দশক পর আবার পণ্য বিনিময় চালু হবে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের মিত্ররা দেশটির ওপর ২৫ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন দুর্বল করা। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।
আর সে কারণে, রাশিয়ার সঙ্গে এখনো যারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপরও শুল্ক আরোপ করেছে, কারণ নয়াদিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। পুতিন দাবি করছেন, পশ্চিমাদের প্রত্যাশার চেয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো করছে। গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি জি–সেভেন দেশগুলোর চেয়েও দ্রুত হয়েছে, যদিও শুরুতে ধস নামার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞাকে যেভাবে হোক পাশ কাটাতে।
তবে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশটি এখন প্রযুক্তিগতভাবে মন্দায় আছে এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চাপ তৈরি করেছে ২০২২ সালে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এবং ২০২৩ সালে চীনা ব্যাংকগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়ার পর, যাতে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থ সহায়তা না করে।
রাশিয়া আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকগুলো ভয় পাচ্ছে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কায়। তাই তারা রাশিয়া থেকে অর্থ নেয় না।’ আর এ কারণেই বাড়ছে বার্টার লেনদেন, যা ট্র্যাক করা অনেক কঠিন।
সর্বশেষ, ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ১৪ পাতার একটি ‘বৈদেশিক বার্টার গাইড’ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে ব্যবসায়ীরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারে। এমনকি একটি বার্টার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
মন্ত্রণালয়ের নথিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে পণ্য ও সেবার বিনিময় আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ছাড়াই করা সম্ভব—নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।’ এর আগে, এ ধরনের বাণিজ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে গত মাসে রয়টার্স জানায়, চীনের হাইনান লংপান ওয়েলফিল্ড টেকনোলজি কোম্পানি সামুদ্রিক জাহাজের ইঞ্জিনের বিনিময়ে রাশিয়াকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিতে আগ্রহী।
রয়টার্সের তদন্তে এ ধরনের আটটি পণ্যের–বিনিময় লেনদেন চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে কিছু রাশিয়ার কাস্টমস ও কোম্পানির বিবৃতি থেকে জানা গেছে। আগে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়নি। লেনদেনের মোট পরিমাণ বা মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সবই অস্বচ্ছ। তবে তিনজন বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, ‘এ ধরনের লেনদেন বাড়ছে।’
রাশিয়ান–এশিয়ান ইউনিয়ন অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরসের সচিব ম্যাক্সিম স্পাসকি বলেছেন, ‘বার্টার বাড়ছে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা, নিষেধাজ্ঞার চাপ ও লেনদেন সঙ্গীদের তারল্য সমস্যার কারণে। বার্টারের পরিমাণ আরও বাড়বে।’
অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, ডলার ও ইউরো লেনদেন থেকে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার পর বার্টার এসব বাধা পাশ কাটাতে সাহায্য করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বার্টারের ব্যাপ্তির একটি ইঙ্গিত হতে পারে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস সার্ভিসের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানে অস্বাভাবিক ফারাক। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ডলারে।
রাশিয়ার কাস্টমস সার্ভিসও নিশ্চিত করেছে যে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নানা পণ্যে বার্টার হচ্ছে। তবে তারা বলেছে, এটি মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের তুলনায় এখনো নগণ্য। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–জুলাই সময়কালে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি কমে যায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
রুশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার্টার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শুধু জানিয়েছে, এ ধরনের লেনদেন বৈধভাবে রিপোর্ট হলে সামগ্রিক তথ্যের মধ্যে হিসাব হয়।
রয়টার্সের পাওয়া এক লেনদেনের নথি থেকে দেখা গেছে, চীনা গাড়ির বিনিময়ে রাশিয়ার গম দেওয়া হচ্ছে। চীনা পক্ষ রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিল শস্য দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে। তারা চীনে ইউয়ানে গাড়ি কিনেছিল। রাশিয়ান অংশীদার রুবলে শস্য কিনে গাড়ির মূল্য চুকিয়েছে। তবে কতটা গম ও গাড়ি লেনদেন হয়েছিল, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও দুটি লেনদেনে তিসি বীজের বিনিময়ে চীন থেকে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী আনা হয় রাশিয়ায়। এর একটি লেনদেনের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ডলার বলে কাস্টমস তথ্য থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া ধাতুর বিনিময়ে মেশিনারি, কাঁচামালের বিনিময়ে চীনা সেবা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও বার্টার লেনদেন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা পণ্যও রাশিয়ায় ঢুকেছে এভাবে—অন্য দেশ হয়ে, যদিও বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি।
গত আগস্টে কাজান এক্সপো ফোরামে চীনা উদ্যোক্তারা জানান, অর্থ লেনদেনে বাধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সমস্যা তৈরি করছে। হাইনান লংপান কোম্পানির চেয়ারম্যান শু শিনজিং বলেছেন, সীমিত অর্থ প্রদানের পরিস্থিতিতে বার্টার ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।
সোভিয়েত ভাঙনের পর নব্বইয়ের দশকে বার্টার অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। বিদ্যুৎ, তেল থেকে শুরু করে আটা, চিনি, জুতা—সবকিছুর জন্য বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণে কারসাজি হতো, অনেকেই বিপুল অর্থ কামিয়েছিল। তখন টাকার ঘাটতি, তীব্র মুদ্রাস্ফীতি ও বারবার মুদ্রার অবমূল্যায়ন বার্টারকে জনপ্রিয় করেছিল। এখন অর্থের অভাব নেই, তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপ এ ব্যবস্থা আবার বাড়িয়েছে। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। আর চীন বলছে, নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক।
বার্টার ছাড়াও বিকল্প পথ আছে। যেমন, কিছু ব্যবসায়ী ‘পেমেন্ট এজেন্ট’ ব্যবহার করছে—যারা ফি নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান নিশ্চিত করে। তবে এতে ঝুঁকি বেশি। আরেকটি উপায় হলো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভিটিবি ব্যাংক, যার সাংহাইয়ে শাখা আছে। কেউ কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সিও ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েনও অনেকে ব্যবহার করছেন।
রাশিয়ার শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিসিএস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই পুতিয়াতিনস্কি বলেন, ‘ছোট ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে ক্রিপ্টো ব্যবহার করছে। কেউ নগদ বহন করে, কেউ অফসেট ব্যবহার করে, কেউ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে। এখনো প্রস্তুত কোনো সমাধান নেই। অর্থনীতি টিকে আছে, ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে ১০–১৫ ধরনের অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করছে।’

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
চীন–ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হলেও বার্টারের প্রত্যাবর্তন দেখিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ কতটা বিকৃত করেছে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানিকারক দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে যখন পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে একীভূত হয়। তখন কেউ ভাবেনি তিন দশক পর আবার পণ্য বিনিময় চালু হবে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের মিত্ররা দেশটির ওপর ২৫ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন দুর্বল করা। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।
আর সে কারণে, রাশিয়ার সঙ্গে এখনো যারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপরও শুল্ক আরোপ করেছে, কারণ নয়াদিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। পুতিন দাবি করছেন, পশ্চিমাদের প্রত্যাশার চেয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো করছে। গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি জি–সেভেন দেশগুলোর চেয়েও দ্রুত হয়েছে, যদিও শুরুতে ধস নামার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞাকে যেভাবে হোক পাশ কাটাতে।
তবে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশটি এখন প্রযুক্তিগতভাবে মন্দায় আছে এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চাপ তৈরি করেছে ২০২২ সালে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এবং ২০২৩ সালে চীনা ব্যাংকগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়ার পর, যাতে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থ সহায়তা না করে।
রাশিয়া আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকগুলো ভয় পাচ্ছে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কায়। তাই তারা রাশিয়া থেকে অর্থ নেয় না।’ আর এ কারণেই বাড়ছে বার্টার লেনদেন, যা ট্র্যাক করা অনেক কঠিন।
সর্বশেষ, ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ১৪ পাতার একটি ‘বৈদেশিক বার্টার গাইড’ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে ব্যবসায়ীরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারে। এমনকি একটি বার্টার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
মন্ত্রণালয়ের নথিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে পণ্য ও সেবার বিনিময় আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ছাড়াই করা সম্ভব—নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।’ এর আগে, এ ধরনের বাণিজ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে গত মাসে রয়টার্স জানায়, চীনের হাইনান লংপান ওয়েলফিল্ড টেকনোলজি কোম্পানি সামুদ্রিক জাহাজের ইঞ্জিনের বিনিময়ে রাশিয়াকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিতে আগ্রহী।
রয়টার্সের তদন্তে এ ধরনের আটটি পণ্যের–বিনিময় লেনদেন চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে কিছু রাশিয়ার কাস্টমস ও কোম্পানির বিবৃতি থেকে জানা গেছে। আগে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়নি। লেনদেনের মোট পরিমাণ বা মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সবই অস্বচ্ছ। তবে তিনজন বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, ‘এ ধরনের লেনদেন বাড়ছে।’
রাশিয়ান–এশিয়ান ইউনিয়ন অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরসের সচিব ম্যাক্সিম স্পাসকি বলেছেন, ‘বার্টার বাড়ছে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা, নিষেধাজ্ঞার চাপ ও লেনদেন সঙ্গীদের তারল্য সমস্যার কারণে। বার্টারের পরিমাণ আরও বাড়বে।’
অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, ডলার ও ইউরো লেনদেন থেকে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার পর বার্টার এসব বাধা পাশ কাটাতে সাহায্য করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বার্টারের ব্যাপ্তির একটি ইঙ্গিত হতে পারে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস সার্ভিসের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানে অস্বাভাবিক ফারাক। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ডলারে।
রাশিয়ার কাস্টমস সার্ভিসও নিশ্চিত করেছে যে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নানা পণ্যে বার্টার হচ্ছে। তবে তারা বলেছে, এটি মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের তুলনায় এখনো নগণ্য। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–জুলাই সময়কালে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি কমে যায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
রুশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার্টার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শুধু জানিয়েছে, এ ধরনের লেনদেন বৈধভাবে রিপোর্ট হলে সামগ্রিক তথ্যের মধ্যে হিসাব হয়।
রয়টার্সের পাওয়া এক লেনদেনের নথি থেকে দেখা গেছে, চীনা গাড়ির বিনিময়ে রাশিয়ার গম দেওয়া হচ্ছে। চীনা পক্ষ রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিল শস্য দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে। তারা চীনে ইউয়ানে গাড়ি কিনেছিল। রাশিয়ান অংশীদার রুবলে শস্য কিনে গাড়ির মূল্য চুকিয়েছে। তবে কতটা গম ও গাড়ি লেনদেন হয়েছিল, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও দুটি লেনদেনে তিসি বীজের বিনিময়ে চীন থেকে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী আনা হয় রাশিয়ায়। এর একটি লেনদেনের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ডলার বলে কাস্টমস তথ্য থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া ধাতুর বিনিময়ে মেশিনারি, কাঁচামালের বিনিময়ে চীনা সেবা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও বার্টার লেনদেন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা পণ্যও রাশিয়ায় ঢুকেছে এভাবে—অন্য দেশ হয়ে, যদিও বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি।
গত আগস্টে কাজান এক্সপো ফোরামে চীনা উদ্যোক্তারা জানান, অর্থ লেনদেনে বাধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সমস্যা তৈরি করছে। হাইনান লংপান কোম্পানির চেয়ারম্যান শু শিনজিং বলেছেন, সীমিত অর্থ প্রদানের পরিস্থিতিতে বার্টার ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।
সোভিয়েত ভাঙনের পর নব্বইয়ের দশকে বার্টার অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। বিদ্যুৎ, তেল থেকে শুরু করে আটা, চিনি, জুতা—সবকিছুর জন্য বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণে কারসাজি হতো, অনেকেই বিপুল অর্থ কামিয়েছিল। তখন টাকার ঘাটতি, তীব্র মুদ্রাস্ফীতি ও বারবার মুদ্রার অবমূল্যায়ন বার্টারকে জনপ্রিয় করেছিল। এখন অর্থের অভাব নেই, তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপ এ ব্যবস্থা আবার বাড়িয়েছে। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। আর চীন বলছে, নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক।
বার্টার ছাড়াও বিকল্প পথ আছে। যেমন, কিছু ব্যবসায়ী ‘পেমেন্ট এজেন্ট’ ব্যবহার করছে—যারা ফি নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান নিশ্চিত করে। তবে এতে ঝুঁকি বেশি। আরেকটি উপায় হলো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভিটিবি ব্যাংক, যার সাংহাইয়ে শাখা আছে। কেউ কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সিও ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েনও অনেকে ব্যবহার করছেন।
রাশিয়ার শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিসিএস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই পুতিয়াতিনস্কি বলেন, ‘ছোট ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে ক্রিপ্টো ব্যবহার করছে। কেউ নগদ বহন করে, কেউ অফসেট ব্যবহার করে, কেউ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে। এখনো প্রস্তুত কোনো সমাধান নেই। অর্থনীতি টিকে আছে, ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে ১০–১৫ ধরনের অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
চীন–ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হলেও বার্টারের প্রত্যাবর্তন দেখিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ কতটা বিকৃত করেছে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানিকারক দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে যখন পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে একীভূত হয়। তখন কেউ ভাবেনি তিন দশক পর আবার পণ্য বিনিময় চালু হবে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের মিত্ররা দেশটির ওপর ২৫ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন দুর্বল করা। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।
আর সে কারণে, রাশিয়ার সঙ্গে এখনো যারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপরও শুল্ক আরোপ করেছে, কারণ নয়াদিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। পুতিন দাবি করছেন, পশ্চিমাদের প্রত্যাশার চেয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো করছে। গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি জি–সেভেন দেশগুলোর চেয়েও দ্রুত হয়েছে, যদিও শুরুতে ধস নামার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞাকে যেভাবে হোক পাশ কাটাতে।
তবে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশটি এখন প্রযুক্তিগতভাবে মন্দায় আছে এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চাপ তৈরি করেছে ২০২২ সালে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এবং ২০২৩ সালে চীনা ব্যাংকগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়ার পর, যাতে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থ সহায়তা না করে।
রাশিয়া আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকগুলো ভয় পাচ্ছে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কায়। তাই তারা রাশিয়া থেকে অর্থ নেয় না।’ আর এ কারণেই বাড়ছে বার্টার লেনদেন, যা ট্র্যাক করা অনেক কঠিন।
সর্বশেষ, ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ১৪ পাতার একটি ‘বৈদেশিক বার্টার গাইড’ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে ব্যবসায়ীরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারে। এমনকি একটি বার্টার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
মন্ত্রণালয়ের নথিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে পণ্য ও সেবার বিনিময় আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ছাড়াই করা সম্ভব—নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।’ এর আগে, এ ধরনের বাণিজ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে গত মাসে রয়টার্স জানায়, চীনের হাইনান লংপান ওয়েলফিল্ড টেকনোলজি কোম্পানি সামুদ্রিক জাহাজের ইঞ্জিনের বিনিময়ে রাশিয়াকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিতে আগ্রহী।
রয়টার্সের তদন্তে এ ধরনের আটটি পণ্যের–বিনিময় লেনদেন চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে কিছু রাশিয়ার কাস্টমস ও কোম্পানির বিবৃতি থেকে জানা গেছে। আগে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়নি। লেনদেনের মোট পরিমাণ বা মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সবই অস্বচ্ছ। তবে তিনজন বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, ‘এ ধরনের লেনদেন বাড়ছে।’
রাশিয়ান–এশিয়ান ইউনিয়ন অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরসের সচিব ম্যাক্সিম স্পাসকি বলেছেন, ‘বার্টার বাড়ছে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা, নিষেধাজ্ঞার চাপ ও লেনদেন সঙ্গীদের তারল্য সমস্যার কারণে। বার্টারের পরিমাণ আরও বাড়বে।’
অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, ডলার ও ইউরো লেনদেন থেকে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার পর বার্টার এসব বাধা পাশ কাটাতে সাহায্য করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বার্টারের ব্যাপ্তির একটি ইঙ্গিত হতে পারে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস সার্ভিসের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানে অস্বাভাবিক ফারাক। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ডলারে।
রাশিয়ার কাস্টমস সার্ভিসও নিশ্চিত করেছে যে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নানা পণ্যে বার্টার হচ্ছে। তবে তারা বলেছে, এটি মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের তুলনায় এখনো নগণ্য। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–জুলাই সময়কালে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি কমে যায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
রুশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার্টার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শুধু জানিয়েছে, এ ধরনের লেনদেন বৈধভাবে রিপোর্ট হলে সামগ্রিক তথ্যের মধ্যে হিসাব হয়।
রয়টার্সের পাওয়া এক লেনদেনের নথি থেকে দেখা গেছে, চীনা গাড়ির বিনিময়ে রাশিয়ার গম দেওয়া হচ্ছে। চীনা পক্ষ রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিল শস্য দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে। তারা চীনে ইউয়ানে গাড়ি কিনেছিল। রাশিয়ান অংশীদার রুবলে শস্য কিনে গাড়ির মূল্য চুকিয়েছে। তবে কতটা গম ও গাড়ি লেনদেন হয়েছিল, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও দুটি লেনদেনে তিসি বীজের বিনিময়ে চীন থেকে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী আনা হয় রাশিয়ায়। এর একটি লেনদেনের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ডলার বলে কাস্টমস তথ্য থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া ধাতুর বিনিময়ে মেশিনারি, কাঁচামালের বিনিময়ে চীনা সেবা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও বার্টার লেনদেন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা পণ্যও রাশিয়ায় ঢুকেছে এভাবে—অন্য দেশ হয়ে, যদিও বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি।
গত আগস্টে কাজান এক্সপো ফোরামে চীনা উদ্যোক্তারা জানান, অর্থ লেনদেনে বাধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সমস্যা তৈরি করছে। হাইনান লংপান কোম্পানির চেয়ারম্যান শু শিনজিং বলেছেন, সীমিত অর্থ প্রদানের পরিস্থিতিতে বার্টার ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।
সোভিয়েত ভাঙনের পর নব্বইয়ের দশকে বার্টার অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। বিদ্যুৎ, তেল থেকে শুরু করে আটা, চিনি, জুতা—সবকিছুর জন্য বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণে কারসাজি হতো, অনেকেই বিপুল অর্থ কামিয়েছিল। তখন টাকার ঘাটতি, তীব্র মুদ্রাস্ফীতি ও বারবার মুদ্রার অবমূল্যায়ন বার্টারকে জনপ্রিয় করেছিল। এখন অর্থের অভাব নেই, তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপ এ ব্যবস্থা আবার বাড়িয়েছে। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। আর চীন বলছে, নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক।
বার্টার ছাড়াও বিকল্প পথ আছে। যেমন, কিছু ব্যবসায়ী ‘পেমেন্ট এজেন্ট’ ব্যবহার করছে—যারা ফি নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান নিশ্চিত করে। তবে এতে ঝুঁকি বেশি। আরেকটি উপায় হলো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভিটিবি ব্যাংক, যার সাংহাইয়ে শাখা আছে। কেউ কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সিও ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েনও অনেকে ব্যবহার করছেন।
রাশিয়ার শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিসিএস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই পুতিয়াতিনস্কি বলেন, ‘ছোট ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে ক্রিপ্টো ব্যবহার করছে। কেউ নগদ বহন করে, কেউ অফসেট ব্যবহার করে, কেউ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে। এখনো প্রস্তুত কোনো সমাধান নেই। অর্থনীতি টিকে আছে, ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে ১০–১৫ ধরনের অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করছে।’

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
চীন–ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হলেও বার্টারের প্রত্যাবর্তন দেখিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ কতটা বিকৃত করেছে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানিকারক দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে যখন পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে একীভূত হয়। তখন কেউ ভাবেনি তিন দশক পর আবার পণ্য বিনিময় চালু হবে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের মিত্ররা দেশটির ওপর ২৫ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন দুর্বল করা। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।
আর সে কারণে, রাশিয়ার সঙ্গে এখনো যারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপরও শুল্ক আরোপ করেছে, কারণ নয়াদিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। পুতিন দাবি করছেন, পশ্চিমাদের প্রত্যাশার চেয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো করছে। গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি জি–সেভেন দেশগুলোর চেয়েও দ্রুত হয়েছে, যদিও শুরুতে ধস নামার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞাকে যেভাবে হোক পাশ কাটাতে।
তবে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশটি এখন প্রযুক্তিগতভাবে মন্দায় আছে এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চাপ তৈরি করেছে ২০২২ সালে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এবং ২০২৩ সালে চীনা ব্যাংকগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়ার পর, যাতে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থ সহায়তা না করে।
রাশিয়া আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকগুলো ভয় পাচ্ছে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কায়। তাই তারা রাশিয়া থেকে অর্থ নেয় না।’ আর এ কারণেই বাড়ছে বার্টার লেনদেন, যা ট্র্যাক করা অনেক কঠিন।
সর্বশেষ, ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ১৪ পাতার একটি ‘বৈদেশিক বার্টার গাইড’ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে ব্যবসায়ীরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারে। এমনকি একটি বার্টার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
মন্ত্রণালয়ের নথিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে পণ্য ও সেবার বিনিময় আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ছাড়াই করা সম্ভব—নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।’ এর আগে, এ ধরনের বাণিজ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে গত মাসে রয়টার্স জানায়, চীনের হাইনান লংপান ওয়েলফিল্ড টেকনোলজি কোম্পানি সামুদ্রিক জাহাজের ইঞ্জিনের বিনিময়ে রাশিয়াকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিতে আগ্রহী।
রয়টার্সের তদন্তে এ ধরনের আটটি পণ্যের–বিনিময় লেনদেন চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে কিছু রাশিয়ার কাস্টমস ও কোম্পানির বিবৃতি থেকে জানা গেছে। আগে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়নি। লেনদেনের মোট পরিমাণ বা মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সবই অস্বচ্ছ। তবে তিনজন বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, ‘এ ধরনের লেনদেন বাড়ছে।’
রাশিয়ান–এশিয়ান ইউনিয়ন অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরসের সচিব ম্যাক্সিম স্পাসকি বলেছেন, ‘বার্টার বাড়ছে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা, নিষেধাজ্ঞার চাপ ও লেনদেন সঙ্গীদের তারল্য সমস্যার কারণে। বার্টারের পরিমাণ আরও বাড়বে।’
অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, ডলার ও ইউরো লেনদেন থেকে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার পর বার্টার এসব বাধা পাশ কাটাতে সাহায্য করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বার্টারের ব্যাপ্তির একটি ইঙ্গিত হতে পারে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস সার্ভিসের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানে অস্বাভাবিক ফারাক। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ডলারে।
রাশিয়ার কাস্টমস সার্ভিসও নিশ্চিত করেছে যে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নানা পণ্যে বার্টার হচ্ছে। তবে তারা বলেছে, এটি মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের তুলনায় এখনো নগণ্য। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–জুলাই সময়কালে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি কমে যায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
রুশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার্টার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শুধু জানিয়েছে, এ ধরনের লেনদেন বৈধভাবে রিপোর্ট হলে সামগ্রিক তথ্যের মধ্যে হিসাব হয়।
রয়টার্সের পাওয়া এক লেনদেনের নথি থেকে দেখা গেছে, চীনা গাড়ির বিনিময়ে রাশিয়ার গম দেওয়া হচ্ছে। চীনা পক্ষ রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিল শস্য দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে। তারা চীনে ইউয়ানে গাড়ি কিনেছিল। রাশিয়ান অংশীদার রুবলে শস্য কিনে গাড়ির মূল্য চুকিয়েছে। তবে কতটা গম ও গাড়ি লেনদেন হয়েছিল, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও দুটি লেনদেনে তিসি বীজের বিনিময়ে চীন থেকে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী আনা হয় রাশিয়ায়। এর একটি লেনদেনের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ডলার বলে কাস্টমস তথ্য থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া ধাতুর বিনিময়ে মেশিনারি, কাঁচামালের বিনিময়ে চীনা সেবা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও বার্টার লেনদেন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা পণ্যও রাশিয়ায় ঢুকেছে এভাবে—অন্য দেশ হয়ে, যদিও বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি।
গত আগস্টে কাজান এক্সপো ফোরামে চীনা উদ্যোক্তারা জানান, অর্থ লেনদেনে বাধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সমস্যা তৈরি করছে। হাইনান লংপান কোম্পানির চেয়ারম্যান শু শিনজিং বলেছেন, সীমিত অর্থ প্রদানের পরিস্থিতিতে বার্টার ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।
সোভিয়েত ভাঙনের পর নব্বইয়ের দশকে বার্টার অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। বিদ্যুৎ, তেল থেকে শুরু করে আটা, চিনি, জুতা—সবকিছুর জন্য বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণে কারসাজি হতো, অনেকেই বিপুল অর্থ কামিয়েছিল। তখন টাকার ঘাটতি, তীব্র মুদ্রাস্ফীতি ও বারবার মুদ্রার অবমূল্যায়ন বার্টারকে জনপ্রিয় করেছিল। এখন অর্থের অভাব নেই, তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপ এ ব্যবস্থা আবার বাড়িয়েছে। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। আর চীন বলছে, নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক।
বার্টার ছাড়াও বিকল্প পথ আছে। যেমন, কিছু ব্যবসায়ী ‘পেমেন্ট এজেন্ট’ ব্যবহার করছে—যারা ফি নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান নিশ্চিত করে। তবে এতে ঝুঁকি বেশি। আরেকটি উপায় হলো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভিটিবি ব্যাংক, যার সাংহাইয়ে শাখা আছে। কেউ কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সিও ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েনও অনেকে ব্যবহার করছেন।
রাশিয়ার শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিসিএস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই পুতিয়াতিনস্কি বলেন, ‘ছোট ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে ক্রিপ্টো ব্যবহার করছে। কেউ নগদ বহন করে, কেউ অফসেট ব্যবহার করে, কেউ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে। এখনো প্রস্তুত কোনো সমাধান নেই। অর্থনীতি টিকে আছে, ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে ১০–১৫ ধরনের অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করছে।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৪৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে